ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নওগাঁয় প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে নেসকো অফিস ঘেরাও অবশেষে বদলি হলো সান্তাহার প্লাবনভূমির সেই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত গাজীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ছাত্র আন্দোলনে নিহত সুমনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন বিশ্ব ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সতর্ক আছি- আইজিপি বরগুনায় বাস ধর্মঘট, যাত্রী ভোগান্তি চরমে  কালিহাতীতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত বগুড়ার আদমদীঘির সাবেক সাংসদ আব্দুল মোমিন তালুকদার’র মৃত্যু বরগুনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি পার্টি অফিসের কর্মচারীরা রাজউক ও গৃহায়নের প্লট-ফ্ল্যাট পেলেন কোন যোগ্যতায় ?

  • রোস্তম মল্লিক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭৮৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়। এই কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক বিশাল সিন্ডিকেট ছিল। ওদের ক্ষমতা ছিল অসীম। এরা সকলেই আওয়ামী লীগের বেতনভুক্ত কর্মচারী। এদেরকে দেশে অসামান্য অবদানের জন্য রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে থেকে প্লট, ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৩/এ ধানমন্ডি , গুলিস্তান পার্টি অফিস , ৩২ নং সকল কর্মচারীকে উত্তরা ৫ ও ১৪ নং সেক্টরে ৩ কাঠা ও ৫ কাঠার প্লট বরাদ্ধ দিয়েছে রাজউক। ধানমন্ডি পার্টি অফিসের ১৪ জন, গুলিস্তানের ১৬ জনকে উত্তরায়, আর ৩২ নং এর স্টাফদের (১৩ জন) মিরপুর কালশীতে (মিরপুর) ডিওএইচএসের সামনে গৃহায়ণ অধিদপ্তরের বড় বিল্ডিং এর ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি অফিসের কর্মচারী আব্দুল আওয়াল শামীম , মাসুদ ও আলাউদ্দিনকে পূর্বাচলে ৫ কাঠা করে প্লট দেওয়া হয়। এছাড়াও ধানমন্ডি ও গুলিস্তানের সকল কর্মচারীদের ছিদ্দিক বাজার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কম্পিউটার অপারেটর আলি হোসেন উত্তরা ১৪ নং সেক্টর প্লট বিক্রি করে ধানমন্ডিতে ৩ টি ফ্ল্যাট নিয়েছেন। ১ টিতে নিজে থাকেন , বাকি ২ টা ভাড়া দিয়েছেন।
জামিলুর ধানমন্ডিতে ২ টা ফ্ল্যাট কিনেছে।পার্টি অফিসের অধিকাংশ পিয়ন দারোয়ানের নিজের গাড়িও আছে। সবচেয়ে গরীব সুইপার মোস্তফা সেও প্লট বিক্রি করে রায়ের বাজারে ২.৫ কাঠা জমি কিনে বাড়ি করেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে তদবির এবং সারা দেশ থেকে নেতারা পার্টি অফিসে আসলে তাদেরকে টাকা না দিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় প্রোগ্রামের প্রবেশ পত্র বা কুপন শামিম, আলাউদ্দিন, মাসুদ, আলী হোসেন, জামিলুররা গোপনে বিক্রি করতো। পরে তারা টাকা ভাগাভাগি করতো।
৩০ বছরের কর্মচারী হলো দলের উপ প্রচার সম্পাদক আবদুল আওয়াল শামীম! ১৯৮৮/৮৯ ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। ১৯৯৪ সালে নেত্রীর ধানমন্ডি ৬/এ অফিসে স্টাফ হিসাবে চাকরি শুরু করে। এখন কেন্দ্রীয় নেতা ! কি আজব ব্যপার! শামীম কি বিনা বেতনে চাকরি করতো?
ধানমন্ডি ৩/এ অফিসের মাসুদ, আলাউদ্দিন, আলী হোসেন, জামিলুর, লিপন, রায়হান সহ যত কর্মচারী আছে সবাইকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য করেছে। এই দলের সকল ভালোবাসা দলীয় অফিসের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের জন্য।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল,২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ায় জন্য মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য বরিশালে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরুষের লিঙ্গ কেটে নেয় জামাত শিবির। শুধু ২০০১ -২০০৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা। এই সমস্ত নিহত পরিবারের লোকদের কয়টি প্লট দিয়েছে আওয়ামী লীগ? এমপি, মন্ত্রী, এপিএস, ডিপিএস, দলীয় নেতা,গাড়িচালক,পার্টি অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবাইকে রাজউকের প্লট দিলেন কোন যোগ্যতায়? এখানে দলীয় নিহত পরিবার পরিজনের অংশ কোথায়? এমপি, মন্ত্রী,দলীয় নেতাদের কত লাগে? মোটামুটি সকলেরই বেগমপাড়ায় বাড়ি রয়েছে। (চলবে

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে নেসকো অফিস ঘেরাও

আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি পার্টি অফিসের কর্মচারীরা রাজউক ও গৃহায়নের প্লট-ফ্ল্যাট পেলেন কোন যোগ্যতায় ?

আপডেট টাইম : ০৫:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩/এ ছিল শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়। এই কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এক বিশাল সিন্ডিকেট ছিল। ওদের ক্ষমতা ছিল অসীম। এরা সকলেই আওয়ামী লীগের বেতনভুক্ত কর্মচারী। এদেরকে দেশে অসামান্য অবদানের জন্য রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে থেকে প্লট, ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৩/এ ধানমন্ডি , গুলিস্তান পার্টি অফিস , ৩২ নং সকল কর্মচারীকে উত্তরা ৫ ও ১৪ নং সেক্টরে ৩ কাঠা ও ৫ কাঠার প্লট বরাদ্ধ দিয়েছে রাজউক। ধানমন্ডি পার্টি অফিসের ১৪ জন, গুলিস্তানের ১৬ জনকে উত্তরায়, আর ৩২ নং এর স্টাফদের (১৩ জন) মিরপুর কালশীতে (মিরপুর) ডিওএইচএসের সামনে গৃহায়ণ অধিদপ্তরের বড় বিল্ডিং এর ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি অফিসের কর্মচারী আব্দুল আওয়াল শামীম , মাসুদ ও আলাউদ্দিনকে পূর্বাচলে ৫ কাঠা করে প্লট দেওয়া হয়। এছাড়াও ধানমন্ডি ও গুলিস্তানের সকল কর্মচারীদের ছিদ্দিক বাজার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কম্পিউটার অপারেটর আলি হোসেন উত্তরা ১৪ নং সেক্টর প্লট বিক্রি করে ধানমন্ডিতে ৩ টি ফ্ল্যাট নিয়েছেন। ১ টিতে নিজে থাকেন , বাকি ২ টা ভাড়া দিয়েছেন।
জামিলুর ধানমন্ডিতে ২ টা ফ্ল্যাট কিনেছে।পার্টি অফিসের অধিকাংশ পিয়ন দারোয়ানের নিজের গাড়িও আছে। সবচেয়ে গরীব সুইপার মোস্তফা সেও প্লট বিক্রি করে রায়ের বাজারে ২.৫ কাঠা জমি কিনে বাড়ি করেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে তদবির এবং সারা দেশ থেকে নেতারা পার্টি অফিসে আসলে তাদেরকে টাকা না দিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় প্রোগ্রামের প্রবেশ পত্র বা কুপন শামিম, আলাউদ্দিন, মাসুদ, আলী হোসেন, জামিলুররা গোপনে বিক্রি করতো। পরে তারা টাকা ভাগাভাগি করতো।
৩০ বছরের কর্মচারী হলো দলের উপ প্রচার সম্পাদক আবদুল আওয়াল শামীম! ১৯৮৮/৮৯ ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। ১৯৯৪ সালে নেত্রীর ধানমন্ডি ৬/এ অফিসে স্টাফ হিসাবে চাকরি শুরু করে। এখন কেন্দ্রীয় নেতা ! কি আজব ব্যপার! শামীম কি বিনা বেতনে চাকরি করতো?
ধানমন্ডি ৩/এ অফিসের মাসুদ, আলাউদ্দিন, আলী হোসেন, জামিলুর, লিপন, রায়হান সহ যত কর্মচারী আছে সবাইকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য করেছে। এই দলের সকল ভালোবাসা দলীয় অফিসের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের জন্য।
১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল,২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ায় জন্য মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য বরিশালে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী পুরুষের লিঙ্গ কেটে নেয় জামাত শিবির। শুধু ২০০১ -২০০৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা। এই সমস্ত নিহত পরিবারের লোকদের কয়টি প্লট দিয়েছে আওয়ামী লীগ? এমপি, মন্ত্রী, এপিএস, ডিপিএস, দলীয় নেতা,গাড়িচালক,পার্টি অফিসে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সবাইকে রাজউকের প্লট দিলেন কোন যোগ্যতায়? এখানে দলীয় নিহত পরিবার পরিজনের অংশ কোথায়? এমপি, মন্ত্রী,দলীয় নেতাদের কত লাগে? মোটামুটি সকলেরই বেগমপাড়ায় বাড়ি রয়েছে। (চলবে