ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখানে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ গাজীপুরে আদালত পাড়ায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরণের উপর ডিম নিক্ষেপ গাজীপুরে আজান নিয়ে আপত্তি, সচিব রিমির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেরই অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কোটালীপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩ সান্তাহারে ভটভটি-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ মিরপুর শাহআলী মাজারে পুলিশের নাকের ডগায় মাদক ব্যবসা বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাসের- প্রণয় ভার্মা গাজীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাদামির ইন্তেকাল মিরপুরের আলোচিত আলমগীর চৌধুরী এখন বিএনপির সক্রিয় কর্মি!

অপরাধ জগতের ডন আশুলিয়ার শ্রমিকলীগ নেতা হাবিব

বিশেষ প্রতিনিধি :
আশুলিয়া থানাধীন ঢাকা সোসাইটি এলাকার আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামীলীগ এর অংগ সংগঠন জাতীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম চালায় বলে বলে জানা যায়। তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অন্যতম আর্থিক অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগান দাতা ছিলেন বলে জানা যায়। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার চরপদ্মা গ্রামের আব্দুল করিম মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৫৬) বর্তমান ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজ বিল্ডিং সোসাইটি, টাট্টিবাড়ি, কুরগাও, আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করছেন। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলের পূর্বে তিনি মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে আশুলিয়ার কুরগাও এলাকায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে স্বৈরাচারি আওয়ামী সরকারের শুরুর দিকে আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের পৃষ্ঠপোষকতা ও গোপন অর্থায়নে জমির ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে বেশির ভাগ অবৈধ, ভেজাল জমির ব্যবসার পাশাপাশি জবরদখল ও নিরিহ-অসহায় মানুষের উপর জুলুম নির্যাতনে মেতে উঠেন। রাজনৈতিক মদদে ভুমি দস্যুতা করে অল্প দিনের মধ্যেই টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন এই হাবিব। সোসাইটি- কুরগাও এলাকায় রাতারাতি বিশাল অট্টালিকাসহ প্রচুর অর্থ সম্পাদের মালিক বনে যান। রাজধানীর শ্যামলী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্যামলী টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে হাবিবের ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। তথ্যনুসন্ধানে আরও জানা যায়, অতীতে এলাকার সাধারণ জনগণা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। বিভিন্ন পত্রিকায় তার দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেও স্বৈরাচার সরকারের আমলে তার কোন কিছু হয়নি। চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের সাথে গোপন ব্যবসার পার্টনার হওয়ায় তার অপরাধের কারনে কয়েক বার গ্রেফতার হওয়ার পরেও খুব সহজেই রেহাই পেয়ে যায় ওই হাবিব। পরবর্তীতে সে আরও অপ্রতিরোধ্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আংগুল তুলতে সাহস পায়নি কেউ। আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা হয়ে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান নিয়ে ছাত্র ও গণহত্যায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে সম্পৃক্ততা থাকা সত্বেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে হাবিব এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে দল পরিবর্তন করে টাকার জোরে কোন এক স্বার্থান্বেষী মহলের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে পূণরায় পূর্বের ন্যায় আবারও অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে উক্ত শ্রমিকলীগ নেতা হাবিব। গোপন সূত্রে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। অপরাধ জগতের মহাসম্রাট হাবিব এখনো বহাল তবিয়তে এলাকায় পূর্বের ন্যায় এখনো অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখানে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ

অপরাধ জগতের ডন আশুলিয়ার শ্রমিকলীগ নেতা হাবিব

আপডেট টাইম : ০৫:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধি :
আশুলিয়া থানাধীন ঢাকা সোসাইটি এলাকার আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামীলীগ এর অংগ সংগঠন জাতীয় শ্রমিকলীগের সহসভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কার্যক্রম চালায় বলে বলে জানা যায়। তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অন্যতম আর্থিক অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগান দাতা ছিলেন বলে জানা যায়। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার চরপদ্মা গ্রামের আব্দুল করিম মৃধার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব (৫৬) বর্তমান ঢাকা কো-অপারেটিভ হাউজ বিল্ডিং সোসাইটি, টাট্টিবাড়ি, কুরগাও, আশুলিয়া এলাকায় বসবাস করছেন। আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আমলের পূর্বে তিনি মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে আশুলিয়ার কুরগাও এলাকায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে স্বৈরাচারি আওয়ামী সরকারের শুরুর দিকে আশুলিয়া থানার পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের পৃষ্ঠপোষকতা ও গোপন অর্থায়নে জমির ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে বেশির ভাগ অবৈধ, ভেজাল জমির ব্যবসার পাশাপাশি জবরদখল ও নিরিহ-অসহায় মানুষের উপর জুলুম নির্যাতনে মেতে উঠেন। রাজনৈতিক মদদে ভুমি দস্যুতা করে অল্প দিনের মধ্যেই টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন এই হাবিব। সোসাইটি- কুরগাও এলাকায় রাতারাতি বিশাল অট্টালিকাসহ প্রচুর অর্থ সম্পাদের মালিক বনে যান। রাজধানীর শ্যামলী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্যামলী টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে হাবিবের ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়। তথ্যনুসন্ধানে আরও জানা যায়, অতীতে এলাকার সাধারণ জনগণা তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। বিভিন্ন পত্রিকায় তার দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করলেও স্বৈরাচার সরকারের আমলে তার কোন কিছু হয়নি। চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের সাথে গোপন ব্যবসার পার্টনার হওয়ায় তার অপরাধের কারনে কয়েক বার গ্রেফতার হওয়ার পরেও খুব সহজেই রেহাই পেয়ে যায় ওই হাবিব। পরবর্তীতে সে আরও অপ্রতিরোধ্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আংগুল তুলতে সাহস পায়নি কেউ। আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা হয়ে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে সক্রিয় অবস্থান নিয়ে ছাত্র ও গণহত্যায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে সম্পৃক্ততা থাকা সত্বেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারনে হাবিব এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে দল পরিবর্তন করে টাকার জোরে কোন এক স্বার্থান্বেষী মহলের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে পূণরায় পূর্বের ন্যায় আবারও অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে উক্ত শ্রমিকলীগ নেতা হাবিব। গোপন সূত্রে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। অপরাধ জগতের মহাসম্রাট হাবিব এখনো বহাল তবিয়তে এলাকায় পূর্বের ন্যায় এখনো অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।