ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নারী সাংবাদিকতার এক আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনাকে কোনো দেশ গ্রহণ করেননি ভারত করেছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিরাজদিখানে রাতের অধারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ বরগুনায় বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘মব-সন্ত্রাস’ বন্ধসহ চার দাবিতে গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে, সড়ক নেই — চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, সেলাই করলেন ওয়ার্ড বয়! মাগুরার মহম্মদপুরে শিক্ষক হান্নানের ক্লাস বর্জনের অভিযোগ

মাগুরার হৃদয়পুরে ফসলি জমির টপসয়েল মাটিকাটার অভিযোগ, ইউএনওর হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ

মো: রনি আহমেদ রাজু ,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :

মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুরিয়া বিল মাঠে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি এবং মাছের ঘের করার উদ্দেশ্যে মাটি কাটার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। রফিকুল নামে এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার ১১ জুন দুপুর ২.৪৪ টার সময়ে স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর টলি গাড়ি দিয়ে ধানের ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় ভরাট করছেন।স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর ড্রাইভারদের কাছে ফসলি জমির মাটি কাটার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন জমির মালিক রফিকুল মাটি কেটে স্থানান্তর করছে। রফিকুল ফোন দিতে বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খানজারি নামের এক ছেলে সাংবাদিকদের বলেন আমাদের জমির মাটি আমরা কাটছি এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন, কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে বারবার বলেন, নিজের জমির মাটি কাটবো তার আবার অনুমোদন। আমাদের মাটি কাটার অনুমোদন পত্র নেওয়া আছে আপনারা যা পারেন তাই করেন এবং পত্রিকাকে অবজ্ঞা মূলক কথা বলে। খানজারি নামের ছেলেটিকে অনুমোদনপত্র আনার কথা বললে তিনি রফিকুলকে ফোন দেন, রফিকুল সরজমিনে এসে একই কথা বলে আমার জমির মাটি আমি কাটবো এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন নিতে হবে। নিজের জমির মাটি কাটার অনুমোদন নিতে হয় সেইটা আমার জানা নাই, রাগান্বিত ওই ছেলেকে ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদন পত্র দেখতে চাইলে ঐ ছেলে খানজারি এবং তার চাচা রফিকুল বলেন আপনারা যান পরে অনুমোদন পত্র দেখাবো। তিনি আরও বলেন, এই জমি নিয়ে বিরোধীয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমানা নিয়ে ঝামেলা চলতেছে এজন্য চারপাশে উচু করে দিচ্ছি এবং অতিরিক্ত মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি। অতঃপর মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের কাছে হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর মাঠের ভাতুড়িয়া মাঠের ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদনের কথা জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি কোন ফসলী জমি টপসয়েল মাটি কাটার জন্য কোন আবেদন পাইনি এবং মাটি কাটার জন্য কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আপনারা ওখানে থাকেন আমার প্রতিনিধি যাচ্ছে আর ফসলি জমির মাটিকাটা বন্ধ থাকবে। কিছু সময় পর হাজীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে নায়েবের প্রতিনিধি এসে হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুড়িয়া মাঠের ফসলি জমির টপসয়েল মাটি কাটা বন্ধ করে দেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

মাগুরার হৃদয়পুরে ফসলি জমির টপসয়েল মাটিকাটার অভিযোগ, ইউএনওর হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ

আপডেট টাইম : ১২:৪৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

মো: রনি আহমেদ রাজু ,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি :

মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুরিয়া বিল মাঠে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি এবং মাছের ঘের করার উদ্দেশ্যে মাটি কাটার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। রফিকুল নামে এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার ১১ জুন দুপুর ২.৪৪ টার সময়ে স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর টলি গাড়ি দিয়ে ধানের ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় ভরাট করছেন।স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর ড্রাইভারদের কাছে ফসলি জমির মাটি কাটার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন জমির মালিক রফিকুল মাটি কেটে স্থানান্তর করছে। রফিকুল ফোন দিতে বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খানজারি নামের এক ছেলে সাংবাদিকদের বলেন আমাদের জমির মাটি আমরা কাটছি এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন, কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে বারবার বলেন, নিজের জমির মাটি কাটবো তার আবার অনুমোদন। আমাদের মাটি কাটার অনুমোদন পত্র নেওয়া আছে আপনারা যা পারেন তাই করেন এবং পত্রিকাকে অবজ্ঞা মূলক কথা বলে। খানজারি নামের ছেলেটিকে অনুমোদনপত্র আনার কথা বললে তিনি রফিকুলকে ফোন দেন, রফিকুল সরজমিনে এসে একই কথা বলে আমার জমির মাটি আমি কাটবো এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন নিতে হবে। নিজের জমির মাটি কাটার অনুমোদন নিতে হয় সেইটা আমার জানা নাই, রাগান্বিত ওই ছেলেকে ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদন পত্র দেখতে চাইলে ঐ ছেলে খানজারি এবং তার চাচা রফিকুল বলেন আপনারা যান পরে অনুমোদন পত্র দেখাবো। তিনি আরও বলেন, এই জমি নিয়ে বিরোধীয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমানা নিয়ে ঝামেলা চলতেছে এজন্য চারপাশে উচু করে দিচ্ছি এবং অতিরিক্ত মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি। অতঃপর মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের কাছে হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর মাঠের ভাতুড়িয়া মাঠের ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদনের কথা জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি কোন ফসলী জমি টপসয়েল মাটি কাটার জন্য কোন আবেদন পাইনি এবং মাটি কাটার জন্য কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আপনারা ওখানে থাকেন আমার প্রতিনিধি যাচ্ছে আর ফসলি জমির মাটিকাটা বন্ধ থাকবে। কিছু সময় পর হাজীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে নায়েবের প্রতিনিধি এসে হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুড়িয়া মাঠের ফসলি জমির টপসয়েল মাটি কাটা বন্ধ করে দেন।