ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন নারী সাংবাদিকতার এক আলোকবর্তিকা শেখ হাসিনাকে কোনো দেশ গ্রহণ করেননি ভারত করেছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিমের পাহাড় সমান দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না কেন? সিরাজদিখানে রাতের অধারে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ বরগুনায় বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত ‘মব-সন্ত্রাস’ বন্ধসহ চার দাবিতে গাইবান্ধায় সিপিবির বিক্ষোভ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে, সড়ক নেই — চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী জরুরি বিভাগে ডাক্তার অনুপস্থিত, সেলাই করলেন ওয়ার্ড বয়! মাগুরার মহম্মদপুরে শিক্ষক হান্নানের ক্লাস বর্জনের অভিযোগ

পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়-
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েলকে অপহরণের পর হত্যার ৯ বছর পর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস. এম রেজাউল বারী এ রায় দেন।

দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামান (৩৮), ডাহেনাপাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন (৩০) এবং বলরামপুর গ্রামের হাসানুল ইসলাম (৩২)। এদের মধ্যে নুরুজ্জামান ও হাসানুল পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, হত্যার শিকার আসাদুজ্জামান পায়েলের বাড়িও দেবীগঞ্জের চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামে। ২০১৫ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন পায়েল। নিখোঁজের চারদিন পরে বিকেলে বাড়ির এক কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ওই দিনই মামলা করেন পায়েলের বাবা সুলতান আলী। পায়েল স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পায়েল নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে বাবা সুলতান আলীর কাছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বিকৃত কণ্ঠে পায়েলের মুক্তিপণ বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা নিয়ে কোথায় যেতে হবে তা জানানো হয়নি। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অপহরণে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় ওই তিনজনের। পরে স্থানীয়ভাবে বসে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডোবা থেকে বস্তাবন্দী পায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে ওই তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে একই বছরের ৩১ আগস্ট পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের অপরাধ আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছে বলেই বিচারক এ রায় দিয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা মহম্মদপুরে শিক্ষক আ. হান্নানের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৩:৪০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়-
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েলকে অপহরণের পর হত্যার ৯ বছর পর তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস. এম রেজাউল বারী এ রায় দেন।

দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামান (৩৮), ডাহেনাপাড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন (৩০) এবং বলরামপুর গ্রামের হাসানুল ইসলাম (৩২)। এদের মধ্যে নুরুজ্জামান ও হাসানুল পলাতক রয়েছেন।

জানা গেছে, হত্যার শিকার আসাদুজ্জামান পায়েলের বাড়িও দেবীগঞ্জের চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাতীপাড়া গ্রামে। ২০১৫ সালের ১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন পায়েল। নিখোঁজের চারদিন পরে বিকেলে বাড়ির এক কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করে পুলিশ। ওই দিনই মামলা করেন পায়েলের বাবা সুলতান আলী। পায়েল স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।

আদালত সূত্রে জানা যায়, পায়েল নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে বাবা সুলতান আলীর কাছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বিকৃত কণ্ঠে পায়েলের মুক্তিপণ বাবদ তিন লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু টাকা নিয়ে কোথায় যেতে হবে তা জানানো হয়নি। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে অপহরণে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় ওই তিনজনের। পরে স্থানীয়ভাবে বসে ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ডোবা থেকে বস্তাবন্দী পায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে ওই তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরে একই বছরের ৩১ আগস্ট পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের অপরাধ আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছে বলেই বিচারক এ রায় দিয়েছেন।