ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে ফরিদপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিহত খালেদা জিয়া যে কোনো সময়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাভারের বহুরুপী হাবিব এখন জামায়াতের বড় নেতা

অবৈধ টাকার জোরে কতিপয় দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায় কখনো জাতীয়পার্টি, কখনো জামায়াতের পরিচয় দানকারী, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতাকা তলে থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জোরপূর্বক জমি দখল, ভেজাল জমি বিক্রয়, নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হুমকি ও মারধোর, জমি বিক্রির কথা বলে নিরীহ স্বল্প আয়ের মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অপকর্ম করে আসছে আশুলিয়ার কুরগাঁও সোসাইটি এলাকার আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৬), অনুসন্ধানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

হাবিব সহ তার ছেলে সাইদী ও তার ভাই মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে জিডি নং-১৭৮৯ তাং ১৬/০৬/২০১৬, জিডি নং- ১৩৬৪ তাং ২১/০২/২০১৭, জিডি নং- ১৬৭০ তাং ২৩/১০/২০১৭, জিডি নং- ১৮৯৮ তাং ২৪/০৫/২০১৯, জিডি নং- ৯৩৬ তাং ১১/০১/২০২০ এ মারধোর, অর্থ লুট, জমি দখল, হুমকি ইত্যাদি অভিযোগের প্রমান পাওয়া যায়। আওয়ামীলীগ নেতা পাথালিয়ার চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের গোপন ব্যবসায়ীক পার্টনার হওয়ায় হাবিবের সব বিষয় বার বার ধামাচাপা পরে যায় বলে জানা যায়। হাবিবের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানব বন্ধন করে বলেও কিছু ভিডিও ও প্রিন্ট মিডিয়ায়র তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে হাবিব স্বীকার করেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধে তাকে গ্রেফতার এবং কারাভোগ করতে হয়। এ ব্যপারে কুরগাঁও সোসাইটি এলাকার নির্যাতিত ও ত্যাগী বিএনপি নেতা জনাব জামান আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতাকে বলেন, এলাকায় হাজারো লোকের বসবাস, কারো বিরুদ্ধেই এত অভিযোগ নাই যা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী হাবিবের বিরুদ্ধে আছে।

এ-যাবৎ কুরগাঁও সোসাইটি এলাকায় অন্য আর কারো বিচারের দাবিতে এত বড় মানব বন্ধন হয় নাই হাবিবের বিরুদ্ধে ছাড়া। তথ্যমতে, বর্তমানে নিজের অপকর্ম চাপা দেওয়ার জন্য হাবিব হাজারো চেষ্টা করেও বিএনপি তে স্থান না পেয়ে তারই ভাস্তির স্বামী ও তার অন্যতম সহযোগী তথাকথিত জামাত কর্মী হোসেন আলীর পুত্র মোঃ আবু সাইদ (৩৭) এর চেষ্টায় জামায়াতে ঢুকার চেষ্টায় আছে। এই হোসেন আলীর পুত্র মোঃ আবু সাইদ তার নিজ স্ত্রী কে বৃদ্ধ মহিলা সাজিয়ে জাল দলিল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ১০/৩/২০২১ ইং তারিখে পেনাল কোড-৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ এ প্রতারণা মূলক ভাবে জমি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে দলিল ও জাতীয় পরিচয়পত্র সৃজন করার অপরাধে মামলা হয় এবং সেই মামলায় স্ত্রী সহ সে নিজে কিছু দিন কারাভোগ করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

সম্প্রতি হাবিবের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অর্থ, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগান দাতা হওয়ার অভিযোগ উঠায় তিনি মামলা থেকে বাঁচার জন্য তথ্য গোপন করে নিজেকে নিরীহ মানুষ দাবী করে একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেয় বলে যানা যায়। অনুসন্ধানে এলাকাবাসী জানায়, হাবিব ১৯৯৩ সালে খালি হাতে জীবিকার সন্ধানে এই এলাকায় এসেছিল, প্রথমে নবীনগর বাজারে কুলির কাজ করতো এই হাবিব, তারপর মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কিছুদিন চাকরি করে, কিছু টাকা জমিয়ে পরে একটি ক্যারামবোর্ডের দোকান দিয়ে জুয়া ও নানাবিধ অবৈধ ব্যবসা চালায় হাবিব। এসব কারণে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আসে হাবিব। টাকার জোড়ে ও রাজনৈতিক হস্থক্ষেপের কারণে ছাড়াও পেয়ে যায় সে। জুয়ার আসর চলাকালীন সময়ে এই এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা ভাই ও জলিল ওরফে জইল্লা এর সাথে সখ্যতা হয় হাবিবের। তারপর থেকেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে হাবিব।

জমি দখল, ভেজাল জমি কেনা বেচা, হুমকি, মারধোর, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই সে করে নাই। যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, সেই দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের হাত করে সে তার অপরাধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একখনও। তারা বলে অবৈধ টাকাকে সাদা করার জন্যই নাম মাত্র ডিলারশীপের ব্যবসা চালায় হাবিব।বর্তমান নিরপেক্ষ সরকারের কাছে হাবিবের টাকার উৎস ও অবৈধ সব সম্পত্তির হিসাব চাওয়ার এবং তার সকল অপকর্মের শাস্তির দাবী করেন এলাকাবাসী

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই শরীফ জহির?

সাভারের বহুরুপী হাবিব এখন জামায়াতের বড় নেতা

আপডেট টাইম : ০৯:২১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবৈধ টাকার জোরে কতিপয় দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায় কখনো জাতীয়পার্টি, কখনো জামায়াতের পরিচয় দানকারী, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতাকা তলে থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, জোরপূর্বক জমি দখল, ভেজাল জমি বিক্রয়, নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হুমকি ও মারধোর, জমি বিক্রির কথা বলে নিরীহ স্বল্প আয়ের মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ সহ নানাবিধ অপকর্ম করে আসছে আশুলিয়ার কুরগাঁও সোসাইটি এলাকার আশুলিয়া থানা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে হাবিব (৫৬), অনুসন্ধানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

হাবিব সহ তার ছেলে সাইদী ও তার ভাই মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে জিডি নং-১৭৮৯ তাং ১৬/০৬/২০১৬, জিডি নং- ১৩৬৪ তাং ২১/০২/২০১৭, জিডি নং- ১৬৭০ তাং ২৩/১০/২০১৭, জিডি নং- ১৮৯৮ তাং ২৪/০৫/২০১৯, জিডি নং- ৯৩৬ তাং ১১/০১/২০২০ এ মারধোর, অর্থ লুট, জমি দখল, হুমকি ইত্যাদি অভিযোগের প্রমান পাওয়া যায়। আওয়ামীলীগ নেতা পাথালিয়ার চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ানের গোপন ব্যবসায়ীক পার্টনার হওয়ায় হাবিবের সব বিষয় বার বার ধামাচাপা পরে যায় বলে জানা যায়। হাবিবের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানব বন্ধন করে বলেও কিছু ভিডিও ও প্রিন্ট মিডিয়ায়র তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে হাবিব স্বীকার করেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধে তাকে গ্রেফতার এবং কারাভোগ করতে হয়। এ ব্যপারে কুরগাঁও সোসাইটি এলাকার নির্যাতিত ও ত্যাগী বিএনপি নেতা জনাব জামান আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতাকে বলেন, এলাকায় হাজারো লোকের বসবাস, কারো বিরুদ্ধেই এত অভিযোগ নাই যা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী হাবিবের বিরুদ্ধে আছে।

এ-যাবৎ কুরগাঁও সোসাইটি এলাকায় অন্য আর কারো বিচারের দাবিতে এত বড় মানব বন্ধন হয় নাই হাবিবের বিরুদ্ধে ছাড়া। তথ্যমতে, বর্তমানে নিজের অপকর্ম চাপা দেওয়ার জন্য হাবিব হাজারো চেষ্টা করেও বিএনপি তে স্থান না পেয়ে তারই ভাস্তির স্বামী ও তার অন্যতম সহযোগী তথাকথিত জামাত কর্মী হোসেন আলীর পুত্র মোঃ আবু সাইদ (৩৭) এর চেষ্টায় জামায়াতে ঢুকার চেষ্টায় আছে। এই হোসেন আলীর পুত্র মোঃ আবু সাইদ তার নিজ স্ত্রী কে বৃদ্ধ মহিলা সাজিয়ে জাল দলিল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ১০/৩/২০২১ ইং তারিখে পেনাল কোড-৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ এ প্রতারণা মূলক ভাবে জমি আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে দলিল ও জাতীয় পরিচয়পত্র সৃজন করার অপরাধে মামলা হয় এবং সেই মামলায় স্ত্রী সহ সে নিজে কিছু দিন কারাভোগ করে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।

সম্প্রতি হাবিবের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে অর্থ, অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদের যোগান দাতা হওয়ার অভিযোগ উঠায় তিনি মামলা থেকে বাঁচার জন্য তথ্য গোপন করে নিজেকে নিরীহ মানুষ দাবী করে একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেয় বলে যানা যায়। অনুসন্ধানে এলাকাবাসী জানায়, হাবিব ১৯৯৩ সালে খালি হাতে জীবিকার সন্ধানে এই এলাকায় এসেছিল, প্রথমে নবীনগর বাজারে কুলির কাজ করতো এই হাবিব, তারপর মুদি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কিছুদিন চাকরি করে, কিছু টাকা জমিয়ে পরে একটি ক্যারামবোর্ডের দোকান দিয়ে জুয়া ও নানাবিধ অবৈধ ব্যবসা চালায় হাবিব। এসব কারণে বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে আসে হাবিব। টাকার জোড়ে ও রাজনৈতিক হস্থক্ষেপের কারণে ছাড়াও পেয়ে যায় সে। জুয়ার আসর চলাকালীন সময়ে এই এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা ভাই ও জলিল ওরফে জইল্লা এর সাথে সখ্যতা হয় হাবিবের। তারপর থেকেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে হাবিব।

জমি দখল, ভেজাল জমি কেনা বেচা, হুমকি, মারধোর, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই সে করে নাই। যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, সেই দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের হাত করে সে তার অপরাধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একখনও। তারা বলে অবৈধ টাকাকে সাদা করার জন্যই নাম মাত্র ডিলারশীপের ব্যবসা চালায় হাবিব।বর্তমান নিরপেক্ষ সরকারের কাছে হাবিবের টাকার উৎস ও অবৈধ সব সম্পত্তির হিসাব চাওয়ার এবং তার সকল অপকর্মের শাস্তির দাবী করেন এলাকাবাসী