ঢাকা ০৭:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি থামলেও রাস্তার পানি শুকায় না! ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করবে বিএনপি – আমিনুল হক অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা বিতরণ জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে আবার যোগ দিল গণফোরাম-সিপিবি গিভিংটুইসডে মুভমেন্টের কমিউনিটি ডিরেক্টর হলেন হাসান মাহামুদ দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, প্রস্তুত গুলশানে বাড়ি সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ! বহাল তবিয়তে আছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হক! শরীয়তপুরে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

নাদিম আহমেদ অনিক,নিজস্ব প্রতিনিধি-
চাইতে গেলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার, আমরা নই রাজাকার চাই আমরা অধিকার এই স্লোগানকে সামনে রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে শুরু হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।
বুধবার দুপুরে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দেয় বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে এদিন সকাল ১০ টায় উপজেলার সান্তাহার বিপি স্কুল থেকে শুরু করে পৌর শহরের সরকারি কলেজ হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র এসে ঘন্টাব্যাপী বিভিন্ন দাবি তুলে শ্লোগান দেন তারা। এরপর তারা রেললাইনের উপর বসে পড়ে। এতে ট্রেনটি থেমে যায়। এ ঘটনায় উত্তরবঙ্গের সাথে প্রায় ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেলগেট এসে দীর্ঘ সময় রেললাইন অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা সকলে মেধার মূল্যায়ন চাই। এই মেধার মূল্যায়ন চাইতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের ভাইবোনদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। তাদের হামলার কারণে আহত হয়ে আমাদের অনেক ভাই মৃত্যু বরণ করেছে। আমরা আর কোনো ভাই বোনদের হারাতে চাই না। সেই কারণে সারাদেশে চলমান নায্য দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও রাস্তায় নেমেছি। প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে যতোদিন মেধার মৃল্যায়ন করা না হবে ততোদিন পর্যন্ত। সেই সাথে সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত কোটা সংস্কার করা হোক।
এদিকে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্তক অবস্থানে ছিলেন তাঁরা।
আদমদীঘি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উত্তাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরমধ্যে প্রচন্ড রোদে আন্দোলনে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে যান। তাদের খাবার পানি ও স্যালাইন খাইয়ে সুস্থ করেন তিনি৷ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে  আন্দোলন করা হচ্ছে এটা সঠিক উপায় নয়।  হাইকোর্টে অপেক্ষাধীন অবস্থায় রয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে এই কোটা সংষ্কার বিষয়ে একটা সমাধান আসবে।
আদমদিঘী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ এর উপস্থিতি ও থানা পুলিশ এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু, সহ-সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মির্জাগঞ্জে বৃষ্টি থামলেও রাস্তার পানি শুকায় না!

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

আপডেট টাইম : ১১:৪৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪
নাদিম আহমেদ অনিক,নিজস্ব প্রতিনিধি-
চাইতে গেলাম অধিকার হয়ে গেলাম রাজাকার, আমরা নই রাজাকার চাই আমরা অধিকার এই স্লোগানকে সামনে রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।
সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে শুরু হয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।
বুধবার দুপুরে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে দেয় বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে এদিন সকাল ১০ টায় উপজেলার সান্তাহার বিপি স্কুল থেকে শুরু করে পৌর শহরের সরকারি কলেজ হয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র এসে ঘন্টাব্যাপী বিভিন্ন দাবি তুলে শ্লোগান দেন তারা। এরপর তারা রেললাইনের উপর বসে পড়ে। এতে ট্রেনটি থেমে যায়। এ ঘটনায় উত্তরবঙ্গের সাথে প্রায় ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রেলগেট এসে দীর্ঘ সময় রেললাইন অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা সকলে মেধার মূল্যায়ন চাই। এই মেধার মূল্যায়ন চাইতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের ভাইবোনদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। তাদের হামলার কারণে আহত হয়ে আমাদের অনেক ভাই মৃত্যু বরণ করেছে। আমরা আর কোনো ভাই বোনদের হারাতে চাই না। সেই কারণে সারাদেশে চলমান নায্য দাবি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও রাস্তায় নেমেছি। প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে যতোদিন মেধার মৃল্যায়ন করা না হবে ততোদিন পর্যন্ত। সেই সাথে সরকারের কাছে অনুরোধ দ্রুত কোটা সংস্কার করা হোক।
এদিকে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্তক অবস্থানে ছিলেন তাঁরা।
আদমদীঘি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উত্তাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরমধ্যে প্রচন্ড রোদে আন্দোলনে প্রায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে যান। তাদের খাবার পানি ও স্যালাইন খাইয়ে সুস্থ করেন তিনি৷ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে  আন্দোলন করা হচ্ছে এটা সঠিক উপায় নয়।  হাইকোর্টে অপেক্ষাধীন অবস্থায় রয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে এই কোটা সংষ্কার বিষয়ে একটা সমাধান আসবে।
আদমদিঘী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ এর উপস্থিতি ও থানা পুলিশ এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান পিন্টু, সহ-সকলের যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তী রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।