স্টাফ রিপোর্টার :
মো আলতাফ হোসেন,ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ছাত্র কল্যাণ) জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি। মাগুরার কুখ্যাত সাবেক এমপি, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি ও পাপিয়ার গডফাদার সাইফুজ্জামান শিখরের একান্ত বন্ধু। মাগুরার ডহর সিংড়া গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে তিনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, প্রশ্নপত্র ফাঁস, চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ, অধীনস্থ কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা। সেই টাকায় মাগুরার পলিতা বাজারের পাশে নদীর ধরে নির্মাণ করেছেন রাজকীয় ডুপ্লেক্স বাড়ি। সরকারী সাড়ে তিন একর খাস জমি দখল করে তৈরি করেছেন মাছের খামার। ঢাকায় একাধিক ফ্লাট, বাড়ি, গাড়ি আছে তার। সিংড়া গ্রামের মানুষের কাছে মোঃ আলতাফ হোসেন এর উত্থান যেন স্বপ্নের মতো। সেদিনও ঠিক মতো বাজার করার টাকা ছিল না তার। আজ সে মাগুরা জেলার অন্যতম ধনী ব্যক্তি। আওয়ামী সরকার আমলে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়লেও তার বন্ধু শেখ হাসিনার সাবেক এপিএস সাইফুজ্জামান শিখরের চাপে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারে নি। তার ব্যাপারে দুদকের অনুসন্ধান একান্ত প্রয়োজন। এ সব বিষয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে।
অনুসন্ধানকালে জানাগেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নিরাপত্তা শাখার গার্ড থেকে এমএলএসএস হিসেবে বদলির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ উপাচার্য বরাবর দেন।
অভিযোগে আব্দুল আলিম বলেন, বর্তমানে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগে এম.এল.এস.এস হিসেবে কর্মরত আছি। পুর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গার্ড হিসেবে নিরাপত্তা শাখায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম। নিরাপত্তা শাখায় রাত্রীকালীন দায়িত্ব পালনে আমার সমস্যা হওয়ায় আমি চারুকলা বিভাগে বদলি হতে ইচ্ছা পোষণ করি। এ বিষয়ে আমি রেজিস্ট্রার দফতরের সংশ্লিষ্ট সংস্থাপন শাখায় ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আলতাফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি, যাতে আমার বদলির অর্ডারটি তাড়াতাড়ি হয়।
বদলির কারণে তাকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি তার শর্তে রাজি হয়ে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করি। পরবর্তী সময়ে তিনি অল্প দিনের মধ্যে আমার বদলি অর্ডার করে দেন। আমি একজন ছোট কর্মচারী না বুঝে তার প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। কারণ আমার রাত্রীকালীন ডিউটি করতে সমস্যা হচ্ছিল, বলেন আব্দুল আলিম।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলতাফ হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জানিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ধরনের টাকা লেনদেনের কোনো বিষয়ের সঙ্গে আমি জড়িত না। এসব করার প্রশ্নই আসে না। আমি এসবের সঙ্গে জড়িত না। তবে তিনি কিভাবে মাগুরা ও ঢাকায় কিভাবে এতো সম্পদের মালিক হয়েছেন তার কোন সদুত্তোর দিতে পারেন নি। বিষয়টি দুদকের নজরে আনা হয়েছে।
শিরোনাম :
জবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার আলতাফ এতো টাকা কোথায় পেলেন?
- খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৬:০৯:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ৮০০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ