ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান! পটুয়াখালীতে সড়কের বেহাল অবস্থা, ২০ টাকার ভাড়া গুনতে হয় ৫০ টাকা ক্রীড়া ও ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে চায় বিএনপি – আমিনুল হক রূপনগরে বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান ও হান্নানের ১২ লাখ টাকা চাঁদাবাজি! মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: শহীদ সারিয়ার পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা আমিনুল হক রূপনগরে ২০ হাজার গাছ রোপণের উদ্যোগ, যুবসমাজকে খেলায় ফেরানোর আহ্বান উত্তরা মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নিলেন বিএনপি মহাসচিব সড়ক দুর্ঘটনায় খবর বাংলাদেশ’র অনিক আহত মিরপুরে যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শাহ্আলী থানা ঘেরাও রাতে আটক যুবদল নেতা সকালে মৃত্যু, শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন!

পুলিশ জনগণের পাশে থাকতে চায়- জিএমপি কমিশনার

রেজাউল মোল্লা,গাজীপুর থেকে:
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মোঃ নাজমুল করিম খান বলেছেন, জুলাই-আগস্টের আগে গায়েবী মামলার মাধ্যমে মানুষকে হয়রাণী করা হয়েছে। পুলিশ নির্বাচারে গুলি করেছে। মানুষকে হত্যা করেছে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে। যারা এটি করেছে তারা ঘৃন্যতম অপরাধ করেছে। তার মাধ্যমে পুলিশের ইমেজ নষ্ট করেছে। পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বের করতে চাই। পুলিশ জনগণের পাশে থাকতে চায়।
জুলাই-আগস্টের আগে যে পুলিশ ছিল দুঃখের সাথে বলতে হয় সে পুলিশ একজন আরেক জনের জন্য উপকারের মধ্যে ছিল। সেই পুলিশ জনগনের উপকার তো দূরের কথা অপরাধীদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। তখন পুলিশ ছিল না, পুলিশ লীগ ছিল। আপনারা পুলিশের অত্যাচার, অপরাধীর অত্যাচার, সহ্য করেছেন এতদিন। পুলিশের আসল যে লক্ষ্য দুষ্টের দমন, সৃষ্টের সেবন। যারা ভাল মানুষ তাদের সেবা করা জন্য এসেছি। আপনাদের সাথে নিয়ে এলাকার মাদকমুক্ত করতে চাই। এ এলাকায় কোন মাদক থাকবে না।
তিনি মঙ্গলবার বিকালে জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডে অংশীজনদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মতবিনিমিয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ডিসি ক্রাইম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ডিসি ট্রাফিক ইব্রাহিম খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন, , সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, সমন্বয়ক ইসহাক টিপু, সাদেকুজ্জামান, সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যনানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, সদর মেট্রো থানা যুবদলের আহবায়ক নাজমুল খন্দকার সুমন, গাজীপুর কেন্দ্রীয় কৃপাময়ী কালী মন্দির কমিটির সদস্য সচিব বাপ্পি দে প্রমুখ। জুলাই আগস্টের আগের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশ ভিন্ন পুলিশ। এটি আমি প্রমাণ করে যাবো। আপনাদের সহযোগীতায় আমি এলাকাকে মাদকমুক্ত করে যাবো।
তিনি পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাস্তার যানজট নিরসনের জন্য নিজেরা স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করুন। রাস্তাঘাটে যানজট কমে আসবে। আর যানজটের কারণে যে জ¦ালানী খরচ হতো তাও স্বাশ্রয় হবে। প্রয়োজনে যাচাই করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে ওইসব স্বেচ্ছাসেবীদের এসবি পাশ দেওয়া হবে। প্রতিটি এলাকায় মাদক বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী তৈরী করতে চাই। যাতে কোন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী থাকতে না পারে। এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষনসহ সমস্ত অপরাধের মূলে প্রধান উপাদান হলো মাদক। তাই যেকোনা মূল্যে মাদককে নির্মূল করেত হবে।
তিনি বলেন, থানায় গিয়ে জিডি বা অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশকে যদি পাঁচ টাকাও দিতে হয় আমাকে জানাবেন তার চাকরি করার দরকার নেই। সে পুলিশের চাকুির করবে না এটা নিশ্চয়তা দিতে চাই, যতদিন আমি আছি। যে পুলিশ ছিনতাইকারী ও মাদকের পক্ষে অবস্থান নেবে আপনারা আমাকে জানাবেন। আমি ছিনতাকারী ও মাদক পুলিশ বানিয়ে ছাড়বে। তাই পুলিশকে ভাল হতে হবে। পুলিশকে ভাল করার মধ্যমে সমাজকে ভাল করতে চাই।
তিনি বলেন, গাজীপুরে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা খুবই কম। এখানে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য একজন পুলিশ কাজ করছে। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। যারা পুলিশের সাথী হবে তাদেরকে নিয়ে আমরা অপরাধীদের ধরতে চাই। পুলিশের মতো আপনাদেরও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আছে। জনগণকে এটা আইনীভাবে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো মাদক ব্যবসায়ী দেখতে পান তা হলে তাকে ধরুন পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যাবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

পুলিশ জনগণের পাশে থাকতে চায়- জিএমপি কমিশনার

আপডেট টাইম : ০১:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

রেজাউল মোল্লা,গাজীপুর থেকে:
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মোঃ নাজমুল করিম খান বলেছেন, জুলাই-আগস্টের আগে গায়েবী মামলার মাধ্যমে মানুষকে হয়রাণী করা হয়েছে। পুলিশ নির্বাচারে গুলি করেছে। মানুষকে হত্যা করেছে। অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছে। যারা এটি করেছে তারা ঘৃন্যতম অপরাধ করেছে। তার মাধ্যমে পুলিশের ইমেজ নষ্ট করেছে। পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। আমরা সেখান থেকে বের করতে চাই। পুলিশ জনগণের পাশে থাকতে চায়।
জুলাই-আগস্টের আগে যে পুলিশ ছিল দুঃখের সাথে বলতে হয় সে পুলিশ একজন আরেক জনের জন্য উপকারের মধ্যে ছিল। সেই পুলিশ জনগনের উপকার তো দূরের কথা অপরাধীদের সাথে বন্ধুত্ব করেছিল। তখন পুলিশ ছিল না, পুলিশ লীগ ছিল। আপনারা পুলিশের অত্যাচার, অপরাধীর অত্যাচার, সহ্য করেছেন এতদিন। পুলিশের আসল যে লক্ষ্য দুষ্টের দমন, সৃষ্টের সেবন। যারা ভাল মানুষ তাদের সেবা করা জন্য এসেছি। আপনাদের সাথে নিয়ে এলাকার মাদকমুক্ত করতে চাই। এ এলাকায় কোন মাদক থাকবে না।
তিনি মঙ্গলবার বিকালে জয়দেবপুর বাসস্ট্যান্ডে অংশীজনদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মতবিনিমিয় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, ডিসি ক্রাইম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ডিসি ট্রাফিক ইব্রাহিম খান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন, , সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুটুল, সমন্বয়ক ইসহাক টিপু, সাদেকুজ্জামান, সদর থানার ওসি আরিফুর রহমান উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যনানের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজু, সদর মেট্রো থানা যুবদলের আহবায়ক নাজমুল খন্দকার সুমন, গাজীপুর কেন্দ্রীয় কৃপাময়ী কালী মন্দির কমিটির সদস্য সচিব বাপ্পি দে প্রমুখ। জুলাই আগস্টের আগের পুলিশ আর বর্তমান পুলিশ ভিন্ন পুলিশ। এটি আমি প্রমাণ করে যাবো। আপনাদের সহযোগীতায় আমি এলাকাকে মাদকমুক্ত করে যাবো।
তিনি পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাস্তার যানজট নিরসনের জন্য নিজেরা স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ করুন। রাস্তাঘাটে যানজট কমে আসবে। আর যানজটের কারণে যে জ¦ালানী খরচ হতো তাও স্বাশ্রয় হবে। প্রয়োজনে যাচাই করে ট্রাফিক পুলিশের সাথে ওইসব স্বেচ্ছাসেবীদের এসবি পাশ দেওয়া হবে। প্রতিটি এলাকায় মাদক বিরোধী স্বেচ্ছাসেবী তৈরী করতে চাই। যাতে কোন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী থাকতে না পারে। এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষনসহ সমস্ত অপরাধের মূলে প্রধান উপাদান হলো মাদক। তাই যেকোনা মূল্যে মাদককে নির্মূল করেত হবে।
তিনি বলেন, থানায় গিয়ে জিডি বা অভিযোগ করতে গিয়ে পুলিশকে যদি পাঁচ টাকাও দিতে হয় আমাকে জানাবেন তার চাকরি করার দরকার নেই। সে পুলিশের চাকুির করবে না এটা নিশ্চয়তা দিতে চাই, যতদিন আমি আছি। যে পুলিশ ছিনতাইকারী ও মাদকের পক্ষে অবস্থান নেবে আপনারা আমাকে জানাবেন। আমি ছিনতাকারী ও মাদক পুলিশ বানিয়ে ছাড়বে। তাই পুলিশকে ভাল হতে হবে। পুলিশকে ভাল করার মধ্যমে সমাজকে ভাল করতে চাই।
তিনি বলেন, গাজীপুরে জনসংখ্যার তুলনায় পুলিশের সংখ্যা খুবই কম। এখানে সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের জন্য একজন পুলিশ কাজ করছে। তাই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। যারা পুলিশের সাথী হবে তাদেরকে নিয়ে আমরা অপরাধীদের ধরতে চাই। পুলিশের মতো আপনাদেরও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আছে। জনগণকে এটা আইনীভাবে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো মাদক ব্যবসায়ী দেখতে পান তা হলে তাকে ধরুন পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যাবে।