ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন মীমাংসিত সম্পত্তি দাম বেড়ে যাওয়ায় পূর্ণরায় দখলের পাঁয়তারা কালিহাতীতে সবজি চাষে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ: প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন আদমদীঘিতে হত্যার হুমকি দিয়ে কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ: অতঃপর গ্রেপ্তার কালিয়াকৈরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত অবৈধ ম্যাজিক জাল উদ্ধারে গিয়ে গ্রামপুলিশ আহত আদমদীঘিতে উপজেলা ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিশাল কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে আড়ম্বরপূর্ণভাবে কালবেলার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন দুর্নীতি ও লুটপাটের পরেও অর্থনীতি টিকে আছে পোশাক শিল্পের উপর- উপদেষ্টা আসিফ অনলাইনে সরব: অডিও কলে সমন্বয়ককে ধমকালেন সাবেক এমপি নাঈমুজ্জামান
থানায় অভিযোগ!

মহম্মদপুরে হত্যা মামলার আসিমীরা জামিনে এসে সভাপতি আহাদের নেতিৃত্বে বাদীকে মারধর 

মিজানুর রহমান, মগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরার, মহম্মদপুর উপজেলার রাজপাট গ্রামের আলোচিত গোবিন্দ সাহা হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদী ও তার পরিবারের স্বজনদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বাদী গোপাল সাহা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ২২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ, শনিবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় রাজপাট গ্রামের শক্তিনাথ সাহার ছেলে গোপাল অরফে শিমুল সাহা, মৃত অজিত সাহার ছেলে গৌতম সাহা, শক্তিনাথ সাহা, কৃষ্ণগোপাল সাহা, সুর্যকান্ত সরকারের ছেলে সুবাশ সরকার ও প্রভাষ সরকার এবং সুবাশ সরকারের ছেলে প্রান্ত সরকার, বাদী গোপালের বাড়ীতে গিয়ে মামলা তুলে নেয়ার বিভিন্ন প্রাণ নাশের হুমকী দেন এবং বলে মামলা তুলে না নিলে তার বাবার মতো তাকেও কুপিয়ে হত্যা করবে বলে জানা বাদী। এর কিছুক্ষন পর বাদী গোপাল সাহা রাজাপুর বাজারের উত্তর পাশে পাট গলির সাথে তার মুদির দোকানে গেলে বড় কলমধারী গ্রামের মৃত মকবুল মোল্লার ছেলে রাজাপুর বাজারের সভাপতি আহাদ মোল্যার নেতৃত্বে বাদী গোপালের দোকানের সামনেই উক্ত হত্যা মামলার আসামীরা হামলা করে এবং তাকে মেরে আহত করলে তার ডাক চিৎকারে লোকজন এসে গোপাল সাহাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। নিহতের স্বজনরা জানান, আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলা তুলে না নিলে ফের হামলা ও মারধর করবে। ফলে নিহতের পরিবারের অনেকেই পালিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
উক্ত আসামীগণ বাদী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য বিভিন্ন নেতারকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোন উপয়ন্তর না পেয়ে উল্টে কোর্টে ৩২৩ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা করেন বলে জানা যায়। বাদী জানান আমার পিছনে লেগে আছেন রাজপাট গ্রামের সুকুমার নাম করে এক ওসি তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলার এক থানায় কর্মরত আছেন।
পিছনে লাগার কারণ জানতে চাইলে বাদী জানান আমার বাবা হত্যা মামলায় তার আপন দুই ভাই সুধাংশু বিশ্বাস ও সুভাষ বিশ্বাস আসামি ছিলেন তাদের নাম যে কোন কারণে চার্জশীট থেকে বাদ যায় আমার উকিল কোর্টে তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নারাজী পিটিশন দিয়েছেন এর প্রেক্ষিতে ওই ওসি আমার ক্ষতি করার জন্য আমার পিছে উঠে পড়ে লেগে আছেন। আজ আমাকে মারার সময় ওসি ভাই সুভাষ বিশ্বাস ছিলেন।
উল্লেখ্য মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আসামী শক্তিনাথ সাহার হুকুমে গোবিন্দ কুমার সাহাকে আসামী শিমুল সাহা ওরফে গোপাল সাহা খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথা লক্ষ্য করিয়া চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ মারে আসামী গৌতম সাহা একই ভাবে পূর্বের কোপের পাশে ছ্যানদা দ্বারা আরও একটা কোপ মারিলে গোবিন্দ সাহা মাটিতে পড়ে গেলে আসামী ওসি সুকুমারের ভাই শুধাংশু বিশ্বাস হত্যা করার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে কপালের উপর কোপ মারে। আসামী কৃষ্ণ গোপাল সাহা বল্লাম দিয়ে মাথার ডান পাশে ডান কাধের উপর সজোরে কোপ মারিয়া বল্লম মাথায় ঢুকাইয়া দেয়, এরপর আসামী শক্তি নাথ সাহা খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথার পিছনে কয়েকটি আঘাত করে। ওসির সুকুমারের ভাই আসামী সুভাষ বিশ্বাস মাথা লক্ষ্য করিয়া দিয়ে আঘাত করে উক্ত আঘাত নাকে লাগিয়া নাক ভাঙ্গিয়া যায়। এরপর হত্যা নিশ্চিত করতে আসামী প্রভাস উভয় হাতে উপর্যপুরী আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে। আসামী রাজ সাহা মাথার উপরে এবং আসামী উজ্জল সরকার ডান পায়ের গোড়ালিতে লোহার রড দ্বারা আঘাত করে। আসামী সৌরভ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দ্বারা পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার সময় বাদী ঘটনাস্থলে ছিলেন আসামীদের ভয়ংকর আচরনের কারণে কোনভাবে বাদী গোপাল সাহা তার পিতাকে বাঁচতে পারে নাই।
২৫-১১-২০২৩ তারিখে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৬-১১-২০২৩ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ০১-১২-২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৮.৪০ মিনিট এর সময় মৃত্যুবরণ করেন।
ওসি সুকুমার বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে তাহার দুই সহোদর ভাইয়ের হত্যা মালার চার্জশীট থেকে নাম বাদ যায় বিস্তারিত আসছে…..।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসকের উপর হামলা: প্রতিবাদে মানববন্ধন

থানায় অভিযোগ!

মহম্মদপুরে হত্যা মামলার আসিমীরা জামিনে এসে সভাপতি আহাদের নেতিৃত্বে বাদীকে মারধর 

আপডেট টাইম : ১০:৫২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

মিজানুর রহমান, মগুরা প্রতিনিধি :
মাগুরার, মহম্মদপুর উপজেলার রাজপাট গ্রামের আলোচিত গোবিন্দ সাহা হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদী ও তার পরিবারের স্বজনদের মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন হুমকি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বাদী গোপাল সাহা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মহম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় ২২ জুন ২০২৪ ইং তারিখ, শনিবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকায় রাজপাট গ্রামের শক্তিনাথ সাহার ছেলে গোপাল অরফে শিমুল সাহা, মৃত অজিত সাহার ছেলে গৌতম সাহা, শক্তিনাথ সাহা, কৃষ্ণগোপাল সাহা, সুর্যকান্ত সরকারের ছেলে সুবাশ সরকার ও প্রভাষ সরকার এবং সুবাশ সরকারের ছেলে প্রান্ত সরকার, বাদী গোপালের বাড়ীতে গিয়ে মামলা তুলে নেয়ার বিভিন্ন প্রাণ নাশের হুমকী দেন এবং বলে মামলা তুলে না নিলে তার বাবার মতো তাকেও কুপিয়ে হত্যা করবে বলে জানা বাদী। এর কিছুক্ষন পর বাদী গোপাল সাহা রাজাপুর বাজারের উত্তর পাশে পাট গলির সাথে তার মুদির দোকানে গেলে বড় কলমধারী গ্রামের মৃত মকবুল মোল্লার ছেলে রাজাপুর বাজারের সভাপতি আহাদ মোল্যার নেতৃত্বে বাদী গোপালের দোকানের সামনেই উক্ত হত্যা মামলার আসামীরা হামলা করে এবং তাকে মেরে আহত করলে তার ডাক চিৎকারে লোকজন এসে গোপাল সাহাকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। নিহতের স্বজনরা জানান, আসামিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলা তুলে না নিলে ফের হামলা ও মারধর করবে। ফলে নিহতের পরিবারের অনেকেই পালিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
উক্ত আসামীগণ বাদী ও স্বজনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য বিভিন্ন নেতারকর্মীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোন উপয়ন্তর না পেয়ে উল্টে কোর্টে ৩২৩ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা করেন বলে জানা যায়। বাদী জানান আমার পিছনে লেগে আছেন রাজপাট গ্রামের সুকুমার নাম করে এক ওসি তিনি বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলার এক থানায় কর্মরত আছেন।
পিছনে লাগার কারণ জানতে চাইলে বাদী জানান আমার বাবা হত্যা মামলায় তার আপন দুই ভাই সুধাংশু বিশ্বাস ও সুভাষ বিশ্বাস আসামি ছিলেন তাদের নাম যে কোন কারণে চার্জশীট থেকে বাদ যায় আমার উকিল কোর্টে তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নারাজী পিটিশন দিয়েছেন এর প্রেক্ষিতে ওই ওসি আমার ক্ষতি করার জন্য আমার পিছে উঠে পড়ে লেগে আছেন। আজ আমাকে মারার সময় ওসি ভাই সুভাষ বিশ্বাস ছিলেন।
উল্লেখ্য মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ আসামী শক্তিনাথ সাহার হুকুমে গোবিন্দ কুমার সাহাকে আসামী শিমুল সাহা ওরফে গোপাল সাহা খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথা লক্ষ্য করিয়া চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ মারে আসামী গৌতম সাহা একই ভাবে পূর্বের কোপের পাশে ছ্যানদা দ্বারা আরও একটা কোপ মারিলে গোবিন্দ সাহা মাটিতে পড়ে গেলে আসামী ওসি সুকুমারের ভাই শুধাংশু বিশ্বাস হত্যা করার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে কপালের উপর কোপ মারে। আসামী কৃষ্ণ গোপাল সাহা বল্লাম দিয়ে মাথার ডান পাশে ডান কাধের উপর সজোরে কোপ মারিয়া বল্লম মাথায় ঢুকাইয়া দেয়, এরপর আসামী শক্তি নাথ সাহা খুন করার অসৎ উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথার পিছনে কয়েকটি আঘাত করে। ওসির সুকুমারের ভাই আসামী সুভাষ বিশ্বাস মাথা লক্ষ্য করিয়া দিয়ে আঘাত করে উক্ত আঘাত নাকে লাগিয়া নাক ভাঙ্গিয়া যায়। এরপর হত্যা নিশ্চিত করতে আসামী প্রভাস উভয় হাতে উপর্যপুরী আঘাত করিয়া মারাত্মক জখম করে। আসামী রাজ সাহা মাথার উপরে এবং আসামী উজ্জল সরকার ডান পায়ের গোড়ালিতে লোহার রড দ্বারা আঘাত করে। আসামী সৌরভ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার রড দ্বারা পিটাইয়া মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে যায়। ঘটনার সময় বাদী ঘটনাস্থলে ছিলেন আসামীদের ভয়ংকর আচরনের কারণে কোনভাবে বাদী গোপাল সাহা তার পিতাকে বাঁচতে পারে নাই।
২৫-১১-২০২৩ তারিখে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৬-১১-২০২৩ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ০১-১২-২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৮.৪০ মিনিট এর সময় মৃত্যুবরণ করেন।
ওসি সুকুমার বিশ্বাসের হস্তক্ষেপে তাহার দুই সহোদর ভাইয়ের হত্যা মালার চার্জশীট থেকে নাম বাদ যায় বিস্তারিত আসছে…..।