ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর উৎপাদন, দুই কারখানাকে জরিমানা কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গরু ও উপকরণ বিতরণ শরীয়তপুরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন গাইবান্ধায় ৩৭ কেজি কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার, আটক ৩ পঞ্চগড়ে উত্তরা গ্রীণ টি কারখানার চেয়ারম্যান ও পরিচালক কারাগারে ব্যাংক চালান ছাড়াই সার্ভার কপি বিতরণ দেবীগঞ্জ নির্বাচন অফিসে আদমদীঘি উপজেলা পরিদর্শনে বিভাগীয় পরিচালক পারভেজ রায়হান অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকার কঠোর: বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে কংক্রিট ব্লক বাউফলে পৃথকভাবে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎযাপন আদমদিঘিতে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা- র‌্যালি

মিরপুর দারুসসালামে ব্যবসায়ির কাছে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রাজধানীর মিরপুর দারুসসালাম এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক শোরুমে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। শোরুমের মালিক মোহাম্মদ আরিফ হোসেন তমাল মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের অডিটোরিয়াম রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, গত ১০ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৩টার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে আসা ২৫-৩০ জন যুবকের একটি দল শোরুমে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়।

আরিফ হোসেন জানান, তারা শোরুমে উপস্থিত কর্মচারীদের সামনে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে ভবিষ্যতে তার ব্যবসায়িক স্থাপনা ও জানমালের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় শোরুমের ম্যানেজারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
শোরুমে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরিফ হোসেন কয়েকজন হামলাকারীকে শনাক্ত করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সৈকত বাবু (৩৮), আরাব (২২), পলাশ (২৫), সাকিব (২৫), বাবু (২৭) এবং সাইফুল (৪৫)।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন দারুসসালাম থানাধীন ১০ নং কমিউনিটি সেন্টার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে এবং মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আরিফ হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবসা করে আসছেন। ২০২২ সালে তিনি দারুসসালাম এলাকায় একটি চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নিচতলায় তার শোরুমটি অবস্থিত।
গত ১০ নভেম্বর দুপুরে তার শোরুমে কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও তিনি নিজে অনুপস্থিত ছিলেন। সেই সুযোগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শোরুমে ঢুকে চাঁদা দাবি করে। কর্মচারীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করেন।
ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চানাচুর উৎপাদন, দুই কারখানাকে জরিমানা

মিরপুর দারুসসালামে ব্যবসায়ির কাছে চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মিরপুর দারুসসালাম এলাকায় একটি ইলেকট্রনিক শোরুমে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। শোরুমের মালিক মোহাম্মদ আরিফ হোসেন তমাল মিরপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের অডিটোরিয়াম রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, গত ১০ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৩টার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে করে আসা ২৫-৩০ জন যুবকের একটি দল শোরুমে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়।

আরিফ হোসেন জানান, তারা শোরুমে উপস্থিত কর্মচারীদের সামনে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে ভবিষ্যতে তার ব্যবসায়িক স্থাপনা ও জানমালের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এ সময় শোরুমের ম্যানেজারকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
শোরুমে স্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আরিফ হোসেন কয়েকজন হামলাকারীকে শনাক্ত করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সৈকত বাবু (৩৮), আরাব (২২), পলাশ (২৫), সাকিব (২৫), বাবু (২৭) এবং সাইফুল (৪৫)।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন দারুসসালাম থানাধীন ১০ নং কমিউনিটি সেন্টার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে এবং মিরপুর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আরিফ হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রনিক পণ্য ব্যবসা করে আসছেন। ২০২২ সালে তিনি দারুসসালাম এলাকায় একটি চারতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনের নিচতলায় তার শোরুমটি অবস্থিত।
গত ১০ নভেম্বর দুপুরে তার শোরুমে কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও তিনি নিজে অনুপস্থিত ছিলেন। সেই সুযোগে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা শোরুমে ঢুকে চাঁদা দাবি করে। কর্মচারীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করেন।
ভুক্তভোগী আরিফ হোসেন পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।