ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে-
জয়দেবপুর স্টেশনে সকল ট্রেনের স্টপেজ, ঢাকা-গাজীপুর ট্রেনের বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট, টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালুসহ গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে জয়দেবপুর রেলজংশনে অবস্থান কর্মসূচি বিক্ষোভ করেছে গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামে একটি সংগঠন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে একঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় টঙ্গী, ধীরাশ্রম, গাজীপুর, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়া , শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান নূর, পেশাজীবি নেতা অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান, গাজীপুর পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলী আকবর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা ফারুক ইসলাম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, জয়দেবপুর রেলস্টেশন রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থস্থানে থাকলেও যাত্রী সেবা অত্যান্ত নিন্মমানের। জয়দেবপুর-কমলাপুর ও মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে কমবেশি এক লক্ষ কর্মজীবীর প্রাত্যহিক যাতায়াত এবং শিল্প-অধ্যুষিত ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার গাজীপুর মহানগরের প্রাণকেন্দ্র জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ২০/২৫ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। সড়ক পথের ভোগান্তির কারণে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ট্রেনের যাত্রীচাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সময়-সাশ্রয়ী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সম্ভাবনাময় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত অসহনীয় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। পূর্ববর্তী সময়গুলিতে শত চেষ্টার পরও কোন বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যাত্রীদের বিড়ম্বনা দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।
সংগঠনের ১০দফা দাবিগুলো হচ্ছে- গাজীপুর-ঢাকা বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট ৪৫০টাকা পুনরায় চালু করা। তুরাগ ট্রেনে ৪টি মহিলা কোচসহ ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা একাধিকবার চালানো। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্র্রেন পুনরায় চালু করা এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা।যাত্রী সংখ্যা ও রাজস্ব আয় বিবেচনা করে গাজীপুরে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত করা এবং আসন সংখ্যা ২’শ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা। ভাড়ায় চালিত সকল ট্রেনের ইজারা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা। গাজীপুর থেকে আসন বিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করা, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা। যাত্রী চাহিদা থাকা সত্বেও ঈশা খাঁ, ভাওয়াল ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে ২/৩টি কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। সকল ট্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্রেন ও প্লাটফরম হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা। ঢাকা- গাজীপুর রেল-প্রকল্প দ্রæততম সময়ে সম্পন্ন করা এবং জয়দেবপুর জংশন স্টেশনকে মানসম্মত ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত

গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত

আপডেট টাইম : ০২:৩১:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর থেকে-
জয়দেবপুর স্টেশনে সকল ট্রেনের স্টপেজ, ঢাকা-গাজীপুর ট্রেনের বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট, টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালুসহ গাজীপুর-ঢাকা রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে জয়দেবপুর রেলজংশনে অবস্থান কর্মসূচি বিক্ষোভ করেছে গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামে একটি সংগঠন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে একঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এসময় টঙ্গী, ধীরাশ্রম, গাজীপুর, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকা পড়ে।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়া , শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান নূর, পেশাজীবি নেতা অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আকাশ, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান, গাজীপুর পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলী আকবর, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা ফারুক ইসলাম প্রমুখ।
আয়োজকরা জানান, জয়দেবপুর রেলস্টেশন রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থস্থানে থাকলেও যাত্রী সেবা অত্যান্ত নিন্মমানের। জয়দেবপুর-কমলাপুর ও মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে কমবেশি এক লক্ষ কর্মজীবীর প্রাত্যহিক যাতায়াত এবং শিল্প-অধ্যুষিত ৭০ লক্ষ জনসংখ্যার গাজীপুর মহানগরের প্রাণকেন্দ্র জয়দেবপুর স্টেশন থেকে ২০/২৫ হাজার যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ট্রেনে যাতায়াত করে থাকে। সড়ক পথের ভোগান্তির কারণে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ট্রেনের যাত্রীচাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ অবহেলা, অব্যবস্থাপনা ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে সময়-সাশ্রয়ী, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সম্ভাবনাময় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত অসহনীয় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। পূর্ববর্তী সময়গুলিতে শত চেষ্টার পরও কোন বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যাত্রীদের বিড়ম্বনা দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।
সংগঠনের ১০দফা দাবিগুলো হচ্ছে- গাজীপুর-ঢাকা বন্ধ রাখা মাসিক টিকেট ৪৫০টাকা পুনরায় চালু করা। তুরাগ ট্রেনে ৪টি মহিলা কোচসহ ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা একাধিকবার চালানো। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্র্রেন পুনরায় চালু করা এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে স্টপেজ দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা।যাত্রী সংখ্যা ও রাজস্ব আয় বিবেচনা করে গাজীপুরে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত করা এবং আসন সংখ্যা ২’শ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার করা। ভাড়ায় চালিত সকল ট্রেনের ইজারা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা করা। গাজীপুর থেকে আসন বিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করা, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা। যাত্রী চাহিদা থাকা সত্বেও ঈশা খাঁ, ভাওয়াল ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিকে ২/৩টি কোচ দিয়ে চালানো হচ্ছে। সকল ট্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্রেন ও প্লাটফরম হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা। ঢাকা- গাজীপুর রেল-প্রকল্প দ্রæততম সময়ে সম্পন্ন করা এবং জয়দেবপুর জংশন স্টেশনকে মানসম্মত ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।