ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ৭ মাস বয়সী দুই যজম কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগ পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ৬৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রে ফাঁসলেন রাজউক উপপরিচালক ও তার স্ত্রী পবিত্র আশুরায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান আমিনুল হকের শওকত আলী ইমনের সুরে দিয়ামনি ই-কমিউনিকেশনের থিম সং মিরপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ একর জায়গা উদ্ধার পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা, জনগণ চায় ব্যালটে ভোট দিয়ে সরকার গঠন – আমিনুল হক জবাবদিহিমূলক সরকার গড়বে বিএনপি: আমিনুল হক তরুণদের সম্পৃক্ত করে জলবায়ু অভিযোজন জোরদারের উদ্যোগ

কোটালীপাড়ায় পাখি শিকারের অপরাধে কারাদণ্ড

ইস্রাফিল খান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)-

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুনিল বল্লব, মুহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিম নামে পাখি শিকারিদের আটকের পর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ পাখিগুলো আকাশে উড়িয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সুনিল বল্লব কলাবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মুহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিম পৌরসভার বাসিন্দা।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকার বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, সোমবার (১১নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের হাজরাবাড়ি বটতলার বিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছিল তারা। এমতবস্থায় গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পাখি ক্রেতা সেজে গোপালগঞ্জ বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়ে হাতে-নাতে তাদের ধরে ফেলে।

এসময় সেখান থেকে চল্লিশটি পাখি ও পাখি ধরার ফাঁদের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার সময় দোষ স্বীকার করলে আদালত সুনিল বল্লবকে এক মাসের, মুহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিমকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পরে বিচারকের উপস্থিতি জব্দ পাখিগুলোকে আকাশে উড়িয়ে অবমুক্ত করা হয়।

কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, অতিথি পাখি আমাদের উপকারী প্রাণী। বিশেষ করে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে পাখির বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১ লাখ টাকা জরিমানা, ১ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও মৌসুমী পাখি শিকারিদের পাখি শিকার থামছে না। শীত এলেই এক শ্রেণির অসাধু মানুষ হত্যা করছে এই পরিযায়ী পাখিগুলোকে। পাখি রক্ষায় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।পাখি শিকার নিধন বন্ধে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও সুশীল সমাজের ব্যাপক প্রচারনাই পারে এ ধরনের অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে।

এসময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকার বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক, গোপালগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ মল্লিক, এস.কে.এম.এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈ সহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়াই ১৬ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করল বেবিচক

কোটালীপাড়ায় পাখি শিকারের অপরাধে কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০২:১৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

ইস্রাফিল খান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)-

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুনিল বল্লব, মুহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিম নামে পাখি শিকারিদের আটকের পর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জব্দ পাখিগুলো আকাশে উড়িয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সুনিল বল্লব কলাবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং মুহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিম পৌরসভার বাসিন্দা।

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকার বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসীম মল্লিক বলেন, সোমবার (১১নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের হাজরাবাড়ি বটতলার বিলে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করছিল তারা। এমতবস্থায় গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পাখি ক্রেতা সেজে গোপালগঞ্জ বন বিভাগ এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়ে হাতে-নাতে তাদের ধরে ফেলে।

এসময় সেখান থেকে চল্লিশটি পাখি ও পাখি ধরার ফাঁদের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়। পরে কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার সময় দোষ স্বীকার করলে আদালত সুনিল বল্লবকে এক মাসের, মুহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিমকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পরে বিচারকের উপস্থিতি জব্দ পাখিগুলোকে আকাশে উড়িয়ে অবমুক্ত করা হয়।

কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, অতিথি পাখি আমাদের উপকারী প্রাণী। বিশেষ করে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে পাখির বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি ১ লাখ টাকা জরিমানা, ১ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও মৌসুমী পাখি শিকারিদের পাখি শিকার থামছে না। শীত এলেই এক শ্রেণির অসাধু মানুষ হত্যা করছে এই পরিযায়ী পাখিগুলোকে। পাখি রক্ষায় জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।পাখি শিকার নিধন বন্ধে জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও সুশীল সমাজের ব্যাপক প্রচারনাই পারে এ ধরনের অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে।

এসময় বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট বন অধিদপ্তর আগারগাঁও ঢাকার বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক, গোপালগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা বিবেকানন্দ মল্লিক, এস.কে.এম.এইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈ সহ অনান্যরা উপস্থিত ছিলেন।