৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ১৫নং আদালতে গোপালগঞ্জে সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হত্যা মামলার আসামী কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষে জামিন চাইলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড নিতাই রায় চৌধুরী। সাপ্লিমেন্টারী লিস্টের ১নং তালিকায় থাকা মামলা মেনশন করে জামিন চাইলে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জসিম উদ্দিন সরকার জামিনের বিরোধীতা করেন পরে আদালত জামিন দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নিতাই রায় চৌধুরী পূনরায় আদালতের কাছে নট টুডের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সুত্রে জানা যায়, এজাহারের ২৬নং আসামী মোঃ আরিফুর রহমান টুটুল, পিতা মৃত শেখ রুহল আমিন, সাবেক চেয়ারম্যান গোবরা ইউনিয়ন, ২৭নং আসামি মোঃ জাফর হোসেন কালু, পিতা- মৃত হানিফ মোল্লা, চেয়ারম্যান লতিফপুর ইউনিয়ন, ৩০নং আসামি আহম্মেদ আলী মিনা অরফে দুলু, পিতা- মৃত খালেদ মিনা, সদস্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলী নেতা, ৪৪নং আসামি নওশাদ মুন্সি, পিতা অজ্ঞাত, ভাটিয়াপাড়া, ৫০নং আসামি মুর্শিদ চৌধুরী, পিতা-মুরাদ চৌধুরী, গোবরা সদর থানা গোপালগঞ্জ ও ৭৭ নং আসামি অরিক রহমান, পিতা- জাহিদুর রহমান, বাজার রোড গোপালগঞ্জ।
উল্লেখিত আসামিদের পক্ষে জামিন চাইলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড নিতাই রায় চৌধুরী।
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী গোপালগঞ্জ সদরের বেদগ্রামে অনুষ্ঠিত এক পথসভা শেষে নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় একদল লোক দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা করে। অতর্কিত ওই হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা যায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগি সংগঠনের একদল সশস্ত্র লোক গাড়ির গতিরোধ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও প্রানঘাতি আক্রমণ চালায়। এতে দিদারে মৃত্যুর পাশাপাশি জিলানী ও তার স্ত্রী এবং সাংবাদিক সহ আরো প্রায় ৫০জন গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় নিহত শওকত আলী দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন, যাহার মামলা নং ২৪, তারিখ ১৭-০৯-২০২৪ইং । উক্ত মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ ১১৮ জন এবং ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা সংস্থা। বাকীদের খোঁজে অভিযান চলছে।
এমতাবস্থায় গত ৫ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত এবং পলাতকদের পক্ষে জামিনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান,এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ১৫নং আদালতে সাপ্লিমেন্টারী লিস্টের ১ নং তালিকায় থাকা মামলা মেনশন করে নিতাই রায় চৌধুরী জামিন চাইলে, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জসিম সরকার জামিনের বিরোধীতা করেন এতে আদালত জামিন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে নিতাই রায় চৌধুরী পুনরায় আদালতের কাছে নট টুডের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল জসিম সাহেবকে ফোন করলে তার সত্যেতা মেলে। তিনি বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী (যার কন্যা ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী) আসামী পক্ষের হয়ে গত ৫ নভেম্বর জামিনের শুনানিতে অংশ নেন এবং তার চেম্বার থেকেই মামলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে বলে তিনি ধারণা পোষণ করেন।