বিশেষ প্রতিনিধি :
ডিএমপি মিরপুর জোনের শাহ আলী থানার দুই এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপসকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
সুত্রে জানা যায়, শেরেবাংলা নগর থানাধীন রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা ছাত্তার আলীর ছেলে শাহাদৎ সরদার (৩২) ১৫/১২/২০২৩ তারিখে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তার এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের সাথে সাক্ষাত করার জন্য যায় তাকে না পেয়ে রিক্সাযোগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পান্থপথ যাওয়ার সময় আনুমানিক ০৩.১৫ ঘটিকায় শেরেবাংলা নগর থানাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এর নির্মানাধীন ভবনের নিকট পৌঁছালে নীল রংয়ের একটি প্রাইভেটকার রিক্সার গতিরোধ করে দাড় করায় এবং অজ্ঞাতনামা ৩ জন লোক প্রাইভেটকার থেকে তাকে নামিয়ে ডিবি পরিচয় দিয়ে তাদের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে হাতকড়া পরিয়ে দিয়ে, কালো কাপড় দিয়ে চোখ ও মুখ বেধে অজ্ঞাত স্থানে এক রুমের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে প্রথমে বাদী শাহাদৎ সরদারের প্যান্টের পকেটে থাকা, মানিব্যাগ, এ্যাস কালারের ভিভো ১৭ মোবাইল ফোন, যাহার আইএমইআই ৮৬৬১৮৩০৬৭৮৪৬৭৯৭ ও ৮৬৬১৮৩০৬৭৮৪৬৭৮৯, ব্যাবহৃত সীম দুটি খুলে মোবাইল ফোন রেখে দেয় দেয়, যাহার মূল্য-১৫,৯৯৯/- টাকা, এবং পকেটে থাকা নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। মানিব্যাগে থাকা ডিবিবিএল ব্যাংকের এটিএম কার্ড এর পিনকোড চায় দিতে অস্বীকৃত জানালে তখন এসআই তুহিন কাজী ও এসআই মশিউর রহমান তাপস সাথে থাকা সোর্স শাহাদৎ সরদারকে এলোপাথাড়ী ভাবে কিল, ঘুসি মারতে থাকে এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দেয় তখন জীবন রক্ষার্থে তাদেরকে এটিএম কার্ডের পিনকোড বলে দেয়। বিবাদীরা এটিএম বুথে গিয়ে কার্ড এর ব্যালেন্স চেক করে টাকার পরিমান জেনে নেয়। এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস সাহাদৎ সরদারের ফোনে ন্যাক্সাস পে এ্যাপ ইনস্টল করে ন্যাক্সাস পে এর মাধ্যমে একাউন্টে থেকে এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস সিটি ব্যাংকের ১৫০২৪৯৯৫৪৩০০১ নম্বর এ্যাকাউন্ট থেকে পর্যায়ক্রমে ৩লাখ ১০, ৩লাখ ১০, ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০ টাকা, মোট ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৩০ টাকা স্থানান্তর করে নেয়। সর্বমোট ৯ লাখ ১৯ হাজার ৩০ টাকা ছিনতায় করে। এরপর সাদা কাগজে এসআই তুহিন কাজী ও মশিউর রহমান তাপস স্বাক্ষর রেখেদেয়। তারপর বিবাদীরা আবার হাতে হাতকড়া পরিয়ে এবং কালো কাপড়ে চোখ ও মুখ রাজধানী মিরপুর-১ রাস্তার পাশে নামিয়ে দেয়। তবে তাদের আটকের বিষয়টি স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, নির্দিষ্ট মামলায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে।