ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই তরুনীর মৃত্যু সিরাজদিখানে পূঁজা মন্ডপ পদির্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কালিহাতীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বেনজীর আহমেদ টিটু মুরাদনগরে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে নিহত : ১ আহত-৩ গাজীপুরে বিএনপির নেতৃবৃন্দের পূজা মন্ডপ পরিদর্শন গাজীপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক কালিহাতীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বেনজীর আহমেদ টিটো কোটালীপাড়ায় বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে উপজেলা প্রশাসন পূজাকে কেন্দ্র করে কোন দুষ্কৃতিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না- গাজীপুরে র‌্যাবের মহাপরিচালক পূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে, তারা পার পাবেন না-প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো: শফিকুল আলম

নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে : সিইসি

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে আসছে না, ফলে সেই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
৭ই জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থি। সংবিধানে সভা সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলে হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে। এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের, কারণ ২০১৪ সাল বাদে নির্বাচনের আগে সংঘাত ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়নি। কারণ নির্বাচনগুলো ছিল সার্বজনীন।
তিনি বলেন, যারা সভা সমাবেশ করছে নির্বাচনের পক্ষে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে তারা মুখোমুখি হলে সংঘাতের ঝুঁকি থাকে। আমরা চাই এ ধরনের যেকোনো ঘটনা যাতে না ঘটুক। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে কোনো সমস্যা নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকেই নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সচেতন হতে হবে, ভোট কেন্দ্রে কোনো কারচুপি হচ্ছে কিনা? যেকোনো উপায়ে জেতার মানসিকতা থেকে প্রার্থীদের বের হয়ে আসতে হবে বলেও মনে করেন সিইসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাচ্ছে না।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। ভোট করতে প্রয়োজন ১২ লাখ জনবল, কিন্তু কমিশনের আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকবল। ফলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে জনবল নিতে হয় কমিশনকে। সিইসি মন্তব্য করেন, এককভাবে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই নির্বাচন সফল হবে।
৭ই জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না, এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন, এই বিতর্ক সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। এসময় তিনি বলেন, তবে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নিবার্চন বয়কট করতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে অ্যালকোহল পানে দুই তরুনীর মৃত্যু

নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে : সিইসি

আপডেট টাইম : ০৬:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে আসছে না, ফলে সেই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
৭ই জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা অসাংবিধানিক ও আইনের পরিপন্থি। সংবিধানে সভা সমাবেশ করার যে অধিকারের কথা বলে হয়েছে তা শর্তসাপেক্ষে। এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন ধরনের, কারণ ২০১৪ সাল বাদে নির্বাচনের আগে সংঘাত ও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি হয়নি। কারণ নির্বাচনগুলো ছিল সার্বজনীন।
তিনি বলেন, যারা সভা সমাবেশ করছে নির্বাচনের পক্ষে তাদেরও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষে ও বিপক্ষে তারা মুখোমুখি হলে সংঘাতের ঝুঁকি থাকে। আমরা চাই এ ধরনের যেকোনো ঘটনা যাতে না ঘটুক। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে কোনো সমস্যা নাই।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবার কোনো সুযোগ নেই। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থেকেই নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সচেতন হতে হবে, ভোট কেন্দ্রে কোনো কারচুপি হচ্ছে কিনা? যেকোনো উপায়ে জেতার মানসিকতা থেকে প্রার্থীদের বের হয়ে আসতে হবে বলেও মনে করেন সিইসি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাচ্ছে না।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। ভোট করতে প্রয়োজন ১২ লাখ জনবল, কিন্তু কমিশনের আছে মাত্র ১ হাজার ৫০০ লোকবল। ফলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে জনবল নিতে হয় কমিশনকে। সিইসি মন্তব্য করেন, এককভাবে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন সফল করা সম্ভব হবে না, সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই নির্বাচন সফল হবে।
৭ই জানুয়ারির নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য না হলে পদত্যাগ করবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে এককভাবে কমিশনকে দায়বদ্ধ করা যাবে না, এর দায় সরকারের ওপরেও পড়বে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল মনে করেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিতর্কিত প্রশ্ন, এই বিতর্ক সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই। এসময় তিনি বলেন, তবে আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্রসহ ২৭টি দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। নিবার্চন বয়কট করতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান তিনি।