ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে ইয়াবাসহ নারী গ্রেপ্তার নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের গাজীপুর মহানগর যুবদলের আয়োজনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে গাঁজাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক ভোটার বাড়াতে ঐক্যের বিকল্প নেই ——-কাজী সালিমুল হক কামাল ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলীকে ছেড়ে দিলেন যুবদলের নেতা মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি টুটুল সাধারণ সম্পাদক মাসুদ ত্রিশালে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা, হামলায় আহত- ১৫ আসিয়ান সিটির দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু

মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী গ্রেফতার,

  1. মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী গ্রেফতার করা হয়েছ এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও বুথ ভাঙ্গার বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের গুলশান জোনাল টিম কর্তৃক গুলশানে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যা, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, এটিম বুথ ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, চেনি, সাবল বিভিন্ন মালামাল উদ্ধারসহ মূল আসামী গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৭), গত ১০ এপ্রিল ২০২৪ ভোর অনুমান ০৫:০০ ঘটিকা হইতে ০৫:৩০ ঘটিকার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীরা গুলশান থানাধীন শাহজাদপুর প্রগতি স্মরনীর মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে অবস্থিত মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃতের ভাই মাহফুজুর রহমান রুমেল ভিকটিম হাসান মাহমুদকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে গুলশান থানায় মামলা রুজু করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ফলাও করে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। উক্ত মামলার মূল ঘটনা উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশ, সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি ডিবি গুলশান জোনাল টিম মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালীন তথ্য প্রযুক্তি, সিসিটিভি ফুটেজ, আসামীর ব্যবহৃত মোবাইল ও পরিহিত পোশাক এবং গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বর্ণিত ভিকটিমের হত্যাকারী সনাক্তপূর্বক আসামী মোঃ আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানা যায়, গত ১০/১২ বৎসর যাবৎ বিভিন্ন অফিস ও বাসা বাড়ীর আসবাবপত্র পরিবহনের কাজ করত। ২/৩ বছর পূর্বে সে তার বন্ধু বান্ধবের পরামর্শে উক্ত ব্যবসার পাশাপাশি ইট, বালি, পাথর সরবরাহের ব্যবসা শুরু করে। উক্ত ব্যবসায় লোকসান হওয়ার কারণে সে ১৪/১৫ লক্ষ টাকার ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে তার একটি কিডনী বিক্রির চেষ্টা করে মিরপুর এলাকায় লিফলেট ছাড়ে। কিন্তু কিডনী বিক্রি করতে না পারায় এবং পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদারগন তার বাসায় গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। পাওনাদারদের চাপে ও ভয়ে সে গত ৩/৪ মাস যাবৎ পরিবার পরিজন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজধানীর মিরপুর-১ সহ বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপন করে থাকে এবং কিভাবে টাকা পরিশোধ করা যাবে সে চিন্তা ভাবনা ও পরিকল্পনা করতে থাকে এবং সেই ধারাবাহিকতা সে এটিএম বুথ লুট করার উদ্দেশ্যে অত্যন্ত পাশবিক কায়দায় নির্মমভাবে অত্র মামলার ভিকটিম বয়বৃদ্ধ হাসান মাহমুদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে।

সে আরও জানায় যে, ইউটিউবের মাধ্যমে ব্যাংক/এটিম বুথ ডাকাতির দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুন করে হলেও এটিম বুথের টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেট হতে আসামী হাতুড়ি, হেমার, চেনি, মিরপুর পল্লবী মিল্লাত ক্যাম্প মোড় হতে চাপাতি, সাবল, চাকু ও মিরপুরপুর স্টেডিয়াম এর ফুটফাত হতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি জার্সি ক্রয় করে এবং লোক সমাগম কম/নিরিবিলি এমন এটিম বুথের অবস্থান খুঁজতে থাকে। গুলশান থানাধীন শাহজাদপুর, ৩০/বি, মাইশা চৌধুরী টাওয়ার, মধুমতি ব্যাংক, প্রগতী স্বরণী শাখার এটিএম বুথ লোক সমাগম কম/নিরিবিলি মনে হওয়ায় সে উক্ত এটিএম বুথ লুটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে মোতাবেক গত ১০ এপ্রিল ২০১৪ THAI International লেখা নীল রংয়ের একটি ব্যাগে করে উল্লেখিত মালামালসহ PUMA ব্র্যান্ডের জলপাই রংয়ের টি-শার্ট পরিধান করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে ০০.২০ ঘটিকায় তুরাগ বাস যোগে ঘটনাস্থল এর বিপরীতে পাশে এসে ঘটনাস্থল রেকি করে রাস্তার ডিভাইডার পার হয়ে ঘটনাস্থলের সামনে দিয়ে পুনরায় রামপুরার দিকে যায় এবং আনুঃ ০৩.৪৯ ঘটিকায় তার পরিহিত PUMA ব্র্যান্ডের জলপাই রংয়ের টি-শার্ট এর উপরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি পরিধান করে পুনরায় ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাঘুরি ও অবস্থান করতে থাকে। প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে পর্য্যবেক্ষন করে সে আনুমানিক ০৫.১৩ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে প্রবেশ করাকালীন এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী ভিকটিম হাসান মাহমুদ এর বাধার সম্মুখীন হওয়ায় সে তাকে (ভিকটিমকে) চাপাতি দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে হাতুড়ি, হেমার, চেনি,সাবল, চাপাতি দিয়ে এটিম বুথ ভাঙ্গার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রায় ১০/১২ মিনিট চেষ্টা করে এটিএম বুথ ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে সে ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, হেমার, চেনি, সাবল, চাপাতি, ব্যাগ ইত্যাদি ঘটনাস্থলে রেখে একটি ছোট চাকুটি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অতপর ঘটনার পরপরই সে ঘটনাস্থল এর বিপরীতে শাহজাদপুর বাঁশতলায় অবস্থান করে এবং আনুমানিক ০৫.৩১ ঘটিকার সময় মিরপুরগামী অছিম পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১২৭৩) বাসে উঠে তার টি-শার্টের উপরে পরিহিত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিটি খুলে উক্ত বাসের সীটের নীচে রেখে মিরপুরের দিকে চলে যায়। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার উক্ত জার্সিটি পেয়ে কালশী রাস্তার মাথায় ডিভাইডারের উপর রেখে দেয়। ঘটনার পরপরই মামলাটির ছায়া তদন্তকালীন উক্ত জার্সিটি বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের দেখানো মতে কালশী রাস্তার মাথায় ডিভাইডারের উপর হতে জব্দ করা হয়েছে।

ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস

গাজীপুরে ইয়াবাসহ নারী গ্রেপ্তার

মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী গ্রেফতার,

আপডেট টাইম : ০৮:০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  1. মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী গ্রেফতার করা হয়েছ এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও বুথ ভাঙ্গার বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের গুলশান জোনাল টিম কর্তৃক গুলশানে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যা, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, এটিম বুথ ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, চেনি, সাবল বিভিন্ন মালামাল উদ্ধারসহ মূল আসামী গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৭), গত ১০ এপ্রিল ২০২৪ ভোর অনুমান ০৫:০০ ঘটিকা হইতে ০৫:৩০ ঘটিকার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামীরা গুলশান থানাধীন শাহজাদপুর প্রগতি স্মরনীর মাইশা চৌধুরী টাওয়ারে অবস্থিত মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ড হাসান মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করে। মৃতের ভাই মাহফুজুর রহমান রুমেল ভিকটিম হাসান মাহমুদকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে গুলশান থানায় মামলা রুজু করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন জাতীয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ফলাও করে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। উক্ত মামলার মূল ঘটনা উদঘাটনের জন্য থানা পুলিশ, সিআইডি এবং অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি ডিবি গুলশান জোনাল টিম মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালীন তথ্য প্রযুক্তি, সিসিটিভি ফুটেজ, আসামীর ব্যবহৃত মোবাইল ও পরিহিত পোশাক এবং গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বর্ণিত ভিকটিমের হত্যাকারী সনাক্তপূর্বক আসামী মোঃ আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানা যায়, গত ১০/১২ বৎসর যাবৎ বিভিন্ন অফিস ও বাসা বাড়ীর আসবাবপত্র পরিবহনের কাজ করত। ২/৩ বছর পূর্বে সে তার বন্ধু বান্ধবের পরামর্শে উক্ত ব্যবসার পাশাপাশি ইট, বালি, পাথর সরবরাহের ব্যবসা শুরু করে। উক্ত ব্যবসায় লোকসান হওয়ার কারণে সে ১৪/১৫ লক্ষ টাকার ঋনগ্রস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে তার একটি কিডনী বিক্রির চেষ্টা করে মিরপুর এলাকায় লিফলেট ছাড়ে। কিন্তু কিডনী বিক্রি করতে না পারায় এবং পাওনাদারদের দেনা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদারগন তার বাসায় গিয়ে তাকে খুঁজতে থাকে। পাওনাদারদের চাপে ও ভয়ে সে গত ৩/৪ মাস যাবৎ পরিবার পরিজন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজধানীর মিরপুর-১ সহ বিভিন্ন জায়গায় আত্নগোপন করে থাকে এবং কিভাবে টাকা পরিশোধ করা যাবে সে চিন্তা ভাবনা ও পরিকল্পনা করতে থাকে এবং সেই ধারাবাহিকতা সে এটিএম বুথ লুট করার উদ্দেশ্যে অত্যন্ত পাশবিক কায়দায় নির্মমভাবে অত্র মামলার ভিকটিম বয়বৃদ্ধ হাসান মাহমুদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে।

সে আরও জানায় যে, ইউটিউবের মাধ্যমে ব্যাংক/এটিম বুথ ডাকাতির দৃশ্য দেখতে পেয়ে খুন করে হলেও এটিম বুথের টাকা লুট করার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্বাধীন বাংলা সুপার মার্কেট হতে আসামী হাতুড়ি, হেমার, চেনি, মিরপুর পল্লবী মিল্লাত ক্যাম্প মোড় হতে চাপাতি, সাবল, চাকু ও মিরপুরপুর স্টেডিয়াম এর ফুটফাত হতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি জার্সি ক্রয় করে এবং লোক সমাগম কম/নিরিবিলি এমন এটিম বুথের অবস্থান খুঁজতে থাকে। গুলশান থানাধীন শাহজাদপুর, ৩০/বি, মাইশা চৌধুরী টাওয়ার, মধুমতি ব্যাংক, প্রগতী স্বরণী শাখার এটিএম বুথ লোক সমাগম কম/নিরিবিলি মনে হওয়ায় সে উক্ত এটিএম বুথ লুটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে মোতাবেক গত ১০ এপ্রিল ২০১৪ THAI International লেখা নীল রংয়ের একটি ব্যাগে করে উল্লেখিত মালামালসহ PUMA ব্র্যান্ডের জলপাই রংয়ের টি-শার্ট পরিধান করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে ০০.২০ ঘটিকায় তুরাগ বাস যোগে ঘটনাস্থল এর বিপরীতে পাশে এসে ঘটনাস্থল রেকি করে রাস্তার ডিভাইডার পার হয়ে ঘটনাস্থলের সামনে দিয়ে পুনরায় রামপুরার দিকে যায় এবং আনুঃ ০৩.৪৯ ঘটিকায় তার পরিহিত PUMA ব্র্যান্ডের জলপাই রংয়ের টি-শার্ট এর উপরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সি পরিধান করে পুনরায় ঘটনাস্থলের আশপাশে ঘোরাঘুরি ও অবস্থান করতে থাকে। প্রায় দেড়ঘন্টা ধরে পর্য্যবেক্ষন করে সে আনুমানিক ০৫.১৩ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে প্রবেশ করাকালীন এটিএম বুথের নিরাপত্তা কর্মী ভিকটিম হাসান মাহমুদ এর বাধার সম্মুখীন হওয়ায় সে তাকে (ভিকটিমকে) চাপাতি দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করে হাতুড়ি, হেমার, চেনি,সাবল, চাপাতি দিয়ে এটিম বুথ ভাঙ্গার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে প্রায় ১০/১২ মিনিট চেষ্টা করে এটিএম বুথ ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে সে ঘটনায় ব্যবহৃত হাতুড়ি, হেমার, চেনি, সাবল, চাপাতি, ব্যাগ ইত্যাদি ঘটনাস্থলে রেখে একটি ছোট চাকুটি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অতপর ঘটনার পরপরই সে ঘটনাস্থল এর বিপরীতে শাহজাদপুর বাঁশতলায় অবস্থান করে এবং আনুমানিক ০৫.৩১ ঘটিকার সময় মিরপুরগামী অছিম পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-১২৭৩) বাসে উঠে তার টি-শার্টের উপরে পরিহিত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিটি খুলে উক্ত বাসের সীটের নীচে রেখে মিরপুরের দিকে চলে যায়। বাসের ড্রাইভার ও হেলপার উক্ত জার্সিটি পেয়ে কালশী রাস্তার মাথায় ডিভাইডারের উপর রেখে দেয়। ঘটনার পরপরই মামলাটির ছায়া তদন্তকালীন উক্ত জার্সিটি বাসের ড্রাইভার ও হেলপারের দেখানো মতে কালশী রাস্তার মাথায় ডিভাইডারের উপর হতে জব্দ করা হয়েছে।

ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।