নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বার বার দল বদলকারি নেতা মো. খিজির চৌধুরীর জমি দখল ও অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ৪০/৫০ জন লোক নিয়ে খিজির চৌধুরী জমি দখলের পাঁয়তারা করতে গেলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে দলবল নিয়ে ফিরে যায় খিজির চৌধুরী।
এ বিষয়ে জমির মালিক কাজী কামাল হোসেন সিরাজদিখান থানায় বাদী হয়ে খিজির চৌধুরী ও ৫ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কাজী কামাল হোসেন জানান, রবিবার সকাল ১০ টার দিকে বেশ কিছু লোকজন নিয়ে খিজির চৌধুরী আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে আসে। আমরা বাড়ি ছিলাম না। বাড়ির মহিলা বাঁধা দিলে তাদের উপর চড়াও হয়। পরে থানায় পুলিশকে ফোন দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই খিজির চৌধুরী এক সময় বিএনপি করতো এবং রশুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগও করছেন সেচ্ছায় , এর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তাদের সাথে মিশে এলাকায় জমি দখল বাণিজ্য ও এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে। গত ২৩ সালে ৬ নভেম্বর তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। আমাদের উত্তর তাজপুরের ২ দাগে ১ একর ৬৫ শতাংশ জমি দখলের চেস্টা করেন তিনি। এ জমি নিয়ে কোটে একটি মামলা চলমান আছে। একটা রায় আমরা পেয়েছি।
বিষয় টি নিয়ে খিজির চৌধুরী সাথে কথা বললে তিনি
জানান, আমার জমি আমি দখল করতে যাবো কেনো। আমার কাগজ আছে। জমিটি নিয়ে মামলা চলমান আছে? এখানে কেউ খেলাধুলা করে না।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, মামলা চলমান থাকায় আমরা সাবেক চেয়ারম্যান শ্যামল কাজী ও তার ভাই কামাল কাজীকে বলেছি। আপনাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও একটা রায় আপনাদের পক্ষে আসছে। যতদিন ফাইনাল রায় না আসে এ জমিতে শিশু-কিশোররা যাতে খেলাধুলা করতে পারে। তাই দেড় বছর যাবৎ গ্রামের ছেলেরা বারপোষ্ট লাগিয়ে ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলা করে। কিন্তু রবিবার সকালে খিজির চৌধুরী তার বেশকিছু লোকজন নিয়ে বার পোষ্ট ভেঙে দিয়ে জমির আইল (আতাইল) কেটে দখলের চেস্টা করে। কাজী কামালের লোকজন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
তাজপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, জমিটি শ্যামল কাজীর মায়ের নামে। তারা সংজমা লাগাতো। গত দুই বছর আগে শুনেছি শ্যামল কাজী কিছু টাকা ধার নিয়েছিল খিজির চৌধুরীকে জমি দিবে বলে, কিন্তুু খিজির চৌধুরী টাকা না দিয়ে শুধু ঘুরায়। সে জন্য শ্যামল কাজী ও কামাল কাজী তারা তাকে জমি দিতে রাজি হয় না। চৌধুরী টাকা আদো দিছে কিনা জানিনা। মামলা হইছে, রায়ও কামাল কাজীদের পক্ষে হয়েছে। এখন শুনেছি ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউ জমিতে আসতে পারবে না। তাই চাষাবাদ না হওয়ায় পরিত্যাক্ত থাকায় এলাকার ছেলে পুলেরা জমিটিতে খেলাধুলা করে। খিজির চৌধুরী জোর খাটিয়ে দখলের চেষ্টা করছে, এর বেশি কিছু জানিনা।
জয়নাল শেখ জানান, আমরা জানি জমিটি পুলিন্দ নামের এক হিন্দুব্যাক্তির নিকট থেকে কামাল কাজীর বাবা কাজী আব্দুল মতিন কিনেছিলেন। তারা দীর্ঘ বছর জমিটি খেয়ে আসছেন ।গত দুই বছর যাবৎ শুনেছি শ্যামল কাজীর নিকট থেকে নাকি খিজির চৌধুরী কিনেছে। মামলা চলছে। আজ জোর করে খিজির চৌধুরী ৩০ /৪০ জন লোক নিয়ে দখলের চেস্টা করছিলো, পুলিশ এসে থামিয়েছে। বিষয় টি নিয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন আমি এখন মিটিংয়ে আছি তাই অভিযোগের বিষয় টি অবগত নই। মিটিং শেষে নিশ্চিত হয়ে আপনাদের জানাবো।