ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে রফতানি হলো ২৭৩ মেট্রিক টন আলু পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসারে কাজ করতে হবে-উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল, একজন গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিলে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা আমিনুল হকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এনসিপি অপপ্রচার করছে- বিএনপি শাহআলীতে পূর্বশক্রতার জের ধরে মারামারির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু বিতরণ জয়পুরহাটে পর্নোগ্রাফি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে গ্রেফতার

মিরপুর শাহআলী মাজার এলাকার আতংকের নাম সজীব বাহিনী

  1. স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর মিরপুর শাহ্ আলী থানা ও দারুসসালাম থানা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মা ও দুই ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং সজীব বাহিনী ( মাস্টারের পোলা )। এ ঘটনায় দারুসসালাম থানার মামলায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাহাদাত শিকদার শাওন’কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাসুত্রে জানাযায়, শাহ আলী মাজার এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ সহ মাজার এলাকার যত মাদক ব্যবসায়ী আছে তাদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করেন সজীব বাহিনীর অন্যতম সদস্য মিলন, সে নিজেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা যায় ।

ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী সালমার কাছ থেকে সজীব ও তার বাহিনী মিলে প্রায় ৪০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়, সালমা ও তার ছেলে জীবন এর প্রতিবাদ করলে সরাসরি তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সজীব ও তার বাহিনী। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সালমা ও তার দুই ছেলেকে হয়রানি করে আসছে সজীব ও তার বাহিনী, সেই ঘটনার সূত্র ধরেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১১ টায় শাহ আলী থানাধীন শাহ্ আলী মহিলা কলেজ মার্কেটের মেইন গেইটের সামনে কিশোর গ্যাং সজীব ও তার বাহিনী সালমা ও দুই ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সজীব বাহিনী সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, এর আগেও কিশোর গ্যাং বলে পরিচিত ছিল এলাকায় এমন কোন কাজ নয় চাঁদাবাজি মারামারি লুটপাট সহ যত অপকর্ম রয়েছে এদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় শাহ আলী মাজার এলাকায়।

সালমা বলেন আমার ছেলে জীবনকে জানেমেরে ফেলার জন্য তাকে খুঁজছে এমন সংবাদ আমার কাছে এসেছে এবং যেখানে পাবে সেখানে মেরে দেবে, এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি । শাহ আলী থানায় ও দারুস সালাম থানার একটি মামলাও করেছি কিন্তু পুলিশ সজীব ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করছে না। মাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান সন্ত্রাসী সজীব ও তার বাহিনীর কারনে আমরা এলাকায় ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছিনা, এই সজীব ও তার বাহিনীর নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তারপরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না কেন ? এমন প্রশ্ন জনমতে।

সজীব একটি বাহিনীর প্রধান চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ এমন কোন অপকর্ম নেই তারা করে না। এদিকে সালমা বেগমের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় মধ্যে রয়েছে যে কোন সময় জীবনকে পেলে মেরে ফেলবে বলে সজীব একাধিক পোলাপান নিয়ে মাজার এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে ।

শাহ্ আলী থানার মামলার আসামী হলেন, মৃত সাহাবুদ্দিন মাষ্টারের ছেলে সজীব (৩৫), আল আমিনের ছেলে সোহেল (২৫), ইউসুফের ছেলে জাহিদ (২৫), বুলেট (২৭), দিলু (২৭), তোফায়েল (২৬), সাগর (২৫)।

দারুস সালাম থানার মামলার আসামীরা হলেন, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪), মেহেদী (২০), রাকিব (২৫), মিলন ভান্ডারী (৪৫), জাহিদ (২১), সোহেল এলাইস কোবরা সোহেল (২২), সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৫/৬ জন।

দারুস সালাম থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া অবৈধ জনতায় দলবদ্ধ হইয়া ২২ সেপ্টম্বর বিকাল অনুমান ৫ টার সময় দারুস সালাম থানাধীন দারুস সালাম মাধ্যমিক স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপরে জীবন (২৬) কে ধারালো সুইস গিয়ার চাকু দ্বারা এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে, জীবনের ডাক-চিৎকারে সেনাবাহিনীর টহলরত টিম উপস্থিত হইলে ১নং আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) কে আটক করে।

বাকী আসামীরা পালিয়ে যায়,আসামীরা যাওয়ার সময় জীবনের নিকট থাকা নগদ-১০হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। সেনাবাহিনীর টহল দলের সহায়তায় জীবনকে নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করাই। পরবর্তীতে সেবাহিনীর টহল দল ১নং আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) কে আটক করে দারুস সালাম থানায় সংবাদ দিলে থানার এসআই ইমরান হোসেন রাজু আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান।
এবিষয়ে দারুস সালাম থানার এস আই ইমরান হোসেন রাজু বলেন, একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।শাহ্ আলী থানার এস আই আবুল হাসান বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বড় প্রতিবন্ধকতা আরাকান আর্মি- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মিরপুর শাহআলী মাজার এলাকার আতংকের নাম সজীব বাহিনী

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
  1. স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর মিরপুর শাহ্ আলী থানা ও দারুসসালাম থানা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মা ও দুই ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং সজীব বাহিনী ( মাস্টারের পোলা )। এ ঘটনায় দারুসসালাম থানার মামলায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাহাদাত শিকদার শাওন’কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাসুত্রে জানাযায়, শাহ আলী মাজার এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ সহ মাজার এলাকার যত মাদক ব্যবসায়ী আছে তাদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করেন সজীব বাহিনীর অন্যতম সদস্য মিলন, সে নিজেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা যায় ।

ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে ভুক্তভোগী সালমার কাছ থেকে সজীব ও তার বাহিনী মিলে প্রায় ৪০হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়, সালমা ও তার ছেলে জীবন এর প্রতিবাদ করলে সরাসরি তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সজীব ও তার বাহিনী। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সালমা ও তার দুই ছেলেকে হয়রানি করে আসছে সজীব ও তার বাহিনী, সেই ঘটনার সূত্র ধরেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১১ টায় শাহ আলী থানাধীন শাহ্ আলী মহিলা কলেজ মার্কেটের মেইন গেইটের সামনে কিশোর গ্যাং সজীব ও তার বাহিনী সালমা ও দুই ছেলের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

গত ৫ আগস্টের পর থেকে সজীব বাহিনী সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, এর আগেও কিশোর গ্যাং বলে পরিচিত ছিল এলাকায় এমন কোন কাজ নয় চাঁদাবাজি মারামারি লুটপাট সহ যত অপকর্ম রয়েছে এদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় শাহ আলী মাজার এলাকায়।

সালমা বলেন আমার ছেলে জীবনকে জানেমেরে ফেলার জন্য তাকে খুঁজছে এমন সংবাদ আমার কাছে এসেছে এবং যেখানে পাবে সেখানে মেরে দেবে, এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি । শাহ আলী থানায় ও দারুস সালাম থানার একটি মামলাও করেছি কিন্তু পুলিশ সজীব ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করছে না। মাজার এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান সন্ত্রাসী সজীব ও তার বাহিনীর কারনে আমরা এলাকায় ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছিনা, এই সজীব ও তার বাহিনীর নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে তারপরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না কেন ? এমন প্রশ্ন জনমতে।

সজীব একটি বাহিনীর প্রধান চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ এমন কোন অপকর্ম নেই তারা করে না। এদিকে সালমা বেগমের পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় মধ্যে রয়েছে যে কোন সময় জীবনকে পেলে মেরে ফেলবে বলে সজীব একাধিক পোলাপান নিয়ে মাজার এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে ।

শাহ্ আলী থানার মামলার আসামী হলেন, মৃত সাহাবুদ্দিন মাষ্টারের ছেলে সজীব (৩৫), আল আমিনের ছেলে সোহেল (২৫), ইউসুফের ছেলে জাহিদ (২৫), বুলেট (২৭), দিলু (২৭), তোফায়েল (২৬), সাগর (২৫)।

দারুস সালাম থানার মামলার আসামীরা হলেন, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪), মেহেদী (২০), রাকিব (২৫), মিলন ভান্ডারী (৪৫), জাহিদ (২১), সোহেল এলাইস কোবরা সোহেল (২২), সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৫/৬ জন।

দারুস সালাম থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া অবৈধ জনতায় দলবদ্ধ হইয়া ২২ সেপ্টম্বর বিকাল অনুমান ৫ টার সময় দারুস সালাম থানাধীন দারুস সালাম মাধ্যমিক স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার উপরে জীবন (২৬) কে ধারালো সুইস গিয়ার চাকু দ্বারা এলোপাথারীভাবে আঘাত করিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম করে, জীবনের ডাক-চিৎকারে সেনাবাহিনীর টহলরত টিম উপস্থিত হইলে ১নং আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) কে আটক করে।

বাকী আসামীরা পালিয়ে যায়,আসামীরা যাওয়ার সময় জীবনের নিকট থাকা নগদ-১০হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় তাকে প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। সেনাবাহিনীর টহল দলের সহায়তায় জীবনকে নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করাই। পরবর্তীতে সেবাহিনীর টহল দল ১নং আসামী সাহাদাত শিকদার শাওন (২৪) কে আটক করে দারুস সালাম থানায় সংবাদ দিলে থানার এসআই ইমরান হোসেন রাজু আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান।
এবিষয়ে দারুস সালাম থানার এস আই ইমরান হোসেন রাজু বলেন, একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।শাহ্ আলী থানার এস আই আবুল হাসান বলেন, এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।