মির্জাগঞ্জ (প্রতিনিধি) পটুয়াখালী :
পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে অবিবাহিত অন্তঃসত্ত্বা নারীর ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ।
আসামীর নাম আবুল বাশার। পিতার নাম, আবু বক্কার সিদ্দিকী গ্রাম, বৈদ্যপাশা, উপজেলা মির্জাগঞ্জ, জেলা, পটুয়াখালী। তিনি উক্ত মামলার পলাতক প্রধান আসামি। মামলাটি ২১-৭-২০২৪ ইংরেজি তারিখ মির্জাগঞ্জ আদালতে দাখিল হয়।
প্রায় ০৫ (পাঁচ) মাস পলাতক থাকার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ এনামুল হক ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেন। সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ এনামুল হক ১৭-১২-২০২৪ খ্রি. তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, উক্ত আসামী ঢাকা উত্তরা দক্ষিণখান থানাধীন আইনুসবাগ এলাকায় অবস্থান করিতেছে।
একই দিনে সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ এনামুল হক সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করিয়া উক্ত আসামিকে গ্রেফতার করিয়া ১৮-১২-২০২৪ খ্রি. তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।
উক্ত আসামী গত ২৪-০২-২০২৪ খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৮:৩০ ঘটিকা হতে বিভিন্ন সময় ভিকটিম মোসাঃ জান্নাতুল(১৪)কে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া ও ফুসলাইয়া বাদীর বসত ঘরে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে মর্মে ভিকটিম বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
ধর্ষণের ফলে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়িলে গত ১৪-১২-২০২৪ খ্রি. তারিখ একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
প্রসবের পর নবজাতক শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়িলে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়া নবজাতক শিশুটিকে মৃত্যু বলিয়া ঘোষণা করিয়া মৃত্যু সনদ প্রদান করেন।
একই মামলার এজাহারভুক্ত ২ নং আসামী মোঃ বেল্লাল হোসেন কে গত ০৫-১০-২০২৪ খ্রি. তারিখ মির্জাগঞ্জ থানাধীন বৈদ্যপাশা গ্রামের খালের কচুরিপানার মধ্যে প্রায় ০৩ (তিন) ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ শামীম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন