ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক নতুন ব্যাগ নিয়ে বিদ্যালয়ে হাজির ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের চমকে দিলেন ইউএনও আড়পাড়া ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বাক্ষর জালিয়াতি  গভর্নিং বডি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ বিশেষ চুক্তিতে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে রেটকোট ফাঁস করেছেন পিডি মঞ্জুরুল হক! ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের সৌজন্য সাক্ষাৎ বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে মাসুদ রানা ও নান্নুর ভয়ংকর সিন্ডিকেট! ষড়যন্ত্রকারী যত চেষ্টাই করুক; সফল হবে না, জনগণের সরকারই আগামী নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত হবে – আমিনুল হক নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস বয়সী দুই যজম কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগ পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত

৫ আগস্টের পর থেকে দেশে কোথাও কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক হয়নি- পঞ্চগড়ে মামুনুল হক

মোহাম্মদ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে কোথাও কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক হয়নি। আসলে দেশে কখনই সংখ্যালঘু নির্যাতনের আসল ঘটনা হতো না। যেটা হতো সেটার নাম হলো নাটক। এই নাটকের কলাকৌশলী হলো শেখ হাসিনা এবং তার দোসরেরা।

তিনি রোববার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজিত নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি দুটি মূলনীতির উপর। প্রথম রাজনৈতিক দর্শন ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের মানুষ যে বাকশালের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বেশী যুবকের প্রাণহানি হয়েছে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে আমার মায়ের সন্তানদের হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনীরা। ৭১ থেকে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমার ত্রিশ হাজার মায়ের বুক এবং কোল খালি করেছে বাকশালীরা। এবং এই বাকশাল ছিল শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল। সেই বাকশালের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সংঘঠিত হয়েছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। সেখানে নারী পুরুষ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। সেটার জন্য আমরা সমবেদনা জানাই কিন্তু কথা হল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট কেন তৈরি হয়েছিল, কেন ৩০ হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছিল, কেন সিকদারগনকে হত্যা করা হয়েছিল। কেন স্বাধীন বাংলাদেশে এভাবে ক্রসফায়ারের অশুভ সংস্কৃতি চালু করে, কষ্ট যন্ত্রের নিপীড়নে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে ৫০ বছর মায়া কান্না করে গেলেন। কেন আপনার ভাইয়ের রক্তের দাম আছে, এদেশের ৩০ হাজার ভাই বোনের রক্তের দাম আপনার কাছে না থাকলে, এদেশের মানুষেরও কাছে আপনার বাব ভাইয়ের রক্তেরও কোন দাম নাই। এরপরে যেটা করলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি বললেন। যে জাতি তার বাবাকে হত্যা করেছে, তিনি সেই জাতির কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। তারপর ঘোষণা দিয়ে নামলেন প্রতিশোধের রাজনীতিতে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দিন, মাহবুবুল হক, সদস্য সচিব আবু সাইদ নোমান, বায়তুল মাল সম্পাদক ফজলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা শাখার আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত জেনে কিছু দল পিআর পদ্ধতি চাইছে: আমিনুল হক

৫ আগস্টের পর থেকে দেশে কোথাও কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক হয়নি- পঞ্চগড়ে মামুনুল হক

আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোহাম্মদ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে কোথাও কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক হয়নি। আসলে দেশে কখনই সংখ্যালঘু নির্যাতনের আসল ঘটনা হতো না। যেটা হতো সেটার নাম হলো নাটক। এই নাটকের কলাকৌশলী হলো শেখ হাসিনা এবং তার দোসরেরা।

তিনি রোববার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজিত নৈরাজ্য প্রতিরোধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মামুনুল হক।

এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি দুটি মূলনীতির উপর। প্রথম রাজনৈতিক দর্শন ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল বাংলাদেশের মানুষ যে বাকশালের দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বেশী যুবকের প্রাণহানি হয়েছে ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে আমার মায়ের সন্তানদের হত্যা করেছিল পাক হানাদার বাহিনীরা। ৭১ থেকে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত আমার ত্রিশ হাজার মায়ের বুক এবং কোল খালি করেছে বাকশালীরা। এবং এই বাকশাল ছিল শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল। সেই বাকশালের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সংঘঠিত হয়েছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। সেখানে নারী পুরুষ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিল। সেটার জন্য আমরা সমবেদনা জানাই কিন্তু কথা হল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট কেন তৈরি হয়েছিল, কেন ৩০ হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছিল, কেন সিকদারগনকে হত্যা করা হয়েছিল। কেন স্বাধীন বাংলাদেশে এভাবে ক্রসফায়ারের অশুভ সংস্কৃতি চালু করে, কষ্ট যন্ত্রের নিপীড়নে সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে ৫০ বছর মায়া কান্না করে গেলেন। কেন আপনার ভাইয়ের রক্তের দাম আছে, এদেশের ৩০ হাজার ভাই বোনের রক্তের দাম আপনার কাছে না থাকলে, এদেশের মানুষেরও কাছে আপনার বাব ভাইয়ের রক্তেরও কোন দাম নাই। এরপরে যেটা করলেন, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি বললেন। যে জাতি তার বাবাকে হত্যা করেছে, তিনি সেই জাতির কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। তারপর ঘোষণা দিয়ে নামলেন প্রতিশোধের রাজনীতিতে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিনের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দিন, মাহবুবুল হক, সদস্য সচিব আবু সাইদ নোমান, বায়তুল মাল সম্পাদক ফজলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা শাখার আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক ক্বারী মো আব্দুল্লাহ প্রমুখ।