ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপক হুজ্জত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

মঞ্জুরুল ইসলাম রতন :

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুজ্জত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী মিসেস মাহমুদা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সোমবার ৮ই জুলাই দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে সংস্থাটির জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদক উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মো. হুজ্জত উল্লাহ সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর নামে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪ হাজার ৭৯৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে এই আসামির বৈধ আয় পাওয়া যায় ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৯৩ টাকা।
অর্থাৎ তিনি নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৭০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার ৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
তাঁর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নামে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. হুজ্জত উল্লাহর নিজের এবং স্ত্রীর নামে অর্জিত মোট স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা। হুজ্জত উল্লাহর অর্জিত অর্থ স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নামে ২০১১-২০১২ সালে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। সম্পদ বিবরণীতে লেকসিটি কনকর্ড ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রকল্পে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার সম্পদ আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামি মাহমুদা খাতুন আয়কর নথিতে নিজ আয়ের উৎস হিসেবে পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তবে অনুসন্ধানকালে মাহমুদা খাতুনের কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা করেছেন এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, যেহেতু তিনি একজন গৃহবধূ এবং কোনো প্রকার আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, সেহেতু তিনি স্বামীর অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে সম্পদশালী হয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপক হুজ্জত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট টাইম : ০৮:২২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

মঞ্জুরুল ইসলাম রতন :

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুজ্জত উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী মিসেস মাহমুদা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত সোমবার ৮ই জুলাই দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার বাদী হয়ে সংস্থাটির জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদক উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি মো. হুজ্জত উল্লাহ সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর নামে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪ হাজার ৭৯৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে এই আসামির বৈধ আয় পাওয়া যায় ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৯৩ টাকা।
অর্থাৎ তিনি নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯২ হাজার ৭০৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৯০ লাখ ৬৮ হাজার ৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
তাঁর স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নামে দায়ের হওয়া অন্য একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. হুজ্জত উল্লাহর নিজের এবং স্ত্রীর নামে অর্জিত মোট স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৭ টাকা। হুজ্জত উল্লাহর অর্জিত অর্থ স্ত্রী মাহমুদা খাতুনের নামে ২০১১-২০১২ সালে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার প্লট ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। সম্পদ বিবরণীতে লেকসিটি কনকর্ড ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা প্রকল্পে ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকার সম্পদ আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামি মাহমুদা খাতুন আয়কর নথিতে নিজ আয়ের উৎস হিসেবে পেশা ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। তবে অনুসন্ধানকালে মাহমুদা খাতুনের কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা করেছেন এমন কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, যেহেতু তিনি একজন গৃহবধূ এবং কোনো প্রকার আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, সেহেতু তিনি স্বামীর অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে সম্পদশালী হয়েছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।