মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়-
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এই অঞ্চলে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করায় বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। যদিও ঘন কুয়াশা কাটিয়ে ভোরেই দেখা মিলেছে সূর্যের।
এর আগে, শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এ এলাকার ওপর দিয়ে হালকা ধরণের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাত বাড়তে থাকলে কুয়াশার সঙ্গে শিশির ঝরা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। সকাল অবধি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে ফের বাড়ছে শীত।
কনকনে শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “পঞ্চগড়ে আজ (শনিবার) সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯৯ শতাংশ এবং গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার। কুয়াশা কম থাকায় দ্রুতই রোদের দেখা মিলেছে।”