ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখানে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ গাজীপুরে আদালত পাড়ায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরণের উপর ডিম নিক্ষেপ গাজীপুরে আজান নিয়ে আপত্তি, সচিব রিমির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশেরই অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে- পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কোটালীপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩ সান্তাহারে ভটভটি-অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ মিরপুর শাহআলী মাজারে পুলিশের নাকের ডগায় মাদক ব্যবসা বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাসের- প্রণয় ভার্মা গাজীপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাদামির ইন্তেকাল মিরপুরের আলোচিত আলমগীর চৌধুরী এখন বিএনপির সক্রিয় কর্মি!

সিরাজদিখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ না করে ভুয়া ভাউচারে বিল উত্তোলন

নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ব্যাপক দুর্নীতির ও ৫ শতাংশ কমিশন না দিলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোন বরাদ্দ না দেওয়ার প্রমান পাওয়া গিয়েছে।

গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাইনর মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখান থেকে আইটি ও ভ্যাট বাবদ টাকা কর্তন করার পর প্রতিটি বিদ্যালয় পায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ শত টাকা। এই টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেই শুরু হয় যত অনিয়ম। প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ শত টাকা করে পেলেও তারা বিল উত্তোলনের জন্য ভাউচার জমা দেন ২ লক্ষ টাকার। বিল উত্তোলনের এসব ভুয়া বিল ভাউচার কোন যাচাই বাছাই না করেই বিল প্রদান করর জন্য সুপারিশ এবং উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কে বিশেষ ভাবে বলে দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। এই বিল পাশ করার জন্যও তাকে দিতে হয় শতকরা হিসেবের ৫ শতাংশ ভাগ। ভাগ না দিলে কোন বিদ্যালয় টাকা বরাদ্দ পায় না এমনকি শিক্ষকদেরও করা হয় নানা রকম হয়রানি। উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে দৈনিক খবর বাংলাদেশ প্রতিবেদকের কাছে
একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের নির্দেশনায় কাজ শুরু করার আগেই ভুয়া ভাউচার দিয়ে বিল উত্তোলন করার জন্য বলা হতো। এর পর সেই টাকা কিভাবে খরচ হতো তার সঠিক হিসেব কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান দিতে পারেন নি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একজন ট্যাগ অফিসার রয়েছেন। সরকারী ওই প্রধান শিক্ষকেরা, ট্যাগ অফিসার এবং শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে এই দুর্নীতি চলে আসছে বছরের পর বছর। সরেজমিনে গিয়ে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। এই নিয়ে কথা বললে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা বলেন, উপজেলা থেকে আমাদের যেমন নির্দেশনা দেয় আমরা সেই মোতাবেক কাজ করি। শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের বলে দেয় আমরা কাজ করি। এখানে তো একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার রয়েছে। তাদের সাথে সমন্বয় করেই প্রধান শিক্ষকদের কাজ করতে হয়। বিল উত্তোলনের পরে বিদ্যালয়ের কি কাজ হয় তা জানতে চাইলে তার কোন সদুত্তর কোন প্রধান শিক্ষক দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে বরাদ্দ পাওয়া বিদ্যালয় গুলোর ট্যাগ অফিসার আম্বিয়া আক্তার বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষকদের এত টাকা থাকে না। তাই আগে বিল উত্তোলন করে পরে কাজ করানো হয়।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে কৌশলে তা এড়িয়ে যায়।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখানে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায় অভিযোগ

সিরাজদিখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাজ না করে ভুয়া ভাউচারে বিল উত্তোলন

আপডেট টাইম : ০১:৩৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে ব্যাপক দুর্নীতির ও ৫ শতাংশ কমিশন না দিলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোন বরাদ্দ না দেওয়ার প্রমান পাওয়া গিয়েছে।

গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ২০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাইনর মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সেখান থেকে আইটি ও ভ্যাট বাবদ টাকা কর্তন করার পর প্রতিটি বিদ্যালয় পায় ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ শত টাকা। এই টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পরেই শুরু হয় যত অনিয়ম। প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ শত টাকা করে পেলেও তারা বিল উত্তোলনের জন্য ভাউচার জমা দেন ২ লক্ষ টাকার। বিল উত্তোলনের এসব ভুয়া বিল ভাউচার কোন যাচাই বাছাই না করেই বিল প্রদান করর জন্য সুপারিশ এবং উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কে বিশেষ ভাবে বলে দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন। এই বিল পাশ করার জন্যও তাকে দিতে হয় শতকরা হিসেবের ৫ শতাংশ ভাগ। ভাগ না দিলে কোন বিদ্যালয় টাকা বরাদ্দ পায় না এমনকি শিক্ষকদেরও করা হয় নানা রকম হয়রানি। উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে দৈনিক খবর বাংলাদেশ প্রতিবেদকের কাছে
একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের নির্দেশনায় কাজ শুরু করার আগেই ভুয়া ভাউচার দিয়ে বিল উত্তোলন করার জন্য বলা হতো। এর পর সেই টাকা কিভাবে খরচ হতো তার সঠিক হিসেব কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান দিতে পারেন নি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একজন ট্যাগ অফিসার রয়েছেন। সরকারী ওই প্রধান শিক্ষকেরা, ট্যাগ অফিসার এবং শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে এই দুর্নীতি চলে আসছে বছরের পর বছর। সরেজমিনে গিয়ে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে একই চিত্র দেখা গেছে। এই নিয়ে কথা বললে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা বলেন, উপজেলা থেকে আমাদের যেমন নির্দেশনা দেয় আমরা সেই মোতাবেক কাজ করি। শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের বলে দেয় আমরা কাজ করি। এখানে তো একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ট্যাগ অফিসার রয়েছে। তাদের সাথে সমন্বয় করেই প্রধান শিক্ষকদের কাজ করতে হয়। বিল উত্তোলনের পরে বিদ্যালয়ের কি কাজ হয় তা জানতে চাইলে তার কোন সদুত্তর কোন প্রধান শিক্ষক দিতে পারেন নি।
এ বিষয়ে বরাদ্দ পাওয়া বিদ্যালয় গুলোর ট্যাগ অফিসার আম্বিয়া আক্তার বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষকদের এত টাকা থাকে না। তাই আগে বিল উত্তোলন করে পরে কাজ করানো হয়।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে কৌশলে তা এড়িয়ে যায়।