ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে: তারেক রহমান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না- আমিনুল হক নওগাঁ সদরে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন: পঁচিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড পরীক্ষা কেন্দ্র বহাল রাখার দাবিতে সিরাজদিখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সিরাজদিখানে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ইফতার ও আলোচনা সভা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ বাংলাদেশের বিএনপি জনগণের জন্য রাজনীতি করে- আমিনুল হক নওগাঁর আরও একটি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন মির্জাগঞ্জে খাল খননে অনিয়ম শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন যায়যায়দিনের ডিক্লারেশন বাতিলাদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন

গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলী নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ

গাজীপুর প্রতিনিধি- গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলী নিয়োগে বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা বুধবার সকালে জিপি ও পিপি’র কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছেন।
আন্দোলনরত আইনজীবীরা জানান, মহানগর বিএনপি’র কারো সাথে পরামর্শ না করে জেলা বিএনপির দুইজন নেতার ব্যক্তিগত পছন্দের ও বিভিন্ন উপজেলার আইনজীবীদের সরকারি কৌঁসুলী হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশের ভিত্তিতেই আইন মন্ত্রণালয় জেলা ও মহানগর আদালতে প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি)সহ সর্বত্রই ব্যক্তিগত পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ দেয়। এতে মহানগর বিএনপি নেতাদের জানানো হয়নি। মহানগরকে গুরুত্ব না দিয়ে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে ব্যক্তিগত পছন্দের আইনজীবী বাছাই করায় এসব নিয়োগের বিরোধীতা করে আসছেন অধিকাংশ আইনজীবী। রাজনৈতিক এসব নিয়োগে গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি মহানগর বিএনপি নেতা ড. সহিদউজ্জামান, সাবেক সভাপতি সুলতান উদ্দিনসহ বিএনপি পন্থী অনেক সিনিয়র আইনজীবী বাদ পড়েছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, আদালতের জিপি, পিপি ও এপিপি নিয়োগে জেলা বিএনপির কারো কোন হাত নেই। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের মাধ্যমে যে নামগুলো এসেছে সে নামগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আর সেখান থেকেই এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গাজীপুরের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র নেতাদেরও সম্মতি ছিল।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা যে নামের তালিকা দিয়েছিলাম নিয়োগে সে তালিকার বাইরেও অনেক নাম রয়েছে। তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের অনেকে বাদ পড়েছেন। এখানে জামায়াত ও গণ অধিকারের কিছু আইনজীবীর নাম ঢুকেছে। সবচে বড় ব্যাপার হলো জিপি, পিপি, এপিপিসহ বিভিন্ন পদে মহানগরীর আনজীবীদের নাম বাদ দিয়ে বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলার আইনজীবীদের নাম রাখা হয়েছে।
এদিকে এসব নিয়োগ বাতিলের দাবিতে গত দু’দিন ধরে গাজীপুর আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ করছেন বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধরা সরকারি কৌঁসুলিদের কামড়ায় তালা দেন। আইনজীবীরা গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে এ নিয়োগ স্থগিত রাখার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
দুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ড. সহিদউজ্জামান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা, অ্যাডভোকেট আরমান আলী, অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী মোতাহার হোসেন. আব্দুল হামিদ, অজিফা অলি মুক্তা, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল আলম মিলু, হামিদা পারভীন শৈলী প্রমুখ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে: তারেক রহমান

গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলী নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:১১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুর প্রতিনিধি- গাজীপুর আদালতে সরকারি কৌঁসুলী নিয়োগে বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা বুধবার সকালে জিপি ও পিপি’র কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়েছেন।
আন্দোলনরত আইনজীবীরা জানান, মহানগর বিএনপি’র কারো সাথে পরামর্শ না করে জেলা বিএনপির দুইজন নেতার ব্যক্তিগত পছন্দের ও বিভিন্ন উপজেলার আইনজীবীদের সরকারি কৌঁসুলী হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সুপারিশের ভিত্তিতেই আইন মন্ত্রণালয় জেলা ও মহানগর আদালতে প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি)সহ সর্বত্রই ব্যক্তিগত পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ দেয়। এতে মহানগর বিএনপি নেতাদের জানানো হয়নি। মহানগরকে গুরুত্ব না দিয়ে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে ব্যক্তিগত পছন্দের আইনজীবী বাছাই করায় এসব নিয়োগের বিরোধীতা করে আসছেন অধিকাংশ আইনজীবী। রাজনৈতিক এসব নিয়োগে গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি মহানগর বিএনপি নেতা ড. সহিদউজ্জামান, সাবেক সভাপতি সুলতান উদ্দিনসহ বিএনপি পন্থী অনেক সিনিয়র আইনজীবী বাদ পড়েছেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেন, আদালতের জিপি, পিপি ও এপিপি নিয়োগে জেলা বিএনপির কারো কোন হাত নেই। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের মাধ্যমে যে নামগুলো এসেছে সে নামগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আর সেখান থেকেই এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গাজীপুরের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র নেতাদেরও সম্মতি ছিল।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গাজীপুর জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা যে নামের তালিকা দিয়েছিলাম নিয়োগে সে তালিকার বাইরেও অনেক নাম রয়েছে। তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের অনেকে বাদ পড়েছেন। এখানে জামায়াত ও গণ অধিকারের কিছু আইনজীবীর নাম ঢুকেছে। সবচে বড় ব্যাপার হলো জিপি, পিপি, এপিপিসহ বিভিন্ন পদে মহানগরীর আনজীবীদের নাম বাদ দিয়ে বেশিরভাগ জেলা ও উপজেলার আইনজীবীদের নাম রাখা হয়েছে।
এদিকে এসব নিয়োগ বাতিলের দাবিতে গত দু’দিন ধরে গাজীপুর আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ করছেন বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা। বুধবার সকালে বিক্ষুব্ধরা সরকারি কৌঁসুলিদের কামড়ায় তালা দেন। আইনজীবীরা গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে এ নিয়োগ স্থগিত রাখার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
দুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি, গাজীপুর ‘ল’ কলেজের অধ্যক্ষ ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ড. সহিদউজ্জামান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা, অ্যাডভোকেট আরমান আলী, অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী মোতাহার হোসেন. আব্দুল হামিদ, অজিফা অলি মুক্তা, আনোয়ার হোসেন, শফিকুল আলম মিলু, হামিদা পারভীন শৈলী প্রমুখ।