ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নওগাঁয় সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত শাহআলী থানায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা না নিতে থানা ঘেরাও নওগাঁয় সাড়ে ৩ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার- ৩ বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের রূপনগরে বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি: ২০ হাজার নিমগাছ রোপণের উদ্যোগ ঘোষণা আমিনুল হকের দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশন এর নতুন অফিস উদ্বোধন মির্জাগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করায় বাদী কারাগারে মাগুরা জেলা পুলিশের উদ্যোগে হাজীপুর ইউনিয়নে সিসিটি টিভি ক্যামেরা চালু মির্জাগঞ্জে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ইরানে চলমান সংঘাত নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ

পূবাইল আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন ফজলুল হক মিলন

রেজাউল করিম গাজীপুর থেকে-
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির কমিটি নিয়ে বিএনপির মিলন ও রনি গ্রুপের বিরোধের জেরে কলেজ অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান ও ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল হাসনাত লাইসের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার একদিন পর এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেরের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মোঃ আবদুল হাই সিদ্দিক সরকারের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা যায়।আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার পূবাইল আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির কমিটি নিয়ে মিলন ও রনি গ্রুপের সমর্থকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান ও উপাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত লাইসের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। উপাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত লাইসের কক্ষে তালা দেন মিলন গ্রুপের সমর্থকেরা। অধ্যক্ষ কাইয়ুম খানের কক্ষে তালা দেন রনি গ্রুপের সমর্থকেরা।
ওই দিনই সিনিয়র নেতা হিসাবে জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনকে গভর্নিং বডির সভাপতি দেয়ার শর্তে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনির মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় পূবাইল থানা পুলিশ এসে তালা খুলে দেন।অবসান ঘটে চরম উৎকন্ঠার। ফলে তালা দেয়া ও খোলার একদিনের মাথায় মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন পূবাইল আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সাবেক বিএনপি সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর সিটির প্রতিষ্ঠাতা মেয়র পূবাইল আদর্শ কলেজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে বর্তমান গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনিকে সভাপতি করার জোর দাবি ছিল স্থানীয় বিএনপি- জনতার।
অন্যদিকে কলেজের অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেয়াকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উভয়পক্ষই তাদের অপসারণের নাটক সাজায়।
অন্যদিকে পূবাইল থানার ওসি এস.এম. আমিরুল ইসলাম বলেন প্রিন্সিপালের কক্ষে তালা দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন বলে প্রচার করেছিল বিএনপির।তথ্য নিয়ে জানা যায় বিএনপির দু’গ্রুপের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তালা মেরেছে তারা। কার্যত এটা ছিল বিএনপির দু’গ্রুপের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে দ্বন্দ্ব।

বিষয়টি জানতে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সোমবার দুপুরের পর থেকে দিনভর বিকাল পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে গাজীপুর সিটির ৪১ নং ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার পূবাইল আদর্শ কলেজ ক্যাম্পাসে।
পূবাইল থানা বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা যুগান্তরকে জানান ফোনে বলা যাবেনা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তবে তালা দেয়ার ঘটনা সত্য।
কলেজ অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান যুগান্তরকে জানান দেশের পট পরিবর্তনের পর অদ্যাবধি আমার অপসারণের প্রশ্ন উঠেনি। আমি বলেছি দু’গ্রুপ সমন্বয় করে কমিটি করেন। কিন্ত আমার অনুপস্থিতিতে তাদের গ্রুপিংয়ের কারণে আমার অপসারণ চেয়ে কক্ষে তালা ঝুলিয়েছেন একটি গ্রুপ। উপাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত লাইস জানান মিলন গ্রুপের সমর্থকেরা আমার কক্ষে তালা মেরেছে। তবে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান ও উপাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত লাইস।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত

পূবাইল আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হলেন ফজলুল হক মিলন

আপডেট টাইম : ০২:৪৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রেজাউল করিম গাজীপুর থেকে-
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গভর্নিং বডির কমিটি নিয়ে বিএনপির মিলন ও রনি গ্রুপের বিরোধের জেরে কলেজ অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান ও ভাইস প্রিন্সিপাল আবুল হাসনাত লাইসের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার একদিন পর এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেরের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মোঃ আবদুল হাই সিদ্দিক সরকারের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানা যায়।আগামী ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার পূবাইল আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির কমিটি নিয়ে মিলন ও রনি গ্রুপের সমর্থকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান ও উপাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত লাইসের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। উপাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত লাইসের কক্ষে তালা দেন মিলন গ্রুপের সমর্থকেরা। অধ্যক্ষ কাইয়ুম খানের কক্ষে তালা দেন রনি গ্রুপের সমর্থকেরা।
ওই দিনই সিনিয়র নেতা হিসাবে জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনকে গভর্নিং বডির সভাপতি দেয়ার শর্তে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনির মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় পূবাইল থানা পুলিশ এসে তালা খুলে দেন।অবসান ঘটে চরম উৎকন্ঠার। ফলে তালা দেয়া ও খোলার একদিনের মাথায় মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন পূবাইল আদর্শ কলেজ গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সাবেক বিএনপি সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং গাজীপুর সিটির প্রতিষ্ঠাতা মেয়র পূবাইল আদর্শ কলেজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে বর্তমান গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনিকে সভাপতি করার জোর দাবি ছিল স্থানীয় বিএনপি- জনতার।
অন্যদিকে কলেজের অধ্যক্ষ উপাধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেয়াকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে উভয়পক্ষই তাদের অপসারণের নাটক সাজায়।
অন্যদিকে পূবাইল থানার ওসি এস.এম. আমিরুল ইসলাম বলেন প্রিন্সিপালের কক্ষে তালা দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন বলে প্রচার করেছিল বিএনপির।তথ্য নিয়ে জানা যায় বিএনপির দু’গ্রুপের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তালা মেরেছে তারা। কার্যত এটা ছিল বিএনপির দু’গ্রুপের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে দ্বন্দ্ব।

বিষয়টি জানতে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, সোমবার দুপুরের পর থেকে দিনভর বিকাল পর্যন্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে গাজীপুর সিটির ৪১ নং ওয়ার্ডের খিলগাঁও এলাকার পূবাইল আদর্শ কলেজ ক্যাম্পাসে।
পূবাইল থানা বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা যুগান্তরকে জানান ফোনে বলা যাবেনা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তবে তালা দেয়ার ঘটনা সত্য।
কলেজ অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান যুগান্তরকে জানান দেশের পট পরিবর্তনের পর অদ্যাবধি আমার অপসারণের প্রশ্ন উঠেনি। আমি বলেছি দু’গ্রুপ সমন্বয় করে কমিটি করেন। কিন্ত আমার অনুপস্থিতিতে তাদের গ্রুপিংয়ের কারণে আমার অপসারণ চেয়ে কক্ষে তালা ঝুলিয়েছেন একটি গ্রুপ। উপাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত লাইস জানান মিলন গ্রুপের সমর্থকেরা আমার কক্ষে তালা মেরেছে। তবে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অধ্যক্ষ কাইয়ুম খান ও উপাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত লাইস।