নাদিম হায়দার, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি-
মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর আদর্শ কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির সভার কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন কলেজের ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো: সিফাত। এ সময় এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্যরা।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ,গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে কমিটিবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হাওয়ায়,সমস্যা সমাধানে তিন মাসের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি গঠনের নির্দেশদেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেই সুযোগ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা না করেই,স্বজন প্রীতির মাধ্যমে,গত ০৯ অক্টোবর মীর সরফত আলী সপুকে সভাপতি ও ডাক্তার মোহাম্মদ জাহিদুল কবিরকে বিদ্যুেৎসাহী সদস্য করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকারের স্বাক্ষরিত এক কাগজে নতুন এডহক কমিটি গঠন করা হয়।
পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নতুন এডহক কমিটি গঠনের জন্য কলেজ অধ্যক্ষের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজনের নাম প্রস্তাব করা হলে নতুন এডহক কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয় অধ্যক্ষকে।
এরপর তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
এ সময় শীঘ্রই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এ অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে,দ্রুত প্রতিষ্ঠানের সকলের সম্মতি ক্রমে প্রস্তাবিত নামের ব্যক্তিদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলন থেকে,শীঘ্রই দাবি আদায় না হলে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া কোন প্রকার আলোচনা ছাড়া নতুন এডহক কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল জলিল।
তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে,নবগঠিত কমিটির সভাপতি সরফত আলী সপু জানান, স্থানীয়ভাবে নাম প্রস্তাবের মাধ্যমে তাকে সভাপতি করা হয়েছে।
এ সময় এতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সহ স্থানীয় নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।