নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী :
র্যাব-৮ পটুয়াখালী জানান, পটুয়াখালী র্যাব-৮, সিপিসি-১ ও র্যাব-৮, সদর কোম্পানী বরিশালের যৌথ অভিযানে গত মঙ্গলবার (২৭শে ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩:৪০ মিনিটের সময় ধর্ষণ মামলার প্রধান একমাত্র পলাতক আসামি মোঃ সুমন হোসেন (১৫) কে আটক করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ভাংরা গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ জান্নাতুল আক্তার তানজিলা (১৮) এর সাথে আসামি মোঃ সুমন হোসেন, পিতা- নূর ইসলাম সন্যামত, সাং- বেতাগী, থানা- দশমিনার বিবাহ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পরিচয় গড়ে উঠে। একসময় পরিচয়ের মাধ্যমে সুঃসম্পর্ক তৈরী হলে আসামি মোঃ সুমন হোসেন বিভিন্নভাবে ভিকটিম জান্নাতুলকে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করে। নানা অপকৌশলে ভিকটিমকে আয়ত্বে নিতে ব্যর্থ হয়ে নিজে আত্মহত্যার ভয় দেখালে কোনো উপায় না পেয়ে ভিকটিম জান্নাতুল তার প্রেমে সাড়া দেয়। পরবর্তীতে আসামি সুমন ভিকটিম জান্নাতুলকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা করে। এতে ভিকটিম বাঁধা দিলে আসামি সুমন ভিকটিম জান্নাতুলকে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। আসামি সুমন ভিকটিমকে ০১ সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবে বলে জানায় এবং এই ঘটনা গোপন করতে বলে।
কিন্তু একসময় ভিকটিম জান্নাতুলের পিতা-মাতা আসামির বাড়িতে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আসামি সুমন ভিকটিম জান্নাতুলকে বিয়ে করবে না বলে জানায় ও ভিকটিমের পরিবারকে নানা অপবাদ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম জান্নাতুল বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পটুয়াখালী’তে একটি মামলা দায়ের করে যার পিটিশন মামলা নম্বর- ১৬৬/২০২৪, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১) এবং পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার মামলা নং-১২, তারিখঃ ১৯/০৮/২০২৩, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১)।
ওই ঘটনা র্যাবের নজরে আসলে র্যাব আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে বরিশাল সদরের থানা কাউন্সিল এলাকায় উপস্থিত হয়ে ঘেরাও পূর্বক তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামিকে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।