নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা অবদি সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মইনুল হাসান নাহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ আওলাদ হোসেন মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল্লাহ আল জাদিদ ইরান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আনিসুর রহমান রিয়াদ, আইনজীবি শমরেশ নাথ, কে এম তারিকুল ইসলাম ও মোস্তফা মিয়া। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মনির হোসেন মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ এস এম শাহাদাত হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শামীম শিকদার,উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জণসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন সুমন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট একে এম আবুল কাশেম মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুল, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সদস্য আরাফাত শেখ রাসেল, ওমর আলী ও রাসেল মুন্সী। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন, মুন্সিগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ন আহবায়ক আঁখি শাহীন, মিসেস আয়েশা আক্তার, উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট তাহমিনা আক্তার তুহিন, লুৎফুন নাহার (খুকুমনি),ফারহানা আক্তার (লিজা), ফরিদা ইয়াসমিন (সম্পা)।
এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয়-স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোসহ তাদের ঘনিষ্ট কোন প্রার্থীকে সমর্থন দিতে নিষেধ করেন দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা। দলীয় কোন্দল নিরসন এবং নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধাণ বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদের পুত্র কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আনিসুর রহমান রিয়াদ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ও জামাতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুন হোসেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন। মনোনয়ন
পত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সাথে বিবেচনা করছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। দলীয় প্রধাণের এমন কঠোর নির্দেশনা থাকা স্বত্বেও দলের উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পদে থাকাবস্থায় দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করার সাহস কি করে হয়? এমনটাই প্রশ্ন তাদের। এমপি পুত্র আনিসুর রহমান রিয়াদ ও জামাতা মামুন হোসেনের প্রার্থীতা যাচাই বাছাইয়ের পর বাতিল না হলে উপজেলা নির্বাচন প্রভাবমুক্ত হবে না মর্মে রাজনৈতিক বিশ্লেশকগণ মনে করছেন। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ মে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই, ৬ মে থেকে ৮ মে আপিল, ৯ মে আপিল নিষ্পত্তি, ১২ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার,১৩ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ২৯ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদের সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে ছাড় দেওয়া হবে না! সম্প্রতি জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আওলাদ হোসেন মৃধার এক নির্বাচনি সভায় এমপি পুত্র আনিসুর রহমান রিয়াদের এমন অশালীন ও হুমকি মূলক বক্তব্যের ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে পোষ্ট দেন স্থানীয় এক সাংবাদিক। ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হলে এ নিয়ে স্থানীয় জণসাধারণের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্ট হওয়াসহ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা সমালোচনার জন্ম দেয়।