ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিচার হওয়া উচিত- শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা গাজীপুরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত আমার সন্তান ভয়ে বাড়িতে আসতে পারেনা, বিচার চাই গাজীপুরে কুরআন অপমানকারী শুভ সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল

আদমদীঘিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের ফাঁদে পড়ে সর্বোচ্চ হারালেন অটোরিকশা চালক, গ্রেপ্তার ৩

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের ফাঁদে পড়েছেন আল আমিন নামের এক অটোরিকশা চালক। এসময় তার কাছে থেকে ব্যাটারীচালিত একটি অটোরিকশা নিয়ে পালিয় যান প্রতারকরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারী-পুরুষসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের পুসিন্দা মৃধাপাড়ার সাজেদুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মৃদুল (১৯), নওগাঁ সদর উপজেলার এনায়েতপুর ইকড়কুড়ি গ্রামের মামুন সরদারের ছেলে সালমান সরদার (২৮), একই গ্রামের মামুন সরদারের স্ত্রী রিতা খাতুন (৩০)।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে
যাত্রী নিয়ে আদমদীঘি বাজারে আসেন ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা চালক আল আমিন। এসময় আদমদীঘি বাজারে হঠাৎ দেখা হয় তার একই গ্রামের পরিচিত রিতা খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে। এরপর রিতা খাতুন তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে শিয়ালশন গ্রামে যেতে অনুরোধ করেন। তার কথায় রাজি হয়ে তার বাড়িতে যান অটোরিকশা চালক আল আমিন। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন রিতা খাতুনের স্বামী সালমান সরদার ও মোস্তাফিজুর রহমান। পরে সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে অটোরিকশা চালক আল আমিনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে একটি জায়গায় নিয়ে যান। এসময় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আটকে রাখেন এবং এই সুযোগে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সালমান সরদার ও রিতা খাতুন। এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে রবিবার রাতে বগুড়ার পৌর শহরের তিব্বতের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনালী ব্যাংকে আইটি কর্মকর্তাদের বঞ্চিত করে ভারতীয় পণ্যের বাজার সৃষ্টি

আদমদীঘিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের ফাঁদে পড়ে সর্বোচ্চ হারালেন অটোরিকশা চালক, গ্রেপ্তার ৩

আপডেট টাইম : ০৩:২৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে ভূয়া ডিবি পুলিশের ফাঁদে পড়েছেন আল আমিন নামের এক অটোরিকশা চালক। এসময় তার কাছে থেকে ব্যাটারীচালিত একটি অটোরিকশা নিয়ে পালিয় যান প্রতারকরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারী-পুরুষসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের পুসিন্দা মৃধাপাড়ার সাজেদুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মৃদুল (১৯), নওগাঁ সদর উপজেলার এনায়েতপুর ইকড়কুড়ি গ্রামের মামুন সরদারের ছেলে সালমান সরদার (২৮), একই গ্রামের মামুন সরদারের স্ত্রী রিতা খাতুন (৩০)।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২৮ অক্টোবর সোমবার দুপুরে
যাত্রী নিয়ে আদমদীঘি বাজারে আসেন ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা চালক আল আমিন। এসময় আদমদীঘি বাজারে হঠাৎ দেখা হয় তার একই গ্রামের পরিচিত রিতা খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে। এরপর রিতা খাতুন তাকে প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে শিয়ালশন গ্রামে যেতে অনুরোধ করেন। তার কথায় রাজি হয়ে তার বাড়িতে যান অটোরিকশা চালক আল আমিন। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন রিতা খাতুনের স্বামী সালমান সরদার ও মোস্তাফিজুর রহমান। পরে সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে অটোরিকশা চালক আল আমিনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে একটি জায়গায় নিয়ে যান। এসময় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে আটকে রাখেন এবং এই সুযোগে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সালমান সরদার ও রিতা খাতুন। এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে রবিবার রাতে বগুড়ার পৌর শহরের তিব্বতের মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।