আব্দুল্লাহ আল শাফী-
ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট আগামী সপ্তাহে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসছেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কোনো ব্রিটিশ কর্মকর্তার প্রথম সফর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান এই কথা জানান।
গত জুলাইতে বৃটিশ ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এফসিও) অফিসে ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে তার বাংলাদেশে প্রথম সফর।
ব্রিফিংয়ে তৌফিক হাসান জানান, আগামী ১৬ ও ১৭ নভেম্বর ক্যাথরিন ঢাকায় অবস্থান করবেন। সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে তার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অর্থনৈতিক, কৌশলগত ও অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদারকরণের মাধ্যমে সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করা তার এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে জনক কূটনৈতিক বিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়। রেড এলার্ট জারি হলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ চাইলে ভারতের সাথে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক বিষয়। রেড এলার্ট জারি হলে সংশ্লিষ্ট কোনো বিভাগ যদি বলে তাহলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারি। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো বিষয় আসেনি।
এদিকে গত ১২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেন্ডিং আছে কিন্তু বাংলাদেশের জুরিসডিকশনের বাইরে তিনি চলে গেছেন, সে কারণে আন্তর্জাতিক পুলিশিং সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোল যাতে তাকে গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং অন্তত রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে মোবাইল ব্যবহার করছেন এবং বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তৌফিক হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমরা ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে কূটনৈতিক চ্যানেলে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। উনাকে (শেখ হাসিনা) এ ধরনের বক্তব্য না রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর বিপরীতে ভারত সরকারের বক্তব্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো ভারত সরকারের কোনো বিবৃতি বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভারতের ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ভূমিকা নিয়েছে কীনা জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ভারতের ডাবল এন্ট্রি ও মেডিকেল ভিসা দ্রুত দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।