এমামুল, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি-
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার সরকারি কলেজে শিক্ষক দিবসে পালন হয়নি ‘শিক্ষক দিবস’। প্রতিবছরের ন্যায় সান্তাহার সরকারি কলেজে দিবসটি উদযাপন করা হলেও এবছরে কোন আয়োজন করা হয়নি। এমন অভিযোগ তুলেছেন কর্মচারীরা। এতে সকলের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন সান্তাহার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড.আব্দুল ওয়াহাব৷
নীতিমালা অনুযায়ী, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন করার কথা বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দিবসটি উপলক্ষে আদমদীঘি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ ভাবে পালন করা হয়েছে।
এমনকি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষকদের নিয়ে বড় পরিসরে একটি র্যালী বেড় হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন আদমদিঘী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ। এদিকে নীতিমালা তোয়াক্কা না করে সান্তাহার সরকারি কলেজে দিবসটি পালন করেননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। শনিবার সরকারি ছুটি থাকার কারনে সেদিন ওই কলেজের শিক্ষকরা কলেজে উপস্থিত ছিলেন না বরং পরিবার নিয়ে ছুটি কাটিয়েছেন তাঁরা। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। তাদের এমন কান্ডে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেকেই তুলেছেন প্রশ্ন? বিষয়টি জানাজানির পর নিজেদের সন্মানের হাত থেকে বাঁচাতে সোমবার দুপুরে ডিজিটাল এ্যাড থেকে একটি শিক্ষক দিবসের ব্যানার বানাতে যান কলেজের এক কর্মচারি।
সরজমিনে শনিবার বেলা ১ টায় গণমাধ্যম কর্মীরা সান্তাহার সরকারি কলেজে যান। সেদিন ওই কলেজের প্রধান ফটক ছিলো বন্ধ। কোন শিক্ষককে দেখা যায়নি দিবসটি উদযাপন করতে। আশেপাশে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আজ কলেজে কোন শিক্ষক আসেনি। দুই তিন জন পাহারাদার (কর্মচারী) ছিলেন। কলেজের কোন আয়োজন হলে অবশ্যই আমাদের চোখে পড়তো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, প্রতি বছর এই কলেজে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়। এ বছরে কলেজের নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্বে এসেছেন। সরকারি ছুটি থাকায় সেদিন শিক্ষকরা কলেজে আসেনি। আর একারনে পালন হয়নি শিক্ষক দিবস।
সান্তাহার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ড.আব্দুল ওয়াহাব জানান, শনিবার সরকারি ছুটি ছিলো। স্টাফ রুমে শিক্ষকদের নিয়ে ছোট আকারে করা হয়েছে দিবসটি। কয়টার সময় পালন করা হয়েছে সেটা বলতে পারেনি তিনি এবং দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও জানান অধ্যক্ষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, দিবসটি যথাযথভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দিবসটি পালন করে আমাকে ছবিও পাঠিয়েছে। কিন্তু সরকারি কলেজ দিবসটি পালন করেছে কিনা জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলবো।