ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে
তদন্ত চেয়ে দুদকে আবেদন

বেনজীরের সম্পদ নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার সুমন

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন দাবি করে সেই সম্পদের তদন্ত দাবি করেছেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন।

এই দাবি নিয়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের এই সংসদ সদস্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।

আজ রবিবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে এই আবেদন জমা দেন ব্যারিস্টার সুমন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু চাকরিতে থাকাকালে তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে, যে সম্পদগুলো তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী জিসান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন। তাদের নামে রাজধানীতে বেস্ট হোল্ডিংয়ের পাঁচ তারকা মানের হোটেল লা মেরিডিয়ানে শেয়ার, গোপালগঞ্জে বিলাসবহুল সাবানাহ ইকো রিসোর্ট, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে জমি ও একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য প্রকাশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

ব্যারিস্টার সুমন ওই প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে লিখেছেন, বেনজীর আহমেদের বৈধ যে আয়, তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদের পরিমাণ তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বেনজীর আহমেদ চাকরিতে থাকাকালে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, এ পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।

আবেদন জমা দিয়ে পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুমন। বলেন, ‘পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নিবেন।’

এদিকে ওই জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেছেন বেনজীর আহমেদ। গতকাল শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি সম্পত্তি অর্জনের তথ্যকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, কেউ যদি সেই তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে সেই সম্পত্তি সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে হাসিমুখে লিখে দেবেন তিনি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

তদন্ত চেয়ে দুদকে আবেদন

বেনজীরের সম্পদ নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার সুমন

আপডেট টাইম : ০৮:৩৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন দাবি করে সেই সম্পদের তদন্ত দাবি করেছেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন।

এই দাবি নিয়ে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আসনের এই সংসদ সদস্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। আবেদনে সাবেক পুলিশ প্রধানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন ব্যারিস্টার সুমন।

আজ রবিবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে এই আবেদন জমা দেন ব্যারিস্টার সুমন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের ৩০তম আইজি ছিলেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু চাকরিতে থাকাকালে তার স্ত্রী ও মেয়েদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে, যে সম্পদগুলো তার আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী জিসান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রচুর সম্পদ গড়েছেন। তাদের নামে রাজধানীতে বেস্ট হোল্ডিংয়ের পাঁচ তারকা মানের হোটেল লা মেরিডিয়ানে শেয়ার, গোপালগঞ্জে বিলাসবহুল সাবানাহ ইকো রিসোর্ট, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে জমি ও একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকানার তথ্য প্রকাশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

ব্যারিস্টার সুমন ওই প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে লিখেছেন, বেনজীর আহমেদের বৈধ যে আয়, তার পরিবারের সদস্যদের নামে সম্পদের পরিমাণ তার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বেনজীর আহমেদ চাকরিতে থাকাকালে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন লিখেছেন, এ পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী সন্তানদের সম্পদের তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি।

আবেদন জমা দিয়ে পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুমন। বলেন, ‘পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নিবেন।’

এদিকে ওই জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেছেন বেনজীর আহমেদ। গতকাল শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিওবার্তায় তিনি সম্পত্তি অর্জনের তথ্যকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, কেউ যদি সেই তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে সেই সম্পত্তি সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে হাসিমুখে লিখে দেবেন তিনি।