ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম উন্নয়ন শুধু জেলা সদরেই নয়, সকল উপজেলায় দৃশ্যমান হতে হবে- পার্বত্য উপদেষ্টা জুলাইবিপ্লবী শহিদ হাসানকে দেখতে হাসপাতালে ধর্ম উপদেষ্টা পরিবেশ উপদেষ্টার সাথে নরওয়ের স্টেট সেক্রেটারির বৈঠক আদমদীঘিতে বেড়েছে অপরাধের প্রবণতা, নীরব ভূমিকায় থানা পুলিশ সিংগাইরে কিশোর গ্যাংদের হাতে খুন হলেন স্কুল ছাত্র রাহুল ইসলাম খান মাগুরা আলোকদিয়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ খুন রাজধানীতে থেমে নেই যুবলীগ নেতা নুর ইসলামের চাঁদাবাজি-ত্রাসের রাজত্ব! রূপগঞ্জে সালমান এফ রহমানের দখলে থাকা সরকারি রাস্তা উদ্ধার শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা: খালাস পেলো ৩

নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর-
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়েই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমা মাঠ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য শুক্রবার বিকেল থেকে মাইকিং শুরু হবে। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তাসহ তাদের ইজতেমা নির্বিঘœ করতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি যারা আছেন তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। এক সময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বী যারা আছেন, তাদের সাথে পরামর্শ করে আমরা তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন তাবলীগ জামায়াতের ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জামাত বলা হয়ে থাকে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লী এখানে উপস্থিত হয়। এজন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ,খাবার পানি,ছাউনির জন্যে চট, এইসব বিষয়গুলোতে আমরা তাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে থাকি।
তিনি আরো বলেন,সরকারের বিভিন্ন দপ্তর একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সময় তিনি আরো বলেন,ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ডিমান্ড ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে ও এজতেমার শেষে যেতে পারে সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
এছাড়াও প্রশাসক সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ঠ সকলকে যথাসময়ে সকল কাজকর্ম সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
বিশ্ব ইজতেমার বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এই বিষয়টি জাতীয় বিষয়। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
এসময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরিফিন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এর একান্ত সচিব আশরাফুল আলমসহ জেলা প্রশাসন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক,বিদ্যুৎ ও পানি) সুদীব বসাক, প্রকৌশলী(বিদ্যুৎ) মোঃ ইব্রাহিম খলিল, উপ-সহকারি প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) মো. আমজাদ হোসেনসহ আরও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই শুরু হবে তুরাগ নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণের কার্যক্রম

নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট টাইম : ১২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

রেজাউল মোল্লা, গাজীপুর-
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার ৭০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়েই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমা মাঠ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য শুক্রবার বিকেল থেকে মাইকিং শুরু হবে। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তাসহ তাদের ইজতেমা নির্বিঘœ করতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি যারা আছেন তারাই করে থাকেন। তবে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে থাকি। এক সময় তারা নিজেরাই সবকিছু করতেন। ইজতেমার পরিধি বাড়ার কারণে বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এটা সাধারণত ইজতেমার মুরুব্বী যারা আছেন, তাদের সাথে পরামর্শ করে আমরা তাদের ডিমান্ড অনুযায়ী সহযোগিতা করে থাকি।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন তাবলীগ জামায়াতের ইজতেমাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম জামাত বলা হয়ে থাকে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মুসল্লী এখানে উপস্থিত হয়। এজন্য তাদের কিছু মৌলিক চাহিদা রয়েছে। টয়লেট, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ,খাবার পানি,ছাউনির জন্যে চট, এইসব বিষয়গুলোতে আমরা তাদেরকে সাপোর্ট দিয়ে থাকি।
তিনি আরো বলেন,সরকারের বিভিন্ন দপ্তর একটা বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সময় তিনি আরো বলেন,ইজতেমা কর্তৃপক্ষের ডিমান্ড ছিল চটের পরিবর্তে টিনের। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া ইজতেমায় যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে ও এজতেমার শেষে যেতে পারে সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
এছাড়াও প্রশাসক সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ঠ সকলকে যথাসময়ে সকল কাজকর্ম সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
বিশ্ব ইজতেমার বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, এই বিষয়টি জাতীয় বিষয়। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
এসময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম শফিউল আজম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরিফিন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এর একান্ত সচিব আশরাফুল আলমসহ জেলা প্রশাসন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক,বিদ্যুৎ ও পানি) সুদীব বসাক, প্রকৌশলী(বিদ্যুৎ) মোঃ ইব্রাহিম খলিল, উপ-সহকারি প্রকৌশলী(যান্ত্রিক) মো. আমজাদ হোসেনসহ আরও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।