ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই নয়, সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে- পার্বত্য উপদেষ্টা জুলাইবিপ্লবী শহিদ হাসানকে দেখতে হাসপাতালে ধর্ম উপদেষ্টা পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক আদমদীঘিতে বেড়েছে অপরাধের প্রবণতা, নীরব ভূমিকায় থানা পুলিশ সিংগাইরে কিশোর গ্যাংদের হাতে খুন হলেন স্কুল ছাত্র রাহুল ইসলাম খান মাগুরা আলোকদিয়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ খুন রাজধানীতে থেমে নেই যুবলীগ নেতা নুর ইসলামের চাঁদাবাজি-ত্রাসের রাজত্ব! রূপগঞ্জে সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা সরকারি রাস্তা উদ্ধার শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: খালাস পেলো ৩

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রির বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমি। অন্যদিকে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটি কেটে বিক্রির রমরমা এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয় ভীতি। সরজমিনে দেখা যায়, ৭নং মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ফসিল জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি।

পশ্চিম পাশের খেতে রয়েছে গম, তার পাশে রয়েছে পিয়াজ ও মুশুরি খেত। তিন ফসলী মাঠে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে মাটি পরিবহনের সময় গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। মাটি পরিবহনের সময় ধুলাতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি ঘরের পরিবেশ। জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান ও মাসুদ ফকির কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাট সহ ইটভাটায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আলী বলেন, দিনেরাতে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘরবাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব মাটির ডাম্প ট্রাক ও গ্রামীন সড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও দিনরাত ড্রামট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান ও মাসুদ ফকির। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ওবায়দুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ব্যাবহার করে দিনের পর দিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তিন ফসলি কৃষিজমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন।

অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা, এসব রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যান্য জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। জমির মালিক নিতিশ বিশ্বাস বলেন, আমার জমি চাষবাস করার লোক নাই। আর এখানে নিচু জায়গা। এজন্য আমার জমির মাটি এমনিতেই দিয়েছি তাদের দিয়েছি। এ বিষয়ে সরাসরি ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি কাটছি অনুমোদন নিয়ে। এখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেও আসছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মধুখালী নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম

ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৭:০৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

ফরিদপুর প্রতিনিধি :

ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেগচামী ইউনিয়নে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ওবায়দুর রহমানের বিরুদ্ধে আবাদি জমির মাটি কেটে বিক্রির বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমি। অন্যদিকে প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটি কেটে বিক্রির রমরমা এ ব্যবসা। অনেক ক্ষেত্রে জমির মালিকরা মাটি বিক্রিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে দেখানো হচ্ছে ভয় ভীতি। সরজমিনে দেখা যায়, ৭নং মেগচামী ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ফসিল জমি থেকে এক্সকাভেটর (ভেকু) বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি।

পশ্চিম পাশের খেতে রয়েছে গম, তার পাশে রয়েছে পিয়াজ ও মুশুরি খেত। তিন ফসলী মাঠে এভাবে মাটি কেটে বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে মাটি পরিবহনের সময় গাড়ির চাকায় পিস্ট হয়ে নষ্ট হচ্ছে ফসল। মাটি পরিবহনের সময় ধুলাতেও নষ্ট হচ্ছে ফসল। অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে বাড়ি ঘরের পরিবেশ। জানা যায়, মাটি ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান ও মাসুদ ফকির কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন বিভিন্ন বাড়ি-ভিটে, পুকুর ভরাট সহ ইটভাটায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফজল আলী বলেন, দিনেরাতে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘরবাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারী ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে ওই এলাকার পরিবেশ। এসব মাটির ডাম্প ট্রাক ও গ্রামীন সড়কে নিষিদ্ধ থাকলেও দিনরাত ড্রামট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করে যাচ্ছেন ওবাইদুর রহমান ও মাসুদ ফকির। স্থানীয় আরো কয়েকজন জানান, ওবায়দুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতা ব্যাবহার করে দিনের পর দিন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার তিন ফসলি কৃষিজমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন।

অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে রাস্তা, এসব রাস্তায় ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে অন্যান্য জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। জমির মালিক নিতিশ বিশ্বাস বলেন, আমার জমি চাষবাস করার লোক নাই। আর এখানে নিচু জায়গা। এজন্য আমার জমির মাটি এমনিতেই দিয়েছি তাদের দিয়েছি। এ বিষয়ে সরাসরি ওবায়দুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি কাটছি অনুমোদন নিয়ে। এখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেও আসছিলেন। কিন্তু অনুমোদনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা মধুখালী নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিকের কাছে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না যেহেতু আপনার মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।