ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেসবুক পোস্টের জেরে নওগাঁয় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ তরুন প্রজন্মের চিন্তা চেতনাকে নিয়ে কাজ করতে হবে- আমিনুল হক জয়পুরহাটে ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর আলোচিত কাফির লাশ উদ্ধার সিরাজদিখানে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও হামলা: আহত-৫ আদমদীঘিতে প্রতারণা করে বোনদের সম্পত্তি লিখে নিল ভাই মিরপুর ইস্টার্ণ হাউজিং ডাইং ফ্যাক্টারিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের মহাউৎসব প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় গ্রেফতার বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন- মাওলানা ইমতিয়াজ আলম রাজউককে জনবান্ধব করতে আইন ও বোর্ডের গঠন বদলাতে হবে- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সিরাজদিখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

মিরপুরে আলোচিত রিক্সাচোরের গডফাদার আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ!

রাজধানীর মিরপুরে একসময়ের আলোচিত রিকশাচোরের গডফাদার আলমগীর চৌধুরী বিরুদ্ধে তার আপন বোন ও প্রতিবেশী দুইজনের জমি দখল করে তিন তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মিরপুর-২নং সেকশনের ডুইপ প্লট এলাকার এক সময়ের আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুলের নেতৃত্বে মিরপুরে রিকশাচোরের বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা অসহায় নিরীহ রিকশা চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে তাদের রিক্সা চুরি করে নিয়ে যেত, পরবর্তীতে আবার তাদেরই তৈরি করা দালালদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সেই রিক্সা ফিরিয়ে দিতো এটাই ছিল তার মূল ব্যবসা।

তার এই অবৈধ ব্যবসার সুবাদে এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের সাথে তার খুবই সক্ষতা ছিল। আর সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে মিরপুর দুই নং মসজিদ মার্কেট ডুইপ আবাসিক এলাকায় তার আপন ছোট বোন নুর জাহান ও প্রতিবেশী কাসেম আরো একজন মোট তিনজনের তিনটি প্লট ভুয়া দলিলের করে দখল করে নেয় ও সেখানে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং প্লটের মালিকদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন।

সারজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মো. আবুল কাশেম, পিতা-রইছ উদ্দিন, বাড়ি নং-১২, লেন-১১, ডুইপ আবাসিক এলাকায়, মিরপুর-২ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্ডধারী বরাদ্ধ গ্রহীতা যাহা বরাদ্ধ প্রাপ্ত হই ১৯৯৬ইং। কয়েক বছর পূর্বে আবুল কাশেমের অনুপস্থিতে বাড়ির কেয়ার টেকারকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ি হইতে আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুল বের করে দিয়ে ১২, ১৩ ১৪নং প্লট দখল নেয়। এ বিষয়ে জাতীয় গৃহায়নকে অবগত করা হইলে অবৈধ্য দখল দার হিসেবে উক্ত দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য সরকারী নোটিশ ও ডি.ডি.-১ ক্ষমতাপ্রাপ্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তার কোন সমাধান হয়নি,আলমগীর চৌধুরী তার ক্ষমতার দাপটে ওই প্লটে বহাল তবিয়তে থেকে যায়।

পরবর্তীতে ওই প্লটে অবৈধভাবে ০৩ (তিন) তলা ভবণ নির্মান করে এবং অবৈধ তিতাস গ্যাসের একাধিক সংযোগ স্থাপন করে। এ বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ তৎপরতায় অবৈধ গ্যাসের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি তার একদিন পরে আবারও গোপনে বিকল্প পথে সংযোগটি স্থাপন করেন আলমগীর চৌধুরি। এ বিষয়ে প্লটের প্রকৃত মালিক তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে আবারও অবগত করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং এ বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবগত করার জন্য পরামর্শ দেন। (তিন পর্বের প্রথম পর্ব)

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ফেসবুক পোস্টের জেরে নওগাঁয় কলেজ শিক্ষার্থীকে মারপিটের অভিযোগ

মিরপুরে আলোচিত রিক্সাচোরের গডফাদার আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মিরপুরে একসময়ের আলোচিত রিকশাচোরের গডফাদার আলমগীর চৌধুরী বিরুদ্ধে তার আপন বোন ও প্রতিবেশী দুইজনের জমি দখল করে তিন তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মিরপুর-২নং সেকশনের ডুইপ প্লট এলাকার এক সময়ের আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুলের নেতৃত্বে মিরপুরে রিকশাচোরের বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট ছিল, যারা অসহায় নিরীহ রিকশা চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে তাদের রিক্সা চুরি করে নিয়ে যেত, পরবর্তীতে আবার তাদেরই তৈরি করা দালালদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সেই রিক্সা ফিরিয়ে দিতো এটাই ছিল তার মূল ব্যবসা।

তার এই অবৈধ ব্যবসার সুবাদে এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের সাথে তার খুবই সক্ষতা ছিল। আর সেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে মিরপুর দুই নং মসজিদ মার্কেট ডুইপ আবাসিক এলাকায় তার আপন ছোট বোন নুর জাহান ও প্রতিবেশী কাসেম আরো একজন মোট তিনজনের তিনটি প্লট ভুয়া দলিলের করে দখল করে নেয় ও সেখানে তিনতলা একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং প্লটের মালিকদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন।

সারজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মো. আবুল কাশেম, পিতা-রইছ উদ্দিন, বাড়ি নং-১২, লেন-১১, ডুইপ আবাসিক এলাকায়, মিরপুর-২ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কার্ডধারী বরাদ্ধ গ্রহীতা যাহা বরাদ্ধ প্রাপ্ত হই ১৯৯৬ইং। কয়েক বছর পূর্বে আবুল কাশেমের অনুপস্থিতে বাড়ির কেয়ার টেকারকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ি হইতে আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুল বের করে দিয়ে ১২, ১৩ ১৪নং প্লট দখল নেয়। এ বিষয়ে জাতীয় গৃহায়নকে অবগত করা হইলে অবৈধ্য দখল দার হিসেবে উক্ত দখলদারকে উচ্ছেদের জন্য সরকারী নোটিশ ও ডি.ডি.-১ ক্ষমতাপ্রাপ্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তার কোন সমাধান হয়নি,আলমগীর চৌধুরী তার ক্ষমতার দাপটে ওই প্লটে বহাল তবিয়তে থেকে যায়।

পরবর্তীতে ওই প্লটে অবৈধভাবে ০৩ (তিন) তলা ভবণ নির্মান করে এবং অবৈধ তিতাস গ্যাসের একাধিক সংযোগ স্থাপন করে। এ বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষ তৎপরতায় অবৈধ গ্যাসের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়, কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি তার একদিন পরে আবারও গোপনে বিকল্প পথে সংযোগটি স্থাপন করেন আলমগীর চৌধুরি। এ বিষয়ে প্লটের প্রকৃত মালিক তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে আবারও অবগত করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন এবং এ বিষয়টি স্থানীয় থানায় অবগত করার জন্য পরামর্শ দেন। (তিন পর্বের প্রথম পর্ব)