বাংলাদেশে ডিজিটাল বৈষম্য চলছে এই বৈষম্য দূর করার জন্য প্রান্তিক পর্যায়ে নেটওয়ার্ক পৌঁছে দেয়া হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এর সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে মালয়েশিয়ান টাওয়ার নির্মাতা কোম্পানি ইডটকো বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
ইডটকোর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহামেদ আদলান আহমাদ তাজউদিন বলেন, মালয়েশিয়ার ইডটকো গ্রুপ মোবাইল টাওয়ার নির্মাণ খাতে সফল প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে তারা টাওয়ার নির্মাণের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে চায়। তারা যৌথভাবে বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নের কাজ করতে আগ্রহী।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে পলিসি রিফর্ম চলছে এর পাশাপাশি বিজনেস রেগুলেশন গুলো বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। ইডটকোর সাথে এজেন্ডা মিলে গেলে একসাথে কাজ করা সহজ হবে।
মোহামেদ আদলান বলেন, ইডটকো ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে এবং তারা বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদী কাজ করতে আগ্রহী। ফেনীর বন্যার সময় টাওয়ারগুলো সচল রাখতে উপদেষ্টার তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।
কান্ট্রি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর Sunil Isaac বলেন, ভ্যাট ট্যাক্স বেশি হওয়ার কারণে ইন্টারনেটের খরচ বেড়ে যাচ্ছে এটা কমানো গেলে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি ভ্যাট ট্যাক্স থেকে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। যা বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে জনগণ ঠিকমতো সুবিধা পাচ্ছে না তাই আমরা নেটওয়ার্ক বিস্তারের পরিকল্পনা করছি। এক্ষেত্রে টাওয়ার সম্প্রসারণ জরুরী। সামনে ৫জি আসছে তার জন্য নেটওয়ার্ক বিস্তার জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে আমরা ইডটকোর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখবো।
ইডটকোর পরিচালক Anthony Kersauson, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচাল ক ইসরাত জারিন সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।