একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মিরপুর বাংলা কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ।
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন মোল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক এম.মনির হোসেনের নেতৃত্বে সংগঠনের সকল সদস্যদের কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রভাতফেরি সহকারে মিরপুর বাংলা কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী/ আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সুর বাজতে থাকে। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যরা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক – মোঃ ইস্রাফিল, সাংগঠনিক সম্পাদক – আনিস মাহমুদ লিমন, অর্থ সম্পাদক – মোঃ জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক – আলি আফজাল আকাশ, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক – মোঃ সোহেল, মহিলা সম্পাদিকা – রাবেয়া সুলতানা, সাধারণ সদস্য – মনির, খোকন, সুজন, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির চির প্রেরণার প্রতীক। একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছিল দুঃখিনী বর্ণমালা, মায়ের ভাষা। এদিন মাতৃভাষার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে বাঙালি জাতি যে ইতিহাস রচনা করেছিল, তা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব তাকে বরণ করেছে সুগভীর শ্রদ্ধায়। সেদিন রক্তে কেবল ভাষার অধিকার অর্জিত হয়নি, স্বাধীনতার বীজও রোপিত হয়েছিল। যার ফল আসে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন।
মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম. মনির হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত ত্যাগের মহিমায় বাঙালি জাতি খুঁজে পায় তার নিজস্ব জাতিসত্তা। এদিন মায়ের ভাষার অধিকারের জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালি জাতির সূর্য সন্তানেরা। অমর একুশের পথ ধরেই উন্মেষ ঘটেছিল বাঙালির স্বাধিকার চেতনার। অমর একুশের অবিনাশী চেতনাই আমাদের যুগিয়েছে অফুরন্ত প্রেরণা ও অসীম সাহস এবং বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে সংগ্রামের সূচনা সেদিন ঘটেছিল, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথ বেয়ে, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।
রক্তস্নাত সেই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ। বাঙালি জাতির শোকের ও গৌরবের দিন। রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি আজ শুধু বাঙালির নয়, পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের।পৃথিবীর কয়েক হাজার ভাষাভাষী মানুষও দিনটি শ্রদ্ধাভরে পালন করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের কাছে এর আবেদন অন্যরকম। রক্তস্নানের মধ্য দিয়ে ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দিন।