ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন, নেই দেখার মতো কেউ বাংলাদেশ-চীন দুই দেশের সম্পর্কের কোন চির ধরবে না: চীন রাষ্ট্রদূত বরগুনায় বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো সেই কলমকে গ্রেফতার করলো আদমদীঘি থানা পুলিশ গাজীপুরে ব্রির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন পঞ্চগড়ে তরুণদের নিয়ে মাসব্যাপী উৎসব নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মহম্মদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলন সিরাজদিখানে কাঁঠালতলী অগ্রনী সংঘ-এর পকেট কমিটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন

সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন, নেই দেখার মতো কেউ

নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-

মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন করছে এল এন মিলস্ (আর কে) নামের প্রতিষ্ঠানটি, যেন নেই দেখার মতো কেউ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে কি ধরনের পণ্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে তা দেখার জন্য সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। মালিকপক্ষ আসবে বলে সাংবাদিকদের দাঁড় করিয়ে রেখে বহিরাগতদের দিয়ে অসৎ আচরণ করান। তখন সংবাদ কর্মীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখনো অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অস্বাস্থ্যকর উৎপাদনকৃত খাবার খেয়ে মরণবেদী ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে নজরে এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান।

অনুসন্ধানে জানা জায়,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নুডুলস মেকারনি পাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। চানাচুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ব্যবহার করে। সেনা কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন পণ্য এখানে প্যাকেট করা হয়। এ বিষয়ে অনুমতি আছে কিনা এরকম তথ্য বা ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। আমাদের জানামতে তাদের মোট ২১ পণ্য রয়েছে। অনুমোদিত কর্মী তাদের তথ্যমতে অনুমোদিত পণ্য রয়েছে রয়েছে নয়টি। এই নয়টি পণ্যের কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি।

এল এন মিলস্ এর এর স্বত্বাধিকারী গৌতম সরকার বলেন, আমি অনুমোদনহীন কোন পণ্য উৎপাদন করি না। এর থেকে বেশি কিছু আমি ফোনে বলতে চাই না। আমার সাথে সরাসরি এসে কথা বলুন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন,আপনি আমাকে ঠিকানা দিন, আমি ওই খাবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখবো। কোন ধরনের অনুমোদন না পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, এ উপজেলায় আমি নতুন। সে কারণে এই ফ্যাক্টরির বিষয়ে আমি জানতাম না, যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে জানলাম,শীঘ্রই খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন, নেই দেখার মতো কেউ

সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন, নেই দেখার মতো কেউ

আপডেট টাইম : ০২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

নাদিম হায়দার, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি-

মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদন বিহীন খাদ্য উৎপাদন করছে এল এন মিলস্ (আর কে) নামের প্রতিষ্ঠানটি, যেন নেই দেখার মতো কেউ। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে কি ধরনের পণ্য সামগ্রী তৈরি হচ্ছে তা দেখার জন্য সাংবাদিকরা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। মালিকপক্ষ আসবে বলে সাংবাদিকদের দাঁড় করিয়ে রেখে বহিরাগতদের দিয়ে অসৎ আচরণ করান। তখন সংবাদ কর্মীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।

স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় প্রতিষ্ঠানটি এখনো অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অস্বাস্থ্যকর উৎপাদনকৃত খাবার খেয়ে মরণবেদী ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে নজরে এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান।

অনুসন্ধানে জানা জায়,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নুডুলস মেকারনি পাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। চানাচুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ব্যবহার করে। সেনা কল্যাণ সংস্থার বিভিন্ন পণ্য এখানে প্যাকেট করা হয়। এ বিষয়ে অনুমতি আছে কিনা এরকম তথ্য বা ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। আমাদের জানামতে তাদের মোট ২১ পণ্য রয়েছে। অনুমোদিত কর্মী তাদের তথ্যমতে অনুমোদিত পণ্য রয়েছে রয়েছে নয়টি। এই নয়টি পণ্যের কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি।

এল এন মিলস্ এর এর স্বত্বাধিকারী গৌতম সরকার বলেন, আমি অনুমোদনহীন কোন পণ্য উৎপাদন করি না। এর থেকে বেশি কিছু আমি ফোনে বলতে চাই না। আমার সাথে সরাসরি এসে কথা বলুন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সীগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন,আপনি আমাকে ঠিকানা দিন, আমি ওই খাবার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখবো। কোন ধরনের অনুমোদন না পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, এ উপজেলায় আমি নতুন। সে কারণে এই ফ্যাক্টরির বিষয়ে আমি জানতাম না, যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে জানলাম,শীঘ্রই খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।