ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ডিবি পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বাড়িতে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মা ও বোনকে পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উপজেলা শেখর ইউনিয়নের দরিসহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা ঢাকা ডিবি পুলিশে কর্মরত এসআই মো. নাসিরুদ্দিন বকুলের (৩৮) গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘরের দরজার হ্যাজবল চাপদিয়ে ভেঙে ডাকাত দলের ৮-১০ জন ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। পরে ডিবি পুলিশের মা কামরুন্নেছার (৬৫), মাথায় পিস্তল ও তাঁর বড় বোন মুন্নি খানমকে (৪০) ছুরি ঠেকিয়ে জিম্মি করে ডাকাতি কার্যক্রম চালায়। প্রায় ৩-৪ ঘন্টা সময় নিয়ে ডাকত দল ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ও ৮-১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
নাসিরুদ্দিন বকুলের মা কামরুন্নেছা বলেন, খাবার খেয়ে রাতে আমি ও আমার মেয়ে দরজার হ্যাজবল লক ও ছিটকিনি লাগিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে ৮-১০ জন ডাকাত দল ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। ডাকাত দলের সবার হাতে অস্ত্র ছিল। ডাকাতদের দেখে আমি চিৎকার দিলে, আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, মেয়ের শয়ন কক্ষে নিয়ে মেয়েকেও জিম্মি করে ডাকাত দল। পরে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল খুলে নেয়। পরে ঘর তছনছ করে স্বর্ণালংকার টাকা ও রেশনের ১০ কেজি তেল, চিনি, আটা, ফ্রিজ থেকে ১০ কেজি মাংশ নিয়ে যায় ডাকাত দল।
নাসিরুদ্দিন বকুলের বোন মুন্নি খানম বলেন, আমার ভাই ডিবি পুলিশের এসআই নাছিরুদ্দিন বকুল সে ঢাকায় এবং আরেক ভাই বিমান বাহিনীতে চাকরি করে। বাড়িতে আমি ও আমার মা থাকি। ডাকাত দল মাকে পিস্তল ঠেকিয়ে আমার রুমে এনে আমাকেও জিম্মি করে। পরে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়। এসময় ডাকাত দল আসবাবপত্র তছনছ করে মায়ের ক্যান্সার চিকিৎসার ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ও আমার স্বর্ণের সাড়ে তিন ভরী ওজনের সীতাহার, ৩ ভরী ২ রতী ওজনের স্বর্ণের চুর, ৫ জোড়া স্বর্ণের দুল, ও ৩টি চেইন নিয়ে যায় ডাকাত দল। তারা ১০ জনের মতো ছিল।
বোয়ালনারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এটা ডাকাতির ঘটনা নয়,এটা চুরির ঘটনা। এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।