রিফাত হোসেন মেশকাত, আক্কেলপুর প্রতিনিধি-
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ভেঙেছে রেল লাইনের স্লিপারে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রেল রুট এটি। উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণ দিকে একসঙ্গে তিনটি স্লিপার ভেঙে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে রেললাইনটি। তাছাড়া রেললাইনের বিভিন্ন জায়গায় স্লিপার ভেঙে তার সঙ্গে রেললাইন আটকানো হুক একেবারেই নেই। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রায় ২৬টি ট্রেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার তিলকপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণ দিকে ডাউন সিগনালের অদূরে ২৯০/৮ নম্বর পিলারের কাছে একসঙ্গে তিনটি স্লিপার ভাঙা রয়েছে। ভাঙা স্লিপারে লাইন আটকানো হুকগুলোও খুলে গেছে। তিলকপুর নূর নগর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের পূর্ব পাশে ২৯০/৮ থেকে ২৯০/৯ নম্বর পিলার পর্যন্ত ১৪৬টি স্লিপার রয়েছে। এর মধ্যে সেখানে ১৭টি স্লিপার ভেঙে গেছে। কোন স্লিপারের রেললাইন আটকানো হুকগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে এবং কোনোটাতে একবারেই হুক নেই। এতে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলে যাত্রী এবং স্থানীয়রা জানান।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রেল রুট এটি। এই রুটে প্রতিদিন আন্তঃনগর, লোকাল, মেইল এবং মালগাড়িসহ প্রায় ২৬টি ট্রেন চলাচল করে। আক্কেলপুর উপজেলায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেলপথ আছে। এই রেললাইনটি সান্তাহার রেলওয়ে জংশন থেকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য স্লিপারে ফাটল এবং স্লিপার ভাঙা রয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ এই লাইনটি।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, রেললাইনের তিলকপুর অংশে বেশ কিছু স্থানে স্লিপার ফাটা এবং ভাঙা রয়েছে। কলেজের কাছে একসঙ্গে তিনটি স্লিপার ভেঙে লাইন আটকানো হুকগুলোও খুলে যাওয়াই অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এখনও তা মেরামত করা হয়নি। দ্রুত লাইন মেরাতমত না করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রেলওয়ের সিনিয়র উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক রেললাইন তদারকি করছি। এই রুটের বিভিন্ন স্থানে অনেক স্লিপার ভাঙা রয়েছে। এতে তেমন সমস্যা হবে না। তবে একসঙ্গে তিনটি স্লিপার ভাঙা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি। খুব দ্রুত স্লিপারগুলো পরিবর্তন করা হবে।
এ বিষয়ে সান্তাহার ও তিলকপুর রেলস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশনমাস্টার খাতিজা খাতুন বলেন, একসঙ্গে তিনটি স্লিপার ভেঙে গেলে লাইনটি ঝুঁকিপূর্ণ। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। ইতিমধ্যে বিষয়টি রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় (পিডব্লিউ) জানানো হয়েছে। তারা খুব তাড়াতারি ব্যবস্থা নিবে।