ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এখনও চলছে গোপালগঞ্জের দাপট!

গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস

  • সোহেল রানা :
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৫৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকায় নন্দী পাড়া ভুমি অফিস বর্তমানে গোপালগঞ্জের হালিম এর রাজত্ব চলে এমটাই জানান একাধিক ভুমি কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ একাধিক ব্যাক্তি। এই অভিযোগ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নন্দী পাড়া ভুমি অফিসে গেলে হালিম অফিসে নেই বলে জানান ভুমি অফিসের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নন্দী পাড়া সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মিরাজউজ্জামানকে হালিম এর বিষয়টি অবগত করা হয়। নন্দী পাড়া ওই সহকারী ভুমি কর্মকর্তা বলেন এই অফিসে হালিম এর কোন পদ নেই মাঝে মধ্যে আসে যতটুকু জানি জায়গা জমিনের ব্যাবসা করেন। অথচ হালিম নিজেকে ভুমি অফিসের কর্মচারী দাবী করে বলেন তিনি মাষ্টার রুলে নন্দী পাড়া ভুমি অফিসে চাকরি করেন।

নন্দী পাড়া ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আরো বলেন হালিম নামে তিনজন আছেন আপনি ছবি দেখান হালিম এর ছবি দেখার পরে ভুমি কর্মকর্তা মিরাজউজ্জামান প্রতিবেদককে জানান এই হালিম ভুমি অফিসে কোন পদে বা মাষ্টার রুলে চাকরি করেন না সে মিথ্যা বলেছে। আর এখন তো হালিম অফিসে নেই আমি ফোন দিয়ে দেখি কোথায় আছে। হালিম নিজেকে ভুমি অফিসের কর্মচারী দাবী করেছেন এই বিষয়ে আপনার মতামত কি জানতে চাইলে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা বলেন এসিল্যান্ড স্যার এর সাথে কথা বলেন আমি এই বিষয়ে কথা বলতে পারবো না। ভুমি সহকারী কর্মকর্তার মোবাইল দিয়ে হালিমকে ফোন দিলে হালিম সংবাদিদের বসতে বলেন।

কিছুক্ষণের মধ্য নন্দী পাড়া ভুমি অফিসের ক্ষমতাধর ব্যাক্তি গোপালগঞ্জের হালিম তার গুন্ডাপান্ডা ও স্থানীয় হালিমের পরিচিত দালাল কথিত সাংবাদিক ফয়সালকে নিয়ে ভুমি অফিসে হাজির হন। হালিমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জানতে চাওয়ায় হালিম ও তার লোকজনসহ দালাল কথিত সাংবাদিক ফয়সাল সংবাদিকদের উপর মারমুখী আচরণ ও ক্যামেরা বন্ধ করাসহ হুমকি-ধামকী প্রদান করেন। এছাড়াও হালিম মোবাইলের মাধ্যমে প্রতিবেদককে বলেছেন তিনি মাষ্টার রুলে নন্দী পাড়া ভুমি অফিসে চাকুরী করেন জায়গা জমি বিক্রি ও করেন।

এছাড়া ও তিনি বলেন হাউজ বিল্ডিং লোন নিয়ে তিনি বাসাবো এলাকাতে ১২৭নং বাড়ীতে একটা ফ্লাট কিনেছেন। একাধিক ব্যক্তিরা জানান দীর্ঘদিন যাবৎ হালিম ভুমি অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে দালালী সহ বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়াল কাজ করে আসছে এমনকি আমরাও জানি হালিম মাষ্টাররুলে চাকরি করে। শুধু তাই নয় ভুমি অফিসারদের সাথে দালাল হালিমের খুবই ভালো সম্পর্কও বটে বলা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি আরো বলেন গোপালগঞ্জের হালিম এর কথায় এখনও নন্দী পাড়া ভুমি অফিস চলে। হালিম সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেকে ভুমি অফিসের লোক দাবী করেন।

এছাড়া ভুমি অফিসের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি কাজ করে দেয়ন হালিম। নন্দী পাড়া ভুমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতাই হালিম এখন কোটিপতি এবং তার দাপটে কেউ কোন কাজের বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পাইনি। সাধারণ জনগণ জানতে চাই হালিম ভুমি অফিসের কোন পদে না থেকেও কিভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটাই এবং হালিমের ক্ষমতার উৎস কি? তাহলে এখনও গোপালগঞ্জের দাপট রয়েগেছে? (তিন পর্বের ১ম পর্ব)

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

এখনও চলছে গোপালগঞ্জের দাপট!

গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস

আপডেট টাইম : ০৩:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকায় নন্দী পাড়া ভুমি অফিস বর্তমানে গোপালগঞ্জের হালিম এর রাজত্ব চলে এমটাই জানান একাধিক ভুমি কর্মচারী-কর্মকর্তাসহ একাধিক ব্যাক্তি। এই অভিযোগ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে নন্দী পাড়া ভুমি অফিসে গেলে হালিম অফিসে নেই বলে জানান ভুমি অফিসের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নন্দী পাড়া সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মিরাজউজ্জামানকে হালিম এর বিষয়টি অবগত করা হয়। নন্দী পাড়া ওই সহকারী ভুমি কর্মকর্তা বলেন এই অফিসে হালিম এর কোন পদ নেই মাঝে মধ্যে আসে যতটুকু জানি জায়গা জমিনের ব্যাবসা করেন। অথচ হালিম নিজেকে ভুমি অফিসের কর্মচারী দাবী করে বলেন তিনি মাষ্টার রুলে নন্দী পাড়া ভুমি অফিসে চাকরি করেন।

নন্দী পাড়া ভুমি সহকারী কর্মকর্তা আরো বলেন হালিম নামে তিনজন আছেন আপনি ছবি দেখান হালিম এর ছবি দেখার পরে ভুমি কর্মকর্তা মিরাজউজ্জামান প্রতিবেদককে জানান এই হালিম ভুমি অফিসে কোন পদে বা মাষ্টার রুলে চাকরি করেন না সে মিথ্যা বলেছে। আর এখন তো হালিম অফিসে নেই আমি ফোন দিয়ে দেখি কোথায় আছে। হালিম নিজেকে ভুমি অফিসের কর্মচারী দাবী করেছেন এই বিষয়ে আপনার মতামত কি জানতে চাইলে সহকারী ভুমি কর্মকর্তা বলেন এসিল্যান্ড স্যার এর সাথে কথা বলেন আমি এই বিষয়ে কথা বলতে পারবো না। ভুমি সহকারী কর্মকর্তার মোবাইল দিয়ে হালিমকে ফোন দিলে হালিম সংবাদিদের বসতে বলেন।

কিছুক্ষণের মধ্য নন্দী পাড়া ভুমি অফিসের ক্ষমতাধর ব্যাক্তি গোপালগঞ্জের হালিম তার গুন্ডাপান্ডা ও স্থানীয় হালিমের পরিচিত দালাল কথিত সাংবাদিক ফয়সালকে নিয়ে ভুমি অফিসে হাজির হন। হালিমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জানতে চাওয়ায় হালিম ও তার লোকজনসহ দালাল কথিত সাংবাদিক ফয়সাল সংবাদিকদের উপর মারমুখী আচরণ ও ক্যামেরা বন্ধ করাসহ হুমকি-ধামকী প্রদান করেন। এছাড়াও হালিম মোবাইলের মাধ্যমে প্রতিবেদককে বলেছেন তিনি মাষ্টার রুলে নন্দী পাড়া ভুমি অফিসে চাকুরী করেন জায়গা জমি বিক্রি ও করেন।

এছাড়া ও তিনি বলেন হাউজ বিল্ডিং লোন নিয়ে তিনি বাসাবো এলাকাতে ১২৭নং বাড়ীতে একটা ফ্লাট কিনেছেন। একাধিক ব্যক্তিরা জানান দীর্ঘদিন যাবৎ হালিম ভুমি অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে দালালী সহ বিভিন্ন ধরনের অফিসিয়াল কাজ করে আসছে এমনকি আমরাও জানি হালিম মাষ্টাররুলে চাকরি করে। শুধু তাই নয় ভুমি অফিসারদের সাথে দালাল হালিমের খুবই ভালো সম্পর্কও বটে বলা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি আরো বলেন গোপালগঞ্জের হালিম এর কথায় এখনও নন্দী পাড়া ভুমি অফিস চলে। হালিম সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেকে ভুমি অফিসের লোক দাবী করেন।

এছাড়া ভুমি অফিসের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি কাজ করে দেয়ন হালিম। নন্দী পাড়া ভুমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতাই হালিম এখন কোটিপতি এবং তার দাপটে কেউ কোন কাজের বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পাইনি। সাধারণ জনগণ জানতে চাই হালিম ভুমি অফিসের কোন পদে না থেকেও কিভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটাই এবং হালিমের ক্ষমতার উৎস কি? তাহলে এখনও গোপালগঞ্জের দাপট রয়েগেছে? (তিন পর্বের ১ম পর্ব)