কাবাডিতে বর্ষসেরা সংগঠক হিসেবে কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেলেন ডিএমপি কমিশনার
বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ২০২৩ এর বর্ষসেরা সংগঠক (কাবাডি) হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
আজ রোববার বিকালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড ডিএমপি কমিশনারের হাতে তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাতীয় খেলা কাবাডির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিবের সভাপতিত্বে জমকালো অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি কাবাডিকে কেবল দেশের ভিতরেই নয় আন্তর্জাতিকভাবেও সারা বিশ্বে কাবাডিকে তুলে ধরতে চাই। জাতীয় খেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জাতীয় পতাকা পতপত করে উড়তে ও জাতীয় সংগীত বাজবে সেই প্রত্যাশা করি। এই পুরস্কারের জন্য আমাকে মনোনীত করায় বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) কে আন্তরিক ধন্যবাদ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, “দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বিএসপিএ এই আয়োজন করে যাচ্ছে। এজন্য আমার পক্ষ থেকে বিএসপিএকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের খেলোয়াড়, সংগঠকরা তাদের পরিশ্রম দিয়ে আজকে যে পর্যায়ে এসেছি, তারা ক্রীড়াঙ্গণকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
গেস্ট অব অনার স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী বলেন, “এই অনুষ্ঠানে এলে অনেকের সাথে দেখা হয়। এটা ভালো লাগার বিষয়। আমরা ১০ বছর ধরে বিএসপিএর সাথে আছি। যতদিন তারা আমাদের সাথে রাখবে, ততদিন আমরা থাকব। এই পুরস্কার আমার মনে হয় ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রাণিত করে। যারা পুরস্কার পেয়েছেন, ধন্যবাদ। যারা পায়নি, মন খারাপের কিছু নেই। তারা যেন এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়, যাতে ভবিষ্যতে ভালো করতে পারে। ”
উল্লেখ্য, দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সুপ্রাচীন সংগঠন বিএসপিএ ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করে আসছে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩ সালের সেরাদের পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে দেশের সফল ক্রীড়াবিদগণ, ক্রীড়া সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।