ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান’ পরকীয়ায় টালমাটাল রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটির দুই সহকর্মী  কারাগারে গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেলেন বিরুলিয়ার সুজন চেয়ারম্যান মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, চিকিৎসককে গণধোলাই ছাত্রদল নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি,জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা সিরাজদিখানে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী পালিত ২০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন মির্জাগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন মনপুরায় আগমনের সময় বাইক দূর্ঘটনায় আহত হন যুবদল নেতা রিপন

সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টা হামলার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্তজন গোপালগঞ্জের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদের গামার মালিকানাধীন চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একাধিক সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক এ ঘটনায় চ্যানেল এস কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে আহত সাংবাদিকরা।

সূত্র জানায়, ছাত্র জনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর, রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা ঋণ খেলাপি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান। গোপালগঞ্জের ইসমত কাদের গামা ও চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ’ বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারীর দোসর সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জন্য চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জনার উদ্দেশ্যে গত ৮ আগষ্ট একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাতজন সাংবাদিক তাদের অফিসে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষের একজন তাদেরকে একটি কক্ষে বসতে বলেন। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যানেল এস এর ভবনের ভিতরে অবস্থান করা প্রায় ৬০ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সাংবাদিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে উক্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেন।

এই ঘটনায় অহাত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে হাফিজুর রহমান শফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর জবানবন্দি ও বাদীর বিজ্ঞ আইনজীবী এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর শুনানির ভিত্তিতে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা শুমু চৌধুরী অভিযোগটি সরাসরি এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে আদেশ প্রদান করেন।
সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামিরা হলেন, ইসমত কাদের গামা, চেয়ারম্যান- চ্যানেল এস। পান্না ভাইস চেয়ারম্যান -চ্যানেল এস। মাইনুল ইসলাম -ম্যানেজিং ডিরেক্টর চ্যানেল এস। সুজিত চক্রবর্তী- সিইও চ্যানেল এস। সহ অজ্ঞাত ৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বার্তা প্রধান, শংকর মৈত্র
জয়েন্ট নিউজ এডিটর, টিএইচএম জাহাঙ্গীর এই হামলায় জড়িত ছিল বলে বাদী জানিয়েছেন।

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান শফিক বলেন, চ্যানেল এস মূলত ছাত্র জনতার আন্দোলনের গণহত্যার অন্যতম সহযোগী। চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তী, পান্না এবং মইনুল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে কাজ করত। সুজিত চক্রবর্তী নামের কর্মকর্তা মূলত র এর এজেন্ট। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর এসব অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করার কথা শুনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বহুদলীয় গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান’

সাংবাদিকদের হত্যা চেষ্টা হামলার ঘটনায় চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার বিশ্বস্তজন গোপালগঞ্জের ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদের গামার মালিকানাধীন চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক একাধিক সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্য হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক এ ঘটনায় চ্যানেল এস কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে আহত সাংবাদিকরা।

সূত্র জানায়, ছাত্র জনতার গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম দোসর, রাষ্ট্রের শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা ঋণ খেলাপি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চ্যানেল এস এর চেয়ারম্যান। গোপালগঞ্জের ইসমত কাদের গামা ও চ্যানেল এস এর কর্তৃপক্ষ’ বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণহত্যাকারীর দোসর সহ বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশের জন্য চ্যানেলের চেয়ারম্যান ও কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জনার উদ্দেশ্যে গত ৮ আগষ্ট একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাতজন সাংবাদিক তাদের অফিসে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষের একজন তাদেরকে একটি কক্ষে বসতে বলেন। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই চ্যানেল এস এর ভবনের ভিতরে অবস্থান করা প্রায় ৬০ জন অজ্ঞাত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সাংবাদিকরা। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে উক্ত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে দেন।

এই ঘটনায় অহাত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে হাফিজুর রহমান শফিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর জবানবন্দি ও বাদীর বিজ্ঞ আইনজীবী এবি এম ইব্রাহিম খলিল এর শুনানির ভিত্তিতে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা শুমু চৌধুরী অভিযোগটি সরাসরি এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে আদেশ প্রদান করেন।
সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামিরা হলেন, ইসমত কাদের গামা, চেয়ারম্যান- চ্যানেল এস। পান্না ভাইস চেয়ারম্যান -চ্যানেল এস। মাইনুল ইসলাম -ম্যানেজিং ডিরেক্টর চ্যানেল এস। সুজিত চক্রবর্তী- সিইও চ্যানেল এস। সহ অজ্ঞাত ৫০ জন সশস্ত্র ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বার্তা প্রধান, শংকর মৈত্র
জয়েন্ট নিউজ এডিটর, টিএইচএম জাহাঙ্গীর এই হামলায় জড়িত ছিল বলে বাদী জানিয়েছেন।

মামলার বাদী হাফিজুর রহমান শফিক বলেন, চ্যানেল এস মূলত ছাত্র জনতার আন্দোলনের গণহত্যার অন্যতম সহযোগী। চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, সিইও সুজিত চক্রবর্তী, পান্না এবং মইনুল স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে কাজ করত। সুজিত চক্রবর্তী নামের কর্মকর্তা মূলত র এর এজেন্ট। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর এসব অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করার কথা শুনে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালিয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাচ্ছি।