ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় গাজীপুরে কর্পোরেট কোম্পানি থেকে পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় আলোচনা সভা সিরাজদিখানে প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা; ছিনিয়ে নিয়েছে টাকা- স্বর্ণালংকার গাজীপুরে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে ৩১দফার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত পঞ্চগড়ে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) কর্তৃক শীত বস্ত্র বিতরণ আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

পুলিশের চাকরি দিতে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ, ২ কনস্টেবল বরখাস্ত

মাদারীপুরে পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।আজ শনিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও জেলা পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায়।

জানা গেছে, পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রতন দাস একটি দোকানে কাজ করেন। সেখানে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশে নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা নিজের স্বাক্ষরযুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও দেন। এদিকে, পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।

চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস বলেন, ‘পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন তানজিলা আক্তার। কিন্তু চাকরি দিতে পারেননি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করেছেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করছেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল ইসলামও জড়িত।’

অভিযোগকারী রতন দাসের বাবা রবিদাস বলেন, ‘আমি ধার দেনা করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম তানজিলার কাছে। তিনি চাকরি দিতে পারেননি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে, ‘যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি।’

অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করে জানান, তিনি টাকা গ্রহণ করেননি।

মাদারীপুরে পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘এই ধরনের একটি ঘটনায় অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

পুলিশের চাকরি দিতে ১৪ লাখ টাকা ঘুষ, ২ কনস্টেবল বরখাস্ত

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

মাদারীপুরে পুলিশে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।আজ শনিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও জেলা পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায়।

জানা গেছে, পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রতন দাস একটি দোকানে কাজ করেন। সেখানে পরিচয় হয় পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তারের সঙ্গে। পরে পুলিশে নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা নিজের স্বাক্ষরযুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও দেন। এদিকে, পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন পুলিশ সুপার বরাবর।

চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস বলেন, ‘পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নিয়েছেন তানজিলা আক্তার। কিন্তু চাকরি দিতে পারেননি। সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করেছেন। টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন টালবাহানা করছেন। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় একটি চেকও দিয়েছিলেন। এই ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল ইসলামও জড়িত।’

অভিযোগকারী রতন দাসের বাবা রবিদাস বলেন, ‘আমি ধার দেনা করে ছেলের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলাম তানজিলার কাছে। তিনি চাকরি দিতে পারেননি। এখন টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তাই এসপি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তানজিলা আক্তার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে, ‘যা বলার এসপি স্যারকেই বলেছি।’

অপর অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম নিজের দায় অস্বীকার করে জানান, তিনি টাকা গ্রহণ করেননি।

মাদারীপুরে পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘এই ধরনের একটি ঘটনায় অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।’