ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে সারজিসের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেল ২ হাজার শীতার্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিবের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ আদমদিঘীতে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে এক মাসের কারাদণ্ড সান্তাহারে জন্ম নিবন্ধনকৃত শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে দিল্লির উদ্বেগ সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি সান্তাহারে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহের সময় গ্রেপ্তার ৩ গাজীপুরে যুবদল নেতার নেতৃত্বে জমি দখলের অভিযোগ

টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
লালন সাঁইজির ভাবধারা ও দর্শনকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়ার কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ আগামী ৬ জানুয়ারি তাদের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি সভা ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের নিজ কার্যালয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পালের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সভাপতি ছোবাহান তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় মেলার কার্যক্রম এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক শাহ আলম, সাধু বিজন ভট্টাচার্য (সাধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক), সাধু আলতাব শাহ ফকির, সাধু ধীরেন, শাহানুর রহমান শাহীন (পাঠাগারের সভাপতি), সৈয়দ নুরুল ইসলাম সুরুজ (সাধুসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক), সোলায়মান খান (কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সদস্য), আবু বকর সিদ্দিকী ( যুগ্ম সম্পাদক), আনন্দ পাল (সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক), এবং হারাধন মণ্ডল (সহ-সভাপতি)।
বক্তারা জানান, এই মহতী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু, গুরু, বাউল, ফকির, পীর-মাশায়েখ, গোসাই ও লালনভক্তরা যোগদান করবেন। তাদের আবাসন, খাদ্য, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া, বক্তারা বলেন, “লালন সাঁইজির ভাবধারাকে কেন্দ্র করে আমাদের এই আয়োজন এক মিলনমেলায় পরিণত হবে। এটি কেবল এক উৎসব নয়, বরং মানবতার, সম্প্রীতির এবং বাউল দর্শনের মর্মবাণী ছড়িয়ে দেওয়ার একটি প্রয়াস।“

আগামী দিনগুলোতে সাধু সম্মেলন ও মেলার আয়োজনকে আরও সুসংগঠিত করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

লালন সাঁইজির সুরে বাঁধা এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে কালিহাতীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের এক স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে সারজিসের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেল ২ হাজার শীতার্ত

টাঙ্গাইলে কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আপডেট টাইম : ১২:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি-
লালন সাঁইজির ভাবধারা ও দর্শনকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠিত টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়ার কেন্দ্রীয় সাধুসংঘ আগামী ৬ জানুয়ারি তাদের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী সাধু সম্মেলন ও লালন মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি সভা ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় সাধু সংঘের নিজ কার্যালয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সভাপতি বাবু হরি মোহন পালের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সভাপতি ছোবাহান তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় মেলার কার্যক্রম এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক শাহ আলম, সাধু বিজন ভট্টাচার্য (সাধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক), সাধু আলতাব শাহ ফকির, সাধু ধীরেন, শাহানুর রহমান শাহীন (পাঠাগারের সভাপতি), সৈয়দ নুরুল ইসলাম সুরুজ (সাধুসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক), সোলায়মান খান (কেন্দ্রীয় সাধুসংঘের সদস্য), আবু বকর সিদ্দিকী ( যুগ্ম সম্পাদক), আনন্দ পাল (সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক), এবং হারাধন মণ্ডল (সহ-সভাপতি)।
বক্তারা জানান, এই মহতী অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধু, গুরু, বাউল, ফকির, পীর-মাশায়েখ, গোসাই ও লালনভক্তরা যোগদান করবেন। তাদের আবাসন, খাদ্য, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া, বক্তারা বলেন, “লালন সাঁইজির ভাবধারাকে কেন্দ্র করে আমাদের এই আয়োজন এক মিলনমেলায় পরিণত হবে। এটি কেবল এক উৎসব নয়, বরং মানবতার, সম্প্রীতির এবং বাউল দর্শনের মর্মবাণী ছড়িয়ে দেওয়ার একটি প্রয়াস।“

আগামী দিনগুলোতে সাধু সম্মেলন ও মেলার আয়োজনকে আরও সুসংগঠিত করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

লালন সাঁইজির সুরে বাঁধা এই অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে কালিহাতীর সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের এক স্মরণীয় অধ্যায় রচনা করবে।