ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে সারজিসের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেল ২ হাজার শীতার্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সচিবের বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ আদমদিঘীতে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে এক মাসের কারাদণ্ড সান্তাহারে জন্ম নিবন্ধনকৃত শিশুদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ গুম হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে দিল্লির উদ্বেগ সিরাজদিখানে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হুমকি সান্তাহারে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহের সময় গ্রেপ্তার ৩ গাজীপুরে যুবদল নেতার নেতৃত্বে জমি দখলের অভিযোগ

মিরপুরের আলোচিত আলমগীর চৌধুরী এখন বিএনপির সক্রিয় কর্মি!

বিগাত আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে আলমগীর চৌধুরী ও ছেলে কামরুল প্রতিটি মিছিল মিটিং করছেন।

রাজধানী মিরপুর ২নং সেকশনের মসজিদ মার্কেটের পাশে ডুইপ প্লট আবাসিক এলাকায় এক সময়ের আলোচিত রিকশাচোরের গডফাদার আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুজ্জামান (কামরুল) আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মিরপুর এলাকাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং এলাকাকে করেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পরে তিনি বোল পাল্টিয়ে বিএনপির সক্রিয় কর্মি হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার সকল অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও জিডি রয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক এমপি মইনুল হোসেন খান নিখিলের সাথে তিনি প্রতিটা প্রোগ্রাম করছেন এবং তার এলাকা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু মিয়া কাউন্সিলর হওয়ার পর তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া নিখেলের প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে অলমগীর চৌধুরী ও ছেলে কামরুজ্জামান কামরুলকে দেখা গেছে। তারা এখন বোল পাল্টিয়ে রাতারাতি মিরপুর এলাকাতে বিএনপির সক্রিয় কর্মি হয়ে গেছেন।
৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক হারুন অর রশিদকে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে হাত করে আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুল বিএনপির ওই নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে।
২ ডিসেম্বর আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুলের বিরুদ্ধে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার অনলাইনে একটি খবর প্রকাশ হলে সেই নিউজের প্রেক্ষিতে সেচ্ছাসেবকদলের ৭নং ওয়ার্ড আহবায়ক হারুন অর রশিদ সম্পাদককে ফোন করে মিমাংশা করার প্রস্তাবদেন।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুজ্জামান কামরুল ছিলেন মিরপুরের এক সময়ের আলোচিত রিকশাচোরের গডফাদার। তাদের অত্যাচারে এখনো মিরপুরের সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ।
মিরপুর-২নং সেকশনের ডুইপ প্লট এলাকায় এক সময় আলমগীর চৌধুরী ও তার বড় ছেলে কামরুলের নেতৃত্বে মিরপুরে রিকশাচোরের বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট ছিল। যারা অসহায় নিরীহ রিকশা চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ফাঁদের মাধ্যমে রিক্সা চুরি করে নিয়ে আসতো আলমগীর ও কামরুলের কাছে, পরবর্তীতে আবার তাদেরই দালালদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সেই রিক্সা ফিরিয়ে দিতো, এটাই ছিল বাপ-ছেলের মূল ব্যবসা। আর এখান থেকে আলমগীর ও কামরুলের উত্থান।
আলমগীর ও কামরুল ডুইপ আবাসিক এলাকার নিরীহ লোকজনের প্লট জোরপূর্বক দখল করে প্লট মালিকদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ওই সব দখলকৃত জায়গার উপর রাজউক অনুমোদন বিহীন তিন তলা ভবণ নির্মান করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন। এছাড়া ডুইপ আবাসিক এলাকার একটি সরকারি রাস্তা দখল করে রিকশার গ্যারেজ করে রেখেছেন।
আলমগীর ও কামরুলের বিরুদ্ধে কেউ কোন টু শব্দ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করেন বলে জানা যায়। (তিন পর্বের দ্বিতীয় পর্ব)

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে সারজিসের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পেল ২ হাজার শীতার্ত

মিরপুরের আলোচিত আলমগীর চৌধুরী এখন বিএনপির সক্রিয় কর্মি!

আপডেট টাইম : ০৬:২০:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানী মিরপুর ২নং সেকশনের মসজিদ মার্কেটের পাশে ডুইপ প্লট আবাসিক এলাকায় এক সময়ের আলোচিত রিকশাচোরের গডফাদার আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুজ্জামান (কামরুল) আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মিরপুর এলাকাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং এলাকাকে করেন অপরাধের স্বর্গরাজ্য। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের পরে তিনি বোল পাল্টিয়ে বিএনপির সক্রিয় কর্মি হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার সকল অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায়, মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ও জিডি রয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ঢাকা-১৪ আসনের সাবেক এমপি মইনুল হোসেন খান নিখিলের সাথে তিনি প্রতিটা প্রোগ্রাম করছেন এবং তার এলাকা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু মিয়া কাউন্সিলর হওয়ার পর তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া নিখেলের প্রতিটা মিছিল মিটিংয়ে অলমগীর চৌধুরী ও ছেলে কামরুজ্জামান কামরুলকে দেখা গেছে। তারা এখন বোল পাল্টিয়ে রাতারাতি মিরপুর এলাকাতে বিএনপির সক্রিয় কর্মি হয়ে গেছেন।
৭নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক হারুন অর রশিদকে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে হাত করে আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুল বিএনপির ওই নেতার ছত্রছায়ায় রয়েছে।
২ ডিসেম্বর আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুলের বিরুদ্ধে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার অনলাইনে একটি খবর প্রকাশ হলে সেই নিউজের প্রেক্ষিতে সেচ্ছাসেবকদলের ৭নং ওয়ার্ড আহবায়ক হারুন অর রশিদ সম্পাদককে ফোন করে মিমাংশা করার প্রস্তাবদেন।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, আলমগীর চৌধুরী ও তার ছেলে কামরুজ্জামান কামরুল ছিলেন মিরপুরের এক সময়ের আলোচিত রিকশাচোরের গডফাদার। তাদের অত্যাচারে এখনো মিরপুরের সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ।
মিরপুর-২নং সেকশনের ডুইপ প্লট এলাকায় এক সময় আলমগীর চৌধুরী ও তার বড় ছেলে কামরুলের নেতৃত্বে মিরপুরে রিকশাচোরের বড় ধরনের একটি সিন্ডিকেট ছিল। যারা অসহায় নিরীহ রিকশা চালকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার ফাঁদের মাধ্যমে রিক্সা চুরি করে নিয়ে আসতো আলমগীর ও কামরুলের কাছে, পরবর্তীতে আবার তাদেরই দালালদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে সেই রিক্সা ফিরিয়ে দিতো, এটাই ছিল বাপ-ছেলের মূল ব্যবসা। আর এখান থেকে আলমগীর ও কামরুলের উত্থান।
আলমগীর ও কামরুল ডুইপ আবাসিক এলাকার নিরীহ লোকজনের প্লট জোরপূর্বক দখল করে প্লট মালিকদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ওই সব দখলকৃত জায়গার উপর রাজউক অনুমোদন বিহীন তিন তলা ভবণ নির্মান করে ভাড়া দিয়ে খাচ্ছেন। এছাড়া ডুইপ আবাসিক এলাকার একটি সরকারি রাস্তা দখল করে রিকশার গ্যারেজ করে রেখেছেন।
আলমগীর ও কামরুলের বিরুদ্ধে কেউ কোন টু শব্দ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করেন বলে জানা যায়। (তিন পর্বের দ্বিতীয় পর্ব)