পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজাহিদ মুন্সীর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপি মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে কালাইয়া বন্দর বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে প্রথমে সংবাদ সম্মেলন করেন এবং বিকেল ৫টার একই কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২৮ ডিসেম্বর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজাহিদ মুন্সী দলবল নিয়ে চর দিয়ারা কচুয়ায় কৃষকের জমি দখল করতে গেলে স্থানীয় কৃষকদের প্রতিরোধে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা আহত হন। খবর পেয়ে আহতদের দেখতে আমি বাউফল হাসপাতালে গেলে মুজাহিদ মুন্সী ও তার সঙ্গীরা আমার ওপর হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অথচ আমাকে ওই জমি দখলের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় দলীয় হাইকমান্ডের কাছে মুজাহিদ মুন্সীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই ঘটনার মিথ্যা মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে।’ এহেন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজাহিদ মুন্সী বলেন, ‘কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও তার লোকজন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশ করে চর ও হাটবাজার দখল করেছেন। ছাত্রদল নেতা ইয়াসিনের জমিও তারা দখল করেছেন। ইয়াসিনসহ কয়েকজন ছাত্রদল নেতা চরে গেলে বিএনপি নেতা তুহিনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়। আমি তাকে (তুহিন) রক্ষা করেছি, হামলা করিনি।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বরের ঘটনায় ২৯ ডিসেম্বর জেলা ছাত্রদল থেকে মুজাহিদ মুন্সীকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জমি দখল নিয়ে ওঠা অভিযোগে বাউফলের রাজনীতি উত্তপ্ত। স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধ দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলার ওপর প্রভাব ফেলছে।