নিজস্ব প্রতিবেদক:
শেখ ফয়সাল। বয়স মাত্র ২৭ বছর। হাতে ব্যবহার করেন আড়াই কোটি টাকা দামের ঘড়ি। খুলে বসেছেন ফয়সাল হেল্থ সার্ভিস এক্সপ্রেস নামে প্রতিষ্ঠান। সেখানে হেল্থ কার্ড বিক্রির নামে মানুষের সেবার কথা বলে হাজার হাজার মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। মানবতার নামে সর্বশান্ত করে ফেলছে বহু মানুষকে। সব কেড়ে নেওয়ার পরেও অনেকেই আছেন ফয়সাল আতংকে। যাকে তাকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও দুবাইতে তার রয়েছে ই-কমার্স ও নার্সিং ইন্সটিটিউট ব্যবসা।
বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে, তার প্রতিষ্ঠানে গরিব অসহায়দের দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নাম করে ৩শ টাকা করে কার্ড বিক্রি করেছেন মিরপুর ১ নম্বর এলাকায়। ওই এলাকা ঘুরে বিভিন্ন কার্ড ক্রয় করা ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে। কার্ড বিক্রির পর ফয়সাল হেলথ্ এক্সপ্রেস তারা প্রতারণা করেছেন। কোনো চিকিৎসা দেয়নি।
গোপালগঞ্জে বাড়ী হওয়ার সুবাদে নিজেদের প্রতারণার ব্যবসা চালু রাখতে বিভিন্ন প্রশাসনের লোকজন, রাজনীতিবিদ, অভিনেতাদের সাথে ছবি তুলে ভুক্তভোগীদের ভয়ে রাখে। নির্যাতনের কথা কাউকে বললেই মামলা ও প্রশাসনের লোকজন দিয়ে তুলে নেওয়ার হুমকি দিতেন রীতিমতো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফয়সালের ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ফয়সালের অস্ত্র বাহিনীর সদস্য, ব্যক্তিগত সহকারী মুন্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গ্রামে আছি।
মানবসেবার আড়ালে অফিসে জিম্মি করে টাকা নেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে, মুন্না বলেন আপনি অফিসে যান, ফয়সালের সাথে কথা বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা।