ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু সিরাজদিখানে চিকিৎসা দিচ্ছেন ৮ম শ্রেনী পাশ ভুয়া চিকিৎসক চাঁন মিয়া সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল

‘রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা দূর করতে কাজ করছে ডিএমপি-জাইকা’

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেছেন, রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। যানজট সমস্যা দূর করতে জাইকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে।

গত ২৮ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে ডিএমপির মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যাতে করে রাজধানীবাসীর ট্রাফিক সমস্যাটা কিছুটা হলেও দূর করতে পারি। সেটির অংশ হিসেবে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী জাইকা ডিএমপির সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে জনসচেতনতা তৈরি, ট্রাফিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ।’
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে কাজ চলমান। এখন যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেটি হলো ঢাকাবাসীর মধ্যে সামগ্রিকভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে‌ সচেতনতা সৃষ্টি করা। রোড সেফটি রোড ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জাইকা মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’
ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিশু ট্রাফিক পার্ক তৈরি হবে জানিয়ে এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, জাপান সরকার ১৯৬০ এর দশক থেকে এ কাজগুলো করে আসছে। আমাদের ট্রাফিকের যে কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে, জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা শিশু বয়সে আছি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে আমরা শিশুদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত এক-দুই বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। শিশুরা যেন ছোটবেলা থেকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন থাকে এ লক্ষ্যে আমরা অদূর ভবিষ্যতে শিশু ট্রাফিক পার্ক করতে যাচ্ছি।’
কিছুদিন আগে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ১৩ জন পুলিশ সদস্য জাপান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডেটা এনালাইসিস করে কোন জায়গায় যানজট বেশি হচ্ছে এবং কোন জায়গায় দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে এ সব বিষয়ে বিশ্লেষণ করছি। এ সব জায়গায় কাজে আমরা গুরুত্বারোপ করছি।’

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে মাস ব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা শুরু

‘রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা দূর করতে কাজ করছে ডিএমপি-জাইকা’

আপডেট টাইম : ১১:০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেছেন, রাজধানীর ট্রাফিক সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। যানজট সমস্যা দূর করতে জাইকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করেছে।

গত ২৮ মে (মঙ্গলবার) দুপুরে ডিএমপির মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যাতে করে রাজধানীবাসীর ট্রাফিক সমস্যাটা কিছুটা হলেও দূর করতে পারি। সেটির অংশ হিসেবে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী জাইকা ডিএমপির সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যে রয়েছে জনসচেতনতা তৈরি, ট্রাফিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া, ডেটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ।’
তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে কাজ চলমান। এখন যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেটি হলো ঢাকাবাসীর মধ্যে সামগ্রিকভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে‌ সচেতনতা সৃষ্টি করা। রোড সেফটি রোড ব্যবহার ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জাইকা মডেল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’
ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিশু ট্রাফিক পার্ক তৈরি হবে জানিয়ে এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা দেখেছি, জাপান সরকার ১৯৬০ এর দশক থেকে এ কাজগুলো করে আসছে। আমাদের ট্রাফিকের যে কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতে জানা গেছে, জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমরা শিশু বয়সে আছি। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে আমরা শিশুদের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গত এক-দুই বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। শিশুরা যেন ছোটবেলা থেকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন থাকে এ লক্ষ্যে আমরা অদূর ভবিষ্যতে শিশু ট্রাফিক পার্ক করতে যাচ্ছি।’
কিছুদিন আগে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ১৩ জন পুলিশ সদস্য জাপান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডেটা এনালাইসিস করে কোন জায়গায় যানজট বেশি হচ্ছে এবং কোন জায়গায় দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে এ সব বিষয়ে বিশ্লেষণ করছি। এ সব জায়গায় কাজে আমরা গুরুত্বারোপ করছি।’