নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দেদারছে এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও ঝারফুকের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন কেয়াইন ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ৮ম শ্রেনী পাশ চান মিয়া ওরফে চান মিয়া দফাদার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চান মিয়া ওরফে চানমিয়া দফাদার তার চৌকিদারির কাজ শেষ করার পর বিকেলে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের কুচিয়ামোড়া- সৈয়দপুর সড়কের একটি দোকানে বসে প্রতিনিয়তই কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দিয়ে যাচ্ছেন এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি এবং ঝারফুকের চিকিৎসা। তিনি দোকানে একটি রঙ্গিন ফটোকপি করা SIT-MEDICAL TECHNOLOGY AND DENTAN COLLEGE এর তিন মাসের ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল প্রফেশনাল কোর্স ফর রুরাল ডক্টর্স (আয়ুর্বেদিক/ডেন্টাল) একটি আয়ুর্বেদিক প্রশিক্ষণের ভুয়া সার্টিফিকেট ঝুলিয়ে রেখেছেন তিনি। এর দারাই করছেন সকল রোগের চিকিৎসা।
বেশ কিছুদিন আগে এক শিশুকে ভুল চিকিৎসা দিলে শিশুর অবস্থা আশংকাজনক হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই শিশুর বাবা তাকে ঢাকার আদ-দীন হাসপাতালে ৫ দিন ভর্তি রেখে চিকিৎসা করান। একাধারে হোমিওপ্যাথি, এ্যালোপ্যাথি, কবিরাজি ও ঝারফুকের চিকিৎসা দেয়া অলরাউন্ডার ভুয়া চিকিৎসক চান মিয়ার এই সকল কর্মকান্ডে অতিস্ট এলাকাবাসী। দ্রুত তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ আশা করেন এলাকার লোকজন।
এবিষয়ে ভুয়া চিকিৎসক চান মিয়ার কাছে বক্তব্য চাইলে তিনি কোন বক্তব্য না দিয়ে সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেন।
উপজেলার নিরাপদ চিকিৎসা চাই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ নাদভী বলেন, আমরা চাই চিকিৎসা টা নিরাপদ হোক। মানুষ রোগ সারানোর জন্য আল্লাহর পর ডাক্তার কে বিশ্বাস করেন। এমন ৮ম শ্রেনী পাশ করা একজন যে কিনা ইংরেজি শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না সে কি ভাবে মানুষের এই চিকিৎসা গুলো দিচ্ছে। তার কাছে গেলে সে সকল রোগের চিকিৎসা করেন। কোন রোগীকে সে ফিরায় না। আমরা চাই দ্রুত প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করুক।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব দ্রুতই তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।